জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে আহত ১০ জন।
(শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জবির টিএসসি সংলগ্নে স্থানে এ সংঘর্ষ হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণের পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাত ধরে এবং নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ দলে বেড়িয়ে দল ভারী করাকে কেন্দ্র করে ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সৈকত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের অনুসারী ১৫ তম ব্যাচের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমের উপর প্রথমে অতর্কিত হামলা করে।
তারপর ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে সভাপতির অনুসারীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলে পুনরায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কর্মী ১২ তম ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিশির ও সিফাতের নেতৃত্বে পুনরায় মালিটোলা পার্কে গিয়ে গুরুতর মারধর করে জখম করার অভিযোগ করেন ১১ তম ব্যাচের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেক।
আবদুল বারেক আরও বলেন, আহতদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী গাজী শামসুল হুদা, খায়রুল আমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজ ১৫ তম ব্যাচের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদ, সাইম সহ আরও অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেন বলেন, কে বা কারা কোথায় মারামারি করেছে সেটা আমি জানি না। ক্যাম্পাসের বাহিরে কেউ ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে মারামারি করলে সেটার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবেনা। জবি শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো ধরনের গ্রুপিং নেই আমরা সবাই সবসময় ঐক্যবদ্ধ।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, যারা হামলা করেছে তারা কখনো ছাত্রলীগ হতে পারে না। তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী। পূর্বের ন্যায় তারা জামায়াত – শিবিরের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ছাত্রলীগের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগকে কলুষিত করার চেষ্টা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টা সম্পর্কে আমরা খোঁজ- খবর পেয়েছি। আগামীকাল দেখবো আমরা কারা কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।