বাংলাদেশ ০৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ সিরাজগঞ্জে পৃথক তিনটি অভিযানে ফিন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন গ্রেফতার। নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে- মাওলানা শাহজাহান মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের কুবিতে প্রথমবারের মত ইদে মিলাদুন্নবী পালিত উলিপুরে হিফজুল কোরআন কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন ও ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন ফুলবাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ভুল চিকিৎসায় রামগঞ্জে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
  • ১৬৫৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আল ফারুক প্রাইভেট হসপিটালের গাফিলতি ও চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় নাজমা খাতুন (৩৫) নামের এক প্রসূতি ও নবজাতক কন্যা শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে তাদের মৃত্য হয়েছে। নাজমা খাতুন রামগঞ্জ পৌর জগৎপুর গ্রামের কোয়াজি বাড়ির প্রবাসী আসাদ উল্যার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্বজনরা হসপিটাল ঘেরাও করে চিকিৎসক ফারজানা তালুকদার ন্যান্সির শাস্তি দাবি করেন।

নাজমা খাতুনের বড় মেয়ে জ্যোতি আক্তার (যুথি) জানান, গত ৩০ জুন তার মা নাজমা খাতুন রামগঞ্জ আল ফারুক হসপিটালের চিকিৎসক ফারজানা তালুকদার ন্যান্সির কাছে নিয়মিত চেকআপ করাতে আসেন।
এ সময় তিনি চিকিৎসককে তার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা জানালে ন্যান্সি ইনজেকশন দিয়ে ব্যথা কমিয়ে দেয়ার পর শারিরীক সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। চলতি মাসের ২ তারিখে তীব্র ব্যাথা নিয়ে আবারও হসপিটালে আসলে ঐ চিকিৎসক তাকে দ্বিতীয়বারের মতো ইনজেকশন দিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন। তিন তারিখেও আমার মা হসপিটালে আসলে চিকিৎসক জানান, কোনো সমস্যা নাই।

পরদিন থেকে গর্ভের বাচ্চার নড়াচড়া না হওয়ায় আমরা চতুর্থবারের মতো মাকে হসপিটালে আনলে চিকিৎসক জানান, বাচ্চার হার্টবিট নেই-বাচ্চা গর্ভে মারা গেছে। দ্রুত সিজার করিয়ে আমার মায়ের শারিরীক অবস্থা বেশি ভালো না বলে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে।

উপায়ন্তর না দেখে আমার মাকে ঢাকার আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক জানান, নাজমা খাতুন ভুল চিকিৎসকের শিকার হয়েছেন। প্রায় ১২/১৩ দিন সেখানে চিকিৎসা করিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করলেও মাকে বাঁচাতে পারিনি। আমরা উক্ত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করছি। এখন তারা আমাদের টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাপ প্রয়োগ করছে।

নাজমা খাতুনের ঝা মীনা বেগম জানান, মাত্র ৫/৭ মিনিটে আমার ঝা’এর সিজার করেই তাড়াহুড়ো উক্ত চিকিৎসক ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন।
আমরা ঢাকায় নিয়ে গেলে ঐখানকার চিকিৎসক জানান, নাজমা খাতুন ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। সোমবার সকালে আমার ঝা আদ্ব-দ্বীন হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আমরা মরদেহ নিয়ে রামগঞ্জে আসতে সন্ধা হয়ে যায়। খবর পেয়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা হসপিটাল ঘেরাও করে উক্ত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, রামগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ প্রাইভেট হসপিটালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান করলেও অধিকাংশ চিকিৎসকের কোনো কাগজপত্র নেই। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি করা প্রয়োজন।

সোমবার অভিযুক্ত চিকিৎসক ফারজানা তালুকদার ন্যান্সির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বার বার কল দেয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উনার ব্যক্তিগত আরেকটি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কল দিলে তিনি জানান, সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যপারে কথার বলার প্রয়োজন নাই। যাদের সাথে কথা বলার দরকার তাদের সাথে কথা হয়েছে।

হসপিটাল মালিক আল ফারুক জানান, আপনারা তো অনেকেই নিউজ করেছেন-ফেসবুকে ভাইরাল করেছেন। অন্য কোনো হসপিটাল মনে হয় এমন চিকিৎসা করেন না। সব ভুল আমাদেরই, এখন আর কি করা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দার মোবাইলে প্রথমে বিষয়টি না জানার কথা বললেও পরে জানান, শুনেছি আমি হালকা হালকা, আচ্ছা আমি খোঁজ নিই। আমি ঢাকার বাহিরে আছি-তো। পুরো বিষয়টি বলতে পারবো না।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

ভুল চিকিৎসায় রামগঞ্জে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:২২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

 

 

 

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আল ফারুক প্রাইভেট হসপিটালের গাফিলতি ও চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় নাজমা খাতুন (৩৫) নামের এক প্রসূতি ও নবজাতক কন্যা শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে তাদের মৃত্য হয়েছে। নাজমা খাতুন রামগঞ্জ পৌর জগৎপুর গ্রামের কোয়াজি বাড়ির প্রবাসী আসাদ উল্যার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্বজনরা হসপিটাল ঘেরাও করে চিকিৎসক ফারজানা তালুকদার ন্যান্সির শাস্তি দাবি করেন।

নাজমা খাতুনের বড় মেয়ে জ্যোতি আক্তার (যুথি) জানান, গত ৩০ জুন তার মা নাজমা খাতুন রামগঞ্জ আল ফারুক হসপিটালের চিকিৎসক ফারজানা তালুকদার ন্যান্সির কাছে নিয়মিত চেকআপ করাতে আসেন।
এ সময় তিনি চিকিৎসককে তার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা জানালে ন্যান্সি ইনজেকশন দিয়ে ব্যথা কমিয়ে দেয়ার পর শারিরীক সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। চলতি মাসের ২ তারিখে তীব্র ব্যাথা নিয়ে আবারও হসপিটালে আসলে ঐ চিকিৎসক তাকে দ্বিতীয়বারের মতো ইনজেকশন দিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন। তিন তারিখেও আমার মা হসপিটালে আসলে চিকিৎসক জানান, কোনো সমস্যা নাই।

পরদিন থেকে গর্ভের বাচ্চার নড়াচড়া না হওয়ায় আমরা চতুর্থবারের মতো মাকে হসপিটালে আনলে চিকিৎসক জানান, বাচ্চার হার্টবিট নেই-বাচ্চা গর্ভে মারা গেছে। দ্রুত সিজার করিয়ে আমার মায়ের শারিরীক অবস্থা বেশি ভালো না বলে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে।

উপায়ন্তর না দেখে আমার মাকে ঢাকার আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক জানান, নাজমা খাতুন ভুল চিকিৎসকের শিকার হয়েছেন। প্রায় ১২/১৩ দিন সেখানে চিকিৎসা করিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করলেও মাকে বাঁচাতে পারিনি। আমরা উক্ত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করছি। এখন তারা আমাদের টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাপ প্রয়োগ করছে।

নাজমা খাতুনের ঝা মীনা বেগম জানান, মাত্র ৫/৭ মিনিটে আমার ঝা’এর সিজার করেই তাড়াহুড়ো উক্ত চিকিৎসক ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন।
আমরা ঢাকায় নিয়ে গেলে ঐখানকার চিকিৎসক জানান, নাজমা খাতুন ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। সোমবার সকালে আমার ঝা আদ্ব-দ্বীন হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আমরা মরদেহ নিয়ে রামগঞ্জে আসতে সন্ধা হয়ে যায়। খবর পেয়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা হসপিটাল ঘেরাও করে উক্ত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, রামগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ প্রাইভেট হসপিটালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান করলেও অধিকাংশ চিকিৎসকের কোনো কাগজপত্র নেই। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি করা প্রয়োজন।

সোমবার অভিযুক্ত চিকিৎসক ফারজানা তালুকদার ন্যান্সির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বার বার কল দেয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উনার ব্যক্তিগত আরেকটি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কল দিলে তিনি জানান, সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যপারে কথার বলার প্রয়োজন নাই। যাদের সাথে কথা বলার দরকার তাদের সাথে কথা হয়েছে।

হসপিটাল মালিক আল ফারুক জানান, আপনারা তো অনেকেই নিউজ করেছেন-ফেসবুকে ভাইরাল করেছেন। অন্য কোনো হসপিটাল মনে হয় এমন চিকিৎসা করেন না। সব ভুল আমাদেরই, এখন আর কি করা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দার মোবাইলে প্রথমে বিষয়টি না জানার কথা বললেও পরে জানান, শুনেছি আমি হালকা হালকা, আচ্ছা আমি খোঁজ নিই। আমি ঢাকার বাহিরে আছি-তো। পুরো বিষয়টি বলতে পারবো না।