ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
শুক্রবার জুম্মার নামাজের শেষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় আইনপুর গ্রামে মসজিদ কমিটি কোন্দলের হামলার জেরে নারী সহ আহত হয়েছেন ১০জন। আহতরা হলেন, মৃত আরশেদ আলীর ছেলে মির্জা রফিক, রফিকের স্ত্রী মাজেদা খাতুন, মৃত মাজম উদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী, মির্জা বেলায়েত হোসেনের ছেলে আমিন, অপর পক্ষে আহত হয়েছেন জয়নাল আবেদীন তুলা (৫৫) শাহদাৎ হোসেনের স্ত্রী জহুরা বেগম (৪০) সোহরাব আলীর ছেলে শাকিল (২২) সবুজ (১৯) মুকুল হোসেনের ছেলে শামীমুল ইসলাম (১৫) ওয়াহেদ আলীর ছেলে ফরহাদ (৪০)। তাদের পাশ্ববর্তী উপজেলা গোপালপুর এবং ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে উভয়ে গোপালপুর থানা ও ঘাটাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা বড় আইনপুর গ্রামে ৪৮টি পরিবারের সহযোগিতায় ১৯৯২ সালে একটি মসজিদের জন্য ১৬ ডিসিমল জায়গা ওয়াকফ করে দেন মৃত শামসুল হক। ২০২২সালে মসজিদ কমিটি সভাপতি হন গোপালপুর থানা গাঙ্গাপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন তুলা। আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে গ্রামের লোকের সহযোগিতায় মির্জা মুক্তার আলী সভাপতি করে নতুন একটি কমিটি তৈরী করা হয়। জয়নাল আবেদীন তুলার বসবাস পাশ্ববর্তী উপজেলার গোপালপুর পৌরসভা।
নতুন কমিটি সভাপতি মির্জা মুক্তার আলীর বসবাস ঘাটাইল উপজেলা দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় আইনপুর গ্রামে। দুই সভাপতির ঠিকানা দুই উপজেলা হওয়ার কারনে শুরু হয় মসজিদ কমিটি নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ। বিষয়টি দেউলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সমাধনের লক্ষে নোটিশ করা হলে তারা হাজির হননি।
এমনকি মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসাব নতুন কমিটির লোকজন জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন তুলা কোন হিসাব দিতে রাজি হননি। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের নামে দানের টাকা কার কাছে রাখবে এটা নিয়ে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা। এক পর্যাযে তারা উভয়ে হাতাহাতি জড়িয়ে পড়েন। এরই রেশ ধরে শনিবার দুপুরে জয়নাল আবেদীন তুলার লোকজন বাড়ি ঘরে হামলা করে ভাংচুর করেন।
দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান জানান, মুলত মসজিদ কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের হামলার শিকার হয়েছে। হামলা বিষয়ে দেউলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সুজাত আলী খান জানান মুলত জমি দাতা ও বহিরাগতদের মাঝে কমিটি নিয়ে সমস্যা। আমি তিনবার নোটিশ করেছি কিন্তু তারা আসেনি।
উভয় পক্ষের হামলার ঘটনায় অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, যেহেতু এটা সামাজিক বিষয় আমরা উভয় পক্ষের লোকজন ডেকেছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য।