তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি
ড.ইউনূস সাহেবের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশনের ঘোষণা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে ঘায়েল করার জন্য এই পায়তারি করে যাচ্ছে ইউনূস তার প্রিয়জন হিলারী ক্লিনটনের মাধ্যমে। নোবেলে শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকা রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সাথে গাঁট বেঁধেছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
আজ (৩০ মে) মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “জুলি ও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেছেন তিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাইডেন প্রশাসনে তদবিরকারক (লবিস্ট) নিয়োগ দিয়েছে, এমনকি ইউরোপ ইউনিয়নেও। তাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন ও এদের তদবিরকে ভিত্তি দিচ্ছে তিনি। ড. ইউনুস অনেক জায়গায় বলেছেন, জীবনের শেষে এসেও প্রতিশোধ নেবেন। এই প্রেক্ষিতেই বিদেশীরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে ওঠেছে।”
উপমন্ত্রী মুহিব চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়নি। অপশাসন, দুঃসাসন সকল বিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন সুশৃঙ্খল ভাবে।শান্তির মধ্য দিয়ে। দেশে একটা গোষ্ঠী সবসময় অশান্তি চায়। তাদের লক্ষ্য থাকে সরকারকে সবসময় বিপাকে ফেলা। কারণ দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলেই অন্য দেশ গুলোগুলি সুযোগ পেয়ে যায়। ব্যবসায়ী দিক থেকে তারা সুবিধা নেয়।
এসময় তিনি সকল ছাত্রসমাজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে পুথিগত পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষা এবং প্রযুক্তি বিষয়াবলিতে দক্ষ হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনা সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাস। প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিনহাজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু কতটা শান্তি প্রিয় ছিলেন সেটি তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে প্রতিফলিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হবে। সামনের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তর্জাতিক অনৈতিক চাপ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বর্তমান সরকারকে আরো একবার সুযোগ দিতে হবে। দলের ঐক্যবদ্ধতা ধরে রেখে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যার বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।