বাংলাদেশ ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ সিরাজগঞ্জে পৃথক তিনটি অভিযানে ফিন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন গ্রেফতার। নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে- মাওলানা শাহজাহান মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের কুবিতে প্রথমবারের মত ইদে মিলাদুন্নবী পালিত উলিপুরে হিফজুল কোরআন কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন ও ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন ফুলবাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ইউপি সদস্যের দুটি আইডি কার্ড তথ্য গোপন করে পরিষদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তোলেন ভাতা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৬৫২ বার পড়া হয়েছে

ইউপি সদস্যের দুটি আইডি কার্ড তথ্য গোপন করে পরিষদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তোলেন ভাতা

বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ

 বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. কামাল হোসেন চাকুরীর পাশাপাশি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তথ্য গোপন করে ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সম্মানি ভাতা তুলছেন নিয়মিত। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

মোঃ কামাল হোসেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের নূর মোহাম্মদ খাঁনের ছেলে। ২০১৩ সালে তিনি বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরি নেন। ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বর নির্বাচিত হন। মোঃ কামাল হোসেন সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি লাইলী বেগম নামের এক নারীকে দিয়ে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এদিকে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে একই সাথে ভাতা তোলার নিয়ম না থাকলেও, তথ্য গোপন করে প্রতিমাসে পরিষদের সদস্য হিসেবে সরকারি কোষাগার ৩ হাজার ৬০০ টাকা সম্মানি নিচ্ছেন এবং বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী হিসেবে বিদ্যালয়ে নিয়মিত দায়িত্বপালন না করে প্রতিমাসে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা বেতন নিচ্ছেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়, মো. কামাল হোসেনের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। তিনি প্রথম আইডিকার্ডটি করেন ২০০৮ সালে। সেখানে তার নাম লেখা রয়েছে মো. কামাল হোসেন। পিতা-নূর মোহাম্মাদ জন্ম তারিখ-০১. ০১. ১৯৮৩। এর পরে বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকুরি নিতে প্রায় ১০ বছর বয়স কমিয়ে ২০১৩ সালে নীজের নাম ও পিতার নামে কিছুটা পরিবর্তন দেখিয়ে আরও একটি ভোটার আইডি করেন। সেখানে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১৫.৭.১৯৯৪ নাম মো. কামাল হোসেন খান।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন কম্পিউটারে সার্ভার দেখে বলেন, কামাল হোসেনের দুটি ভোটার আইডি সচল আছে। যার প্রথমটির নম্বর ০১১০৫২৮৩৮১০৫। দ্বিতীয়টির  নম্বর ০১১০৫২০০০১৭৪। দুটি কার্ডে জন্ম তারিখ, নিজের নাম ও পিতার নামে কিছুটা পরিবর্তন রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও সম্মানী গ্রহনের বিষয়ে মোঃ কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনের সময় সকল তথ্য দিয়েছি। তখন তো মনোনয়ন পত্র বাতিল করেনি। আমি নিয়মিত স্কুলে চাকুরি করি। পরিষদেও যাই। আমার অনুপস্থিতিতে অন্য একজন দায়িত্ব পালন করেন। এতে কোন সমস্যা তো আমি দেখি না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কামাল মাঝে মধ্যে থাকেনা। তখন তার পরিবর্তে লাইলী নামে এক মহিলা দায়িত্ব পালন করে। প্রতিমাসে কামালকেই নিয়মিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়। প্রক্সির বিষয়ে লাইলী বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, মোঃ কামাল হোসেন একটি বিদ্যালয়ে চাকুরি করে তা জানি। এটায় আইনগত কোন বাঁধা আছে কিনা আমার জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের করনিক দিপক কুমার দেবনাথ বলেন, কামাল হোসেন ইউপি সদস্য হিসেবে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সরকারি অংশের সম্মানীর টাকা নিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মোঃ কামাল হোসেনের বিষয়টি জানা ছিল না। মূলত দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীদের নিয়ন্ত্রণ করেন প্রধান শিক্ষক। প্রধানশিক্ষকের প্রত্যায়নেই তাদের বেতন হয়। প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেনের পক্ষে প্রতিমাসে প্রত্যয়ন দিয়েছে। কেন এই অনিয়মের বিষয় জানায়নি এবং অসত্য প্রত্যয়ন দিয়েছে এজন্য প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, বিদ্যালয়ের দপ্তরী ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর হিসেবে দুটি পদে একই সাথে দায়িত্ব পালন ও আর্থিক সুবিধা গ্রহনের সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

ইউপি সদস্যের দুটি আইডি কার্ড তথ্য গোপন করে পরিষদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তোলেন ভাতা

আপডেট সময় ০৮:০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ

 বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. কামাল হোসেন চাকুরীর পাশাপাশি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তথ্য গোপন করে ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সম্মানি ভাতা তুলছেন নিয়মিত। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

মোঃ কামাল হোসেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের নূর মোহাম্মদ খাঁনের ছেলে। ২০১৩ সালে তিনি বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরি নেন। ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বর নির্বাচিত হন। মোঃ কামাল হোসেন সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি লাইলী বেগম নামের এক নারীকে দিয়ে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এদিকে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে একই সাথে ভাতা তোলার নিয়ম না থাকলেও, তথ্য গোপন করে প্রতিমাসে পরিষদের সদস্য হিসেবে সরকারি কোষাগার ৩ হাজার ৬০০ টাকা সম্মানি নিচ্ছেন এবং বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী হিসেবে বিদ্যালয়ে নিয়মিত দায়িত্বপালন না করে প্রতিমাসে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা বেতন নিচ্ছেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়, মো. কামাল হোসেনের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। তিনি প্রথম আইডিকার্ডটি করেন ২০০৮ সালে। সেখানে তার নাম লেখা রয়েছে মো. কামাল হোসেন। পিতা-নূর মোহাম্মাদ জন্ম তারিখ-০১. ০১. ১৯৮৩। এর পরে বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকুরি নিতে প্রায় ১০ বছর বয়স কমিয়ে ২০১৩ সালে নীজের নাম ও পিতার নামে কিছুটা পরিবর্তন দেখিয়ে আরও একটি ভোটার আইডি করেন। সেখানে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১৫.৭.১৯৯৪ নাম মো. কামাল হোসেন খান।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন কম্পিউটারে সার্ভার দেখে বলেন, কামাল হোসেনের দুটি ভোটার আইডি সচল আছে। যার প্রথমটির নম্বর ০১১০৫২৮৩৮১০৫। দ্বিতীয়টির  নম্বর ০১১০৫২০০০১৭৪। দুটি কার্ডে জন্ম তারিখ, নিজের নাম ও পিতার নামে কিছুটা পরিবর্তন রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও সম্মানী গ্রহনের বিষয়ে মোঃ কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনের সময় সকল তথ্য দিয়েছি। তখন তো মনোনয়ন পত্র বাতিল করেনি। আমি নিয়মিত স্কুলে চাকুরি করি। পরিষদেও যাই। আমার অনুপস্থিতিতে অন্য একজন দায়িত্ব পালন করেন। এতে কোন সমস্যা তো আমি দেখি না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কামাল মাঝে মধ্যে থাকেনা। তখন তার পরিবর্তে লাইলী নামে এক মহিলা দায়িত্ব পালন করে। প্রতিমাসে কামালকেই নিয়মিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়। প্রক্সির বিষয়ে লাইলী বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, মোঃ কামাল হোসেন একটি বিদ্যালয়ে চাকুরি করে তা জানি। এটায় আইনগত কোন বাঁধা আছে কিনা আমার জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের করনিক দিপক কুমার দেবনাথ বলেন, কামাল হোসেন ইউপি সদস্য হিসেবে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সরকারি অংশের সম্মানীর টাকা নিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মোঃ কামাল হোসেনের বিষয়টি জানা ছিল না। মূলত দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীদের নিয়ন্ত্রণ করেন প্রধান শিক্ষক। প্রধানশিক্ষকের প্রত্যায়নেই তাদের বেতন হয়। প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেনের পক্ষে প্রতিমাসে প্রত্যয়ন দিয়েছে। কেন এই অনিয়মের বিষয় জানায়নি এবং অসত্য প্রত্যয়ন দিয়েছে এজন্য প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, বিদ্যালয়ের দপ্তরী ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর হিসেবে দুটি পদে একই সাথে দায়িত্ব পালন ও আর্থিক সুবিধা গ্রহনের সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।