তাওহীদুল ইসলাম শুভ, পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার পাথরঘাটা মহান কাজ করছেন ওসি কর্মদক্ষতা দিয়ে জনসাধারণের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে সকল মহলে প্রসংশা কুড়িয়েছেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:শাহ আলম হাওলাদার। গত ৩ মাসে ৪০টি হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া (স্মার্ট ফোন) মোবাইল উদ্ধার করে ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি পাথরঘাটায় যোগদান করার ৩ থেকে ৪ মাস পরই শুরু হয় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের কার্যক্রম। সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে ওসি মো: শাহ আলম হাওলাদার এর মোবাইল উদ্ধার করার খবর।
জানা গেছে, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের আক্তার হোসেন এর মোহাম্মদ জিয়া, রাসেল হোসেন পৌরসভার ৬ গ্রামের আকমল খান এর ছেলে আল-আমিন, কালমেঘার মো. নিজাম এর ছেলে মো. সোলায়মান, সদর ইউনিয়নের মো. ছোমেদ এর মেয়ে মোসা: বানেছা ও রায়হানপুর ইউনিয়নের মৃত. আঃ করিম হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিসসহ উপজেলার ৪০ ব্যক্তির হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া মোবাইল দীর্ঘদিন খোঁজা-খুঁজি করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তারা। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হারানো ও চুরি হওয়া উল্লেখিত মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হন পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
এদিকে নিরাশ হওয়া মোবাইল ফোনের মালিকগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফিরে পেয়ে অবর্ননীয় আনন্দিত হন এবং পাথরঘাটা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, একটি মোবাইল দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পরে মোবাইলটির চেয়ে মোবাইলের মধ্যে রাখা ডকুমেন্টের গুরুত্ব বেশী হয় আমাদের।
তারা আরো বলেন, আমরা আমাদের হারানো ও চুরি হওয়া মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেক উপকৃত হয়েছি এবং ওসি স্যার খুব এক মানবিক লোক তার কাছে আসলে যে কোন বিষয় নিয়ে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে এতে আমরা পাথরঘাটার মানুষ ওসি স্যারকে ধন্যবাদ জানাই তার মতো দক্ষ একজন লোক আছে বিদায় আমাদের চুরি হওয়া ও হারানো মোবাইল গুলো পাচ্ছি সে অত্যধিক মানবিক লোক একজন।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের মালিকগণ থানায় জিডি করার পরে অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইল গুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আরো কয়েক ব্যক্তির এসংক্রান্ত জিডি থানায় রয়েছে, তাদের মোবাইলও উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে আমাদের।