বাংলাদেশ ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভূঞাপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে কারাদণ্ড সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুলের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত শুরু  তালতলীতে ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় হিন্দু যুবককে কুপিয়ে জখম কাউখালীতে করলা চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক তৈয়ব আলী কয়রায় সুপেয় খাবার পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে গনশুনানী ও পিটিশন জমা কয়রা সেতুর টোল আদায়ে আইনগত সহায়তা চেয়েছেন আনার আলী ভৈরবনদ খননে অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে স্মারকলিপি  চট্টগ্রামের ১৩ ওসিকে বদলী বঙ্গবন্ধু হল পরিদর্শন করলেন রাবি উপাচার্য মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ও আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ কাছে খোলা চিঠি: গণমাধ্যম কর্মী শাহাদাত হোসেন নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন। নলছিটিতে বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ:বহিস্কার দাবী

সিলেট বিভাগে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন যারা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
  • ১৬৩৯ বার পড়া হয়েছে

সিলেট বিভাগে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নে পাচ্ছেন যারা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার শেষ নেই। এ নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে সরকার বিরোধী দলগুলোর অভিযোগের অন্ত:নেই। তা সত্বেও থেমে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন প্রাপ্তির লবিং-তদবির। প্রতিটি নির্বাচন আসলেই এ দলের মধ্যে শুরু হয় মনোয়ন প্রাপ্তির জোর লড়াই ও তদবির। কেউ হয়ে ওঠেন ‘বড় আপা’ কেউ বা আবার ‘ছোট আপা’র ‘মাইম্যান’! এমন অবস্থায় যেমন আওয়ামী লীগকে পড়তে হয় নানা জটিলতায়, তেমনি বিভ্রান্ত হতে হয় তৃণমূল নেতাকর্মদের। এমনকি শুরু হয়ে যায় দলের মধ্যে বিদ্রোহ। বিদ্রোহীদের থামাতে গিয়ে চলে আসে বহিষ্কারাদেশ। যেমনটা ঘটে গেছে স্থানীয় সব কটি নির্বাচনে। সিলেট বিভাগের আওয়ামী নেতাদের মধ্যে এ প্রবনতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সিলেট ভিাগের সবকটি সংসদীয় আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় এখন থেকে পরিস্ফিুটিত হয়ে ওঠেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ১ আসন বহুল প্রত্যাশিত ও আলোচিত। কথিত আছে এ আসনে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করে, সে দলই প্রতিবার দেশের মসনদে যায় এবং সরকার গঠন করে। বহুল প্রচলিত এ কথা কতটুকু সত্যি, সেটি নির্বাচনের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এই গুরুত্ব পূর্ণ আসনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিএনপির প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির।
সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও বিএনপির তাহসিনা লুনা, গণফোরামের মোকাব্বির খান। তবে বর্তমান এমপির উপর মানুষের আস্তা নেই।
সিলেট-৩ আমনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। আসনটির তিনবারের এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি গত উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার আশির্বাদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন! নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এবারও মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেকজন হলেন, ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। দেশের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। বর্তমান সরকারের আমলে চিকিৎসা ক্ষেত্র ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে তাঁর কর্মকে মূল্যায়ণ করেন। সরকারি চাকরির সুবাদে নির্বাচনে অংশ নেননি অতীতে এখন নির্বাচন করতে তাঁর আর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। হাইকমান্ডের সুনজরে থাকা ডা. দুলাল মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে তাঁকে দেখা যেতে পারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে! সেই স্বপ্নও দেখছেন সিলেট-৩ আসনের সচেতন ভোটাররা।
আরেকজন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ.স.ম মিসবাহ। এমপি হাবিবের মতো তিনিও রয়েছেন শেখ রেহানার সুনজরে। সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় কাজ করছেন। তিনিও মনোনয়ন চাইবেন। তবে মনোনয়ন চাওয়া পাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি! প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গ্রিন সিগনাল পেয়েছেন-এমন অসংখ্য স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন মিসবাহ।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক বারের এমপি ও মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বর্তমানে এই আসনে পরিবর্তন আসতে পারে এমনটাই ধারণা তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তাই ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান গোলাপ মিয়া। তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় কাজ করছেন গোলাপ মিয়া। বিএনপির একমাত্র প্রার্থী আব্দুল হাকিম চৌধুরী বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেননি। দলের নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ান।
সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হাফিজ আহমেদ মজুমদার। তিনি ২০১৮ সালের এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।হাফিজ আহমেদ মজুমদার একজন শিক্ষাবিদ। বার্ধক্য জনিত কারণে যদি তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে সে খানে নতুন মুখ আসতে পারে।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান এমপি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তবে মাঠে রয়েছেন কানাডা আওয়ামীলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন তিনিও মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় কাজ করছেন। বিএনপিতে ত্রিভুজ লড়াই রয়েছে এখনও কেউ এগিয়ে নেই।
সুনামগঞ্জ-১- আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তবে বর্তমান এমপি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নবম জাতীয় সংসদ, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বাংলাদেশ আ:লীগের প্রার্থী হিসাবে ৩ বার নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একের অধিক নেতা জানান, সুনামগঞ্জ ১ আসনে রতন এমপিকেই শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে কারনে মনোনয়ন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সারা বাংলাদেশের কোন জায়গায় এরকম তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অফিস হয়নি। কিন্তু তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ৪৪ টি আওয়ামীলীগের অফিস করে দিয়েছেন। সেই সাথে নজিরবিহীন ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।স্হানীয় তৃনমুল ও ত্যাগী নেতাবৃন্দরা জানান, শেখ হাসিনার উন্নয়নের দ্বারাকে অব্যাহত রাখতে ৪র্থ বারেও এমপি রতনকে নির্বাচিত করে হাওর এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রী হিসেবে চাই আমরা। আমরা তৃনমুল আওয়ামী লীগ ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ জনগণ রয়েছি সাংসদ রতনের সাথে। তিনি সর্বদা এলাকার উন্নয়নের জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগের দূর্দিনের কান্ডারী বারবার নির্বাচিত এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর থেকেই উনার সহধর্মিণী বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তিনি বার্ধক্য জনিত কারনে নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত থাকেন।তাই উনাকে বাদ দিয়ে নতুন মুখ আসতে পারে। তবে উনার বড় ছেলে সওমেনগুপ্তও আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। আওয়ামীলীগ থেকে মাঠে আল-আমীন চৌধুরী ও বিএনপিতে সাবেক সংসদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী সহ আরো অনেকেই আছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কেন্দ্রীয় একাদিক সূত্রে জানা যায়, তিনি আবারও দলের মনোনয়ন পাবেন। তবে এ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আজিজুস সামাদ ডন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। জমিয়তের সাবেক এমপি শাহিনুর পাশা চৌধুরী সহ অনেক নতুন নতুন প্রার্থী।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এনামুল কবীর ইমনসহ একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন মনোনয়নের আশায়। তবে এ আসনে জাপার প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মহিবুর রহমান মানিক। তিনি এ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তবে মাঠে অনেকেই রয়েছেন নৌকার মনোনয়ন চাইবেন বলে। তবে নৌকায় এ আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে এমনটাই ধারণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের। বিএনপি থেকে  কলিম উদ্দীন মিলন ও মিজানুর রহমান মাঠে রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হন দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিজয়ী হন। তবে এ আসনে ড. রেজা কিবরিয়া প্রর্থী হচ্ছেন। তাই এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের অবস্তান সমানই বলা যায়।
হবিগঞ্জ-২ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ বর্তমান সংসদ সদস্য এড. মোঃ আব্দুল মজিদ খান। এলাকায় তার কোন তোলনাই নেই। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন এগিয়ে রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ২০০১ থেকে চারবার এই আসনে জয়ী হয়েছে নৌকা। বর্তমান এমপি আবু জাহিরের বিকল্প নেই। এই আসনে আরও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধারণা এমপি আবু জাহিরের বিকল্প নেই। তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হওয়াতে মানুষজন তাকে আবারও এমপি হিসাবে দেখতে চায়। নৌকার মনোনয়ন পাবেন এমপি আবু জাহির।
হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে ২০১৪-১৮ সালে টানা দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ক্লিন ইমেজের এ রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মাওলানা আসাদ আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তবে এবার এ আসন থেকে আরও অনেক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। এরমধ্যে চমক দেখাতে পারেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহাবউদ্দীন। তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও শাহাবউদ্দীনকে চায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা। এছাড়া এই আসনে বিএনপির দারাদ আহমদও নির্বাচন করবেন।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান শামীম, জাপার নবাব আলী আব্বাস, গণফোরামের সুলতান মনসুর, এম এম শাহীন, নবাব আলী ওয়ালিদে জনপ্রিয়।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেসার আহমেদ ও সায়রা মহসিন, বিএনপির নাসের রহমান।
মৌলভীবাজার-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস শহীদ। তিনি এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এদিকে বিএনপির মুজিবুর রহমানও নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ভূঞাপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে কারাদণ্ড

সিলেট বিভাগে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন যারা

আপডেট সময় ১২:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার শেষ নেই। এ নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে সরকার বিরোধী দলগুলোর অভিযোগের অন্ত:নেই। তা সত্বেও থেমে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন প্রাপ্তির লবিং-তদবির। প্রতিটি নির্বাচন আসলেই এ দলের মধ্যে শুরু হয় মনোয়ন প্রাপ্তির জোর লড়াই ও তদবির। কেউ হয়ে ওঠেন ‘বড় আপা’ কেউ বা আবার ‘ছোট আপা’র ‘মাইম্যান’! এমন অবস্থায় যেমন আওয়ামী লীগকে পড়তে হয় নানা জটিলতায়, তেমনি বিভ্রান্ত হতে হয় তৃণমূল নেতাকর্মদের। এমনকি শুরু হয়ে যায় দলের মধ্যে বিদ্রোহ। বিদ্রোহীদের থামাতে গিয়ে চলে আসে বহিষ্কারাদেশ। যেমনটা ঘটে গেছে স্থানীয় সব কটি নির্বাচনে। সিলেট বিভাগের আওয়ামী নেতাদের মধ্যে এ প্রবনতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সিলেট ভিাগের সবকটি সংসদীয় আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় এখন থেকে পরিস্ফিুটিত হয়ে ওঠেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ১ আসন বহুল প্রত্যাশিত ও আলোচিত। কথিত আছে এ আসনে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করে, সে দলই প্রতিবার দেশের মসনদে যায় এবং সরকার গঠন করে। বহুল প্রচলিত এ কথা কতটুকু সত্যি, সেটি নির্বাচনের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এই গুরুত্ব পূর্ণ আসনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিএনপির প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির।
সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও বিএনপির তাহসিনা লুনা, গণফোরামের মোকাব্বির খান। তবে বর্তমান এমপির উপর মানুষের আস্তা নেই।
সিলেট-৩ আমনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। আসনটির তিনবারের এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি গত উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার আশির্বাদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন! নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এবারও মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেকজন হলেন, ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। দেশের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। বর্তমান সরকারের আমলে চিকিৎসা ক্ষেত্র ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে তাঁর কর্মকে মূল্যায়ণ করেন। সরকারি চাকরির সুবাদে নির্বাচনে অংশ নেননি অতীতে এখন নির্বাচন করতে তাঁর আর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। হাইকমান্ডের সুনজরে থাকা ডা. দুলাল মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে তাঁকে দেখা যেতে পারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে! সেই স্বপ্নও দেখছেন সিলেট-৩ আসনের সচেতন ভোটাররা।
আরেকজন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ.স.ম মিসবাহ। এমপি হাবিবের মতো তিনিও রয়েছেন শেখ রেহানার সুনজরে। সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় কাজ করছেন। তিনিও মনোনয়ন চাইবেন। তবে মনোনয়ন চাওয়া পাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি! প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গ্রিন সিগনাল পেয়েছেন-এমন অসংখ্য স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন মিসবাহ।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক বারের এমপি ও মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বর্তমানে এই আসনে পরিবর্তন আসতে পারে এমনটাই ধারণা তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তাই ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান গোলাপ মিয়া। তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় কাজ করছেন গোলাপ মিয়া। বিএনপির একমাত্র প্রার্থী আব্দুল হাকিম চৌধুরী বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেননি। দলের নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ান।
সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হাফিজ আহমেদ মজুমদার। তিনি ২০১৮ সালের এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।হাফিজ আহমেদ মজুমদার একজন শিক্ষাবিদ। বার্ধক্য জনিত কারণে যদি তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে সে খানে নতুন মুখ আসতে পারে।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান এমপি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তবে মাঠে রয়েছেন কানাডা আওয়ামীলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন তিনিও মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় কাজ করছেন। বিএনপিতে ত্রিভুজ লড়াই রয়েছে এখনও কেউ এগিয়ে নেই।
সুনামগঞ্জ-১- আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তবে বর্তমান এমপি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নবম জাতীয় সংসদ, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বাংলাদেশ আ:লীগের প্রার্থী হিসাবে ৩ বার নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একের অধিক নেতা জানান, সুনামগঞ্জ ১ আসনে রতন এমপিকেই শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে কারনে মনোনয়ন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সারা বাংলাদেশের কোন জায়গায় এরকম তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অফিস হয়নি। কিন্তু তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ৪৪ টি আওয়ামীলীগের অফিস করে দিয়েছেন। সেই সাথে নজিরবিহীন ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।স্হানীয় তৃনমুল ও ত্যাগী নেতাবৃন্দরা জানান, শেখ হাসিনার উন্নয়নের দ্বারাকে অব্যাহত রাখতে ৪র্থ বারেও এমপি রতনকে নির্বাচিত করে হাওর এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রী হিসেবে চাই আমরা। আমরা তৃনমুল আওয়ামী লীগ ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ জনগণ রয়েছি সাংসদ রতনের সাথে। তিনি সর্বদা এলাকার উন্নয়নের জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগের দূর্দিনের কান্ডারী বারবার নির্বাচিত এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর থেকেই উনার সহধর্মিণী বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তিনি বার্ধক্য জনিত কারনে নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত থাকেন।তাই উনাকে বাদ দিয়ে নতুন মুখ আসতে পারে। তবে উনার বড় ছেলে সওমেনগুপ্তও আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। আওয়ামীলীগ থেকে মাঠে আল-আমীন চৌধুরী ও বিএনপিতে সাবেক সংসদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী সহ আরো অনেকেই আছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কেন্দ্রীয় একাদিক সূত্রে জানা যায়, তিনি আবারও দলের মনোনয়ন পাবেন। তবে এ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আজিজুস সামাদ ডন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। জমিয়তের সাবেক এমপি শাহিনুর পাশা চৌধুরী সহ অনেক নতুন নতুন প্রার্থী।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এনামুল কবীর ইমনসহ একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন মনোনয়নের আশায়। তবে এ আসনে জাপার প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মহিবুর রহমান মানিক। তিনি এ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তবে মাঠে অনেকেই রয়েছেন নৌকার মনোনয়ন চাইবেন বলে। তবে নৌকায় এ আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে এমনটাই ধারণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের। বিএনপি থেকে  কলিম উদ্দীন মিলন ও মিজানুর রহমান মাঠে রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হন দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিজয়ী হন। তবে এ আসনে ড. রেজা কিবরিয়া প্রর্থী হচ্ছেন। তাই এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের অবস্তান সমানই বলা যায়।
হবিগঞ্জ-২ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ বর্তমান সংসদ সদস্য এড. মোঃ আব্দুল মজিদ খান। এলাকায় তার কোন তোলনাই নেই। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন এগিয়ে রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ২০০১ থেকে চারবার এই আসনে জয়ী হয়েছে নৌকা। বর্তমান এমপি আবু জাহিরের বিকল্প নেই। এই আসনে আরও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধারণা এমপি আবু জাহিরের বিকল্প নেই। তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হওয়াতে মানুষজন তাকে আবারও এমপি হিসাবে দেখতে চায়। নৌকার মনোনয়ন পাবেন এমপি আবু জাহির।
হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে ২০১৪-১৮ সালে টানা দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ক্লিন ইমেজের এ রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মাওলানা আসাদ আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তবে এবার এ আসন থেকে আরও অনেক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। এরমধ্যে চমক দেখাতে পারেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহাবউদ্দীন। তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও শাহাবউদ্দীনকে চায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা। এছাড়া এই আসনে বিএনপির দারাদ আহমদও নির্বাচন করবেন।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান শামীম, জাপার নবাব আলী আব্বাস, গণফোরামের সুলতান মনসুর, এম এম শাহীন, নবাব আলী ওয়ালিদে জনপ্রিয়।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেসার আহমেদ ও সায়রা মহসিন, বিএনপির নাসের রহমান।
মৌলভীবাজার-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস শহীদ। তিনি এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এদিকে বিএনপির মুজিবুর রহমানও নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।