কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে এলজিডির রাস্তার ইট উঠিয়ে নিয়ে গেছে প্রভাবশালীরা। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা গেছে, উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শীষার্ খাল থেকে বেতকা লঞ্চঘাট পর্যন্ত কালীগঙ্গা নদীর বেড়িবাধে থাকা রাস্তার ইট হরিলুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর।
নাম প্রকাশ শর্তে অনেকেই জানান, বেতকা খালের মোহনা থেকে কাউখালী—স্বরূপকাঠী উপজেলার সীমান পর্যর্ন্ত আনুমানিক প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ হেরিংবনের রাস্তা এমআরবি ব্র্যান্ডের ইট দিয়ে নির্মিত ছিলো। বর্তমানে ঐ রাস্তার বেতকার কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পর বাকী রাস্তার ইট প্রভাবশালীরা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রুস্তুম আলী জানান, বেড়িবাধের রাস্তার ইট দীর্ঘদিন যে যার মতে করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। প্রশাসনকে জানালেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ১সপ্তাহে রাস্তায় বাকী থাকা প্রায় ২০ হাজারের বেশী ইট পুনরায় লুটপাট হয়। এলাকার বেতকা গ্রামের প্রভাবশালী মিরাজ খানের ছেলে জিহাদ খানের বাড়ির বাগানের ভিতর খালের পারে হরিলুট হওয়া ১০—১৫ হাজারের ইটের স্তুপ সরেজমিনে দেখা যায়।
এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ ও হারুন আর রশিদ জানান, বেতকা গ্রামের বাদল, সোহাগ, ইদ্রিস, সোহরাব, মজিবুর ও যাবেদের বাড়িতেও রয়েছে এই রস্তার এমআরবি ব্র্যান্ডের ইটের স্তুপ।
স্থানীয় সাবেক মেম্বর মৃত সোহরাব হোসেনর এর ছেলে কামাল মাস্টার জানান, তার বাবা মেম্বর থাকা অবস্থায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৪—৯৫ অর্থবছরে কালীগঙ্গা নদীর পারের রাস্তাটির হেরিনবনের কাজ করা হয়েছিলো।
হরিলুট হওয়া ইটগুলো সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু সাইদ জানান, তিনি ঢাকায় থাকায় কিছু লোকে ইটগুলো তুলে নিয়েছে বলে জানতে পরেন। পরে তিনি স্থানীয় গ্রামপুলিশকে নিদের্শ দিয়েছেন ইটগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসার জন্য।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, নিয়ে যাওয়া ইটগুলো উদ্ধার করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।