প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
ঢাকা জেলার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা হতে নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ জুলাই ২০২৩ তারিখ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার আসামী’ মোঃ সাদেকুর ইসলাম মামুন (২৬)’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ২৮ মে ২০২২ তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাদেকুর ইসলাম এবং ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহ পরবর্তী আসামী মোঃ সাদেকুর ইসলাম যৌতুকের টাকাসহ বিভিন্ন কারণে ভিকটিম’কে নির্যাতন শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ মে ২০২৩ তারিখ ধৃত আসামী ও ভিকটিমের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পর হতে ধৃত আসামী ভিকটিমকে নানাভাবে ভয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো। গত ০৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় ভিকটিমের ভাড়া বাসার রুমে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভিকটিমকে পুনরায় তার সাথে সংসার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং ভিকটিম তাতে রাজি না হওয়ায় আসামী ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে ভিকটিমকে জখম করে এবং ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
অতঃপর ভিকটিম বাচার জন্য আর্তচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী দরজায় তালা দিয়ে ঘটনাস্থল হতে কৌশলে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন ভিকটিমের বাড়িতে এসে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম র্যাব-৪ বরাবর বর্ণিত ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে র্যাব-৪ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। (মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক