প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানাধীন চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ইয়াজুল হত্যাকান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী মোঃ শরিফ (৪০) সহ ০৩ জন’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ২৪ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ ভোরে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর ইয়াজুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ নি¤েœাক্ত প্রধান ০৩ জন আসামী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়: ক। সজীব (২৫), জেলা-মানিকগঞ্জ। খ। স্বাধীন (২০), জেলা-মানিকগঞ্জ। গ। মোঃ শরিফ (৪০), জেলা-মানিকগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের’কে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, প্রায় ০১ বছর আগে ভিকটিম ইয়াজুলের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শরিফের জমি কেনা/বেচা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চুক্তি অনুযায়ী ভিকটিম ইয়াজুল গ্রেফতারকৃত আসামী শরিফের জমির মূল্য বাবদ ৫,০০,০০০/-টাকা পরিশোধ করে।
পরবর্তীতে আসামী শরিফ চুক্তিতে উল্লেখিত টাকার চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা ভিকটিমের নিকট দাবি করে এবং এ ব্যাপারে সমঝোতা না হওয়ায় ভিকটিম জমি ক্রয় বাবদ অগ্রিম প্রদানকৃত ৫,০০,০০০/- টাকা আসামী শরিফের নিকট ফেরত চাইলে সে টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে বিধায় ভিকটিম বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে আসামী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের চাপে টাকা ফেরত দেয়।
আসামী শরিফ এ ব্যাপারে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ভিকটিম ইয়াজুলের চাচাতো ভাই আসামী সজিবকে ব্যবহার করে যার প্রেক্ষিতে গত ২০ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাতে নদীতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সজিব মুঠোফোনের মাধ্যমে ভিকটিম ইয়াজুলকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামী শরিফ ও সজিবসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ভিকটিম’কে আসামী স্বাধীনের ট্রলারে উঠিয়ে কালি গঙ্গা নদীতে ঘুরতে নিয়ে যায়। ট্রলারটি কালিগঙ্গা নদীতে কিছু দূর যাওয়ার পর গ্রেফতারকৃত আসামী শরিফ, সজিব, স্বাধীন ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম ইয়াজুলের মাথার উপরে ও পিছনে, দুই হাতের কনুই ও হাতের আঙ্গুলে এলোপাতারি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যা কাজে ব্যবহৃত আলামত নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যাকারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। অনেক রাত হওয়ার পরেও ভিকটিম বাড়ীতে ফিরে না আসায় ভিকটিমের স্ত্রী ভিকটিমের কোনো খোজ না পাওয়ায় পরিবারের অন্যান্য সকল সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে কোথাও না পেয়ে ২২ আগস্ট ২০২৩ তারিখ ঘিওর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে।
পরবর্তীতে একই দিনে ভিকটিমের স্ত্রী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঘিওর থানাধীন কালীগঙ্গা নদীর পূর্ব পাড়ে পানিতে একটি লাশ ভাসছে। উক্ত খবর পেয়ে ভিকটিমের স্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত লাশটি তার স্বামী ভিকটিম ইয়াজুল মিয়ার বলে সনাক্ত করে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ঘিওর থানায় শরীফ, সজিব এবং স্বাধীন সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের’কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। (মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক