বাংলাদেশ ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিনব কায়দায় পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ রাসেল ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব-১। শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি মন্দিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সড়কে বেদুরিয়া নদীর উপরে ৪০বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজের বেহাল দশা, দুর্ঘটনার আশঙ্কা তালতলীতে ভাসা প্রকল্পের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু একই পরিবারের ০৩ জন’কে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা সাগর আলী ও তার স্ত্রী ইশিতা বেগমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আকাশ গ্রুপের ০৫ জন এবং পৃথক অভিযানে ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে ১৫ জন ছিনতাইকারীসহ মোট ২০ জন গ্রেফতার। নওগারঁ মান্দায় এক বছর না যেতেই ধসে পড়ল কালভার্ট নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার। নোয়াখালীতে গণপূর্তের শত কোটির জায়গা উদ্ধার অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহনের সময় ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফকতার করেছে র‌্যাব-৬। শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত রানীশংকলের কারিগররা অভিনব কৌশলে স্কুটির টায়ার ও সিট কভারে মাদক পরিবহন কালে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১০, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত স্কুটি জব্দ। আ. লীগ সরকার যতো উন্নয়ন করেছে, অতীতে কোন সরকার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি: পলক সিংড়ায় স্বামীর অধিকার আদায়ে অনশন করেছে স্ত্রী নৌকার বিরোধিতা করেও ছাত্রলীগের সভাপতি হতে চায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব মৃধা

মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

 

 

সোহেল রানা রাজশাহী তানোর থেকে
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে তাদের থাকতে হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের সিমানা প্রাচীর ও সেন্ট্রি পোষ্ট না থাকায় নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে তাদের কার্যক্রম চলছে।

 

 

 

এছাড়াও অভ্যর্থনা কক্ষ, আবাসন সংকট, বাবুর্চি, টহলগাড়ী, চেয়ার, টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র ও উপকরণের অভাবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের নিজস্ব কোন ভবণ নেই ভাড়াটিয়া ভবনে স্থাপনের পর থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। ঝুঁকিপুর্ণ নিরাপত্তা প্রাচীরের মধ্যে আটক অপরাধীদের পৃথক কক্ষ না থাকায় অনেকটা আশংকার মধ্য তাদের কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

 

 

 

 

জানা গেছে, উপজেলা ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জনবহুল ও বিস্তীর্ণ এই উপজেলার আইনশৃংঋলা রক্ষার্থে বিগত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় একটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রথমে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভাড়াটিয়া দ্বিতল ভবনে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রর কার্যক্রম শুরু হয়।

 

 

 

 

পরবর্তীতে মুন্ডুমালা ডাকবাংলোয় স্থানান্তরিত করা হয়। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা, বাধাইড় ও পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) বিস্তীর্ণ এলাকার আইনশৃংঋলার উন্নতি, অপরাধ দমন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষন অসামাজিক কার্যক্রলাপ রোধে এবং থানা হতে দুরবর্তি দুর্গম পল্লী এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের মহৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপিত হয়। থানা হতে দুরবর্তি এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়।

 

 

 

 

বর্তমানে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি মুন্ডুমালা ডাকবাংলো দ্বিতল ভবন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দ্বিতল ভবনের ৪টি কক্ষ একটি কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, অপর দুটি কক্ষে দু’জন কর্মকর্তা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন বাঁকি একটি কক্ষে পুলিশ সদস্যদের এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ও ঘোরাফেরা করে কর্তব্য পালন করতে হয়। তাছাড়া সেবা প্রার্থীদের  নিদ্রিষ্ট কোনো বসার জায়গা না থাকায় কাজের জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হয়। কেননা এখানে কোন অর্ভ্যথনা কক্ষ নেই। বর্তমানে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দুইজন এসআই, দুইজন এএসআই এবং পনের জন কনষ্টেবল (পুলিশ সদস্য) কর্মরত রয়েছেন।

 

 

 

মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (কর্মকর্তা) বলেন, এলাকার অপরাধ দমনে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্র বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। কিন্ত তদন্তকেন্দ্রে কোন সেন্ট্রিপোষ্ট ও নিরাপত্তা প্রাচীর ঝুঁকিপুর্ণ  থাকায় পুলিশ সদস্যদের  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

 

 

 

 

তিনি আরো জানান, দ্বিতল ভবনের নিচের দু’ কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং দোতলার দু’ কক্ষ ডরমেটরি হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকলেও পৃথক ডাইনিং চেয়ার টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও উপকরণের অপ্রতুল্যতার মধ্যদিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

 

 

 

এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে একটি ভাড়া ভবনে, যা অনেক আগেই ঝুঁকিপুর্ণ হয়েছে, সেখানে অনেক সমস্যাও রয়েছে। তবে এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃংঋলা রক্ষার কথা মাথায় রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্তকেন্দ্র ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিনব কায়দায় পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ রাসেল ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাব-১।

মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত 

আপডেট সময় ০১:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

 

 

 

 

 

 

সোহেল রানা রাজশাহী তানোর থেকে
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে তাদের থাকতে হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের সিমানা প্রাচীর ও সেন্ট্রি পোষ্ট না থাকায় নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে তাদের কার্যক্রম চলছে।

 

 

 

এছাড়াও অভ্যর্থনা কক্ষ, আবাসন সংকট, বাবুর্চি, টহলগাড়ী, চেয়ার, টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র ও উপকরণের অভাবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তদন্তকেন্দ্রের নিজস্ব কোন ভবণ নেই ভাড়াটিয়া ভবনে স্থাপনের পর থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। ঝুঁকিপুর্ণ নিরাপত্তা প্রাচীরের মধ্যে আটক অপরাধীদের পৃথক কক্ষ না থাকায় অনেকটা আশংকার মধ্য তাদের কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

 

 

 

 

জানা গেছে, উপজেলা ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জনবহুল ও বিস্তীর্ণ এই উপজেলার আইনশৃংঋলা রক্ষার্থে বিগত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় একটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রথমে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভাড়াটিয়া দ্বিতল ভবনে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রর কার্যক্রম শুরু হয়।

 

 

 

 

পরবর্তীতে মুন্ডুমালা ডাকবাংলোয় স্থানান্তরিত করা হয়। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা, বাধাইড় ও পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) বিস্তীর্ণ এলাকার আইনশৃংঋলার উন্নতি, অপরাধ দমন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষন অসামাজিক কার্যক্রলাপ রোধে এবং থানা হতে দুরবর্তি দুর্গম পল্লী এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের মহৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপিত হয়। থানা হতে দুরবর্তি এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে এ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়।

 

 

 

 

বর্তমানে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি মুন্ডুমালা ডাকবাংলো দ্বিতল ভবন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দ্বিতল ভবনের ৪টি কক্ষ একটি কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, অপর দুটি কক্ষে দু’জন কর্মকর্তা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন বাঁকি একটি কক্ষে পুলিশ সদস্যদের এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ও ঘোরাফেরা করে কর্তব্য পালন করতে হয়। তাছাড়া সেবা প্রার্থীদের  নিদ্রিষ্ট কোনো বসার জায়গা না থাকায় কাজের জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হয়। কেননা এখানে কোন অর্ভ্যথনা কক্ষ নেই। বর্তমানে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দুইজন এসআই, দুইজন এএসআই এবং পনের জন কনষ্টেবল (পুলিশ সদস্য) কর্মরত রয়েছেন।

 

 

 

মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (কর্মকর্তা) বলেন, এলাকার অপরাধ দমনে এই পুলিশ তদন্তকেন্দ্র বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। কিন্ত তদন্তকেন্দ্রে কোন সেন্ট্রিপোষ্ট ও নিরাপত্তা প্রাচীর ঝুঁকিপুর্ণ  থাকায় পুলিশ সদস্যদের  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হচ্ছে।

 

 

 

 

তিনি আরো জানান, দ্বিতল ভবনের নিচের দু’ কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং দোতলার দু’ কক্ষ ডরমেটরি হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকলেও পৃথক ডাইনিং চেয়ার টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও উপকরণের অপ্রতুল্যতার মধ্যদিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

 

 

 

এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে একটি ভাড়া ভবনে, যা অনেক আগেই ঝুঁকিপুর্ণ হয়েছে, সেখানে অনেক সমস্যাও রয়েছে। তবে এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃংঋলা রক্ষার কথা মাথায় রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্তকেন্দ্র ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে।