প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বহুল আলোচিত ৪৪ জন হজ যাত্রীর হজের টাকা আত্মসাৎকারীর মূলহোতা অহিদুল আলম ভূইয়া’কে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও র্যাব-৯।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ এবং প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২৩ সালে হজ পালনে সৌদি আরবে প্রেরণের জন্য রাজধানীর কুড়িল এলাকার সাজিদ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক অহিদুল আলম ভূঁইয়া তার ছেলে সাজিদুল ইসলাম ও শ্যালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ৪৪ জন হজ প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে হজে না পাঠিয়ে প্রায় ৩,০০,০০,০০০/-(তিন কোটি) টাকা প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাৎকরে আত্মগোপনে চলে যায়। হজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীরা সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন থানায় পাঁচ এর অধিক মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি সিলেটসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব-৯ এর তথ্য সহায়তায় গতকাল ১৩/০৮/২০২৩খ্রিঃ অপরাহ্নে শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অহিদুল আলম ভূইয়া (৫০), পিতা-মৃত আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, থানা-মনোহরদী, জেলা-নরসিংদীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করে। এছারাও জানা যায় মামলা রুজু হওয়ার পর হতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শিহাব করিম সিনিঃ এএসপি সিনিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) পক্ষে অধিনায়ক মোবাঃ ০১৭৭৭৭১০২০৩