বাংলাদেশ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নৌকার বিরোধিতা করেও ছাত্রলীগের সভাপতি হতে চায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব মৃধা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে জুয়েলের ডাকা যুব সমাবেশ মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বোরহানউদ্দিনে দুই পুলিশ এর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধর, শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ  রানীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন গৌরীপুরে পিপিআর টিকা ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন যখন কুকুরের কামড়েই আহত ২০। সেই সময় ফুলবাড়ীতে ঢিলেঢালা ভাবে পালন হলো বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। রাবেয়া ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম করায় ক্লিনিক মালিককে অর্থদন্ড করেছে র‌্যাব-৬ এর ভ্রাম্যমান আদালত। নওগাঁয় বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি  মাধবপুর প্রবাসির স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ আটক ২ ভালুকায় মসজিদ ও এতিমখানার জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ দোকান নির্মাণ ভালুকার আবুল কালাম আজাদ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নাটোরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানের সময় চড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে মুলাদী-বাবুগঞ্জে ব্যাপক গনসংযোগ করছেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তারিকুল হাসান মিঠু খান

ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন, দাম ভালো পাওয়া স্বস্তিতে কৃষক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • ১৬১৫ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন, দাম ভালো পাওয়া স্বস্তিতে কৃষক

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার হাট বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা ও পাকা মরিচ। মরিচের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া রেলস্টেশন সহ প্রতিটি রেললাইন এখন লাল মরিচের সমারোহ। মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তাই লাইনে শুকনো মাটির উপর পাটির উপরে শুকোতে দেয়া হচ্ছে লাল মরিচ।
এ রেলগেইট এলাকাতেই প্রতিদিন কয়েকটি এলাকার চাষিরা মরিচ শুকাতে আসেন। এখান থেকে মরিচ পাইকারী দরে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ স্টেশন এলাকা থেকে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুকনা মরিচ কেনাবেচা হয়।
আলী হোসেন নামে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে মরিচ বিন্দু ও বাঁশগাড়া জাতের মরিচ আবাদ করেন। তিনি বলেন, নিড়ানী, সেচ ও পরিচর্যা পর্যন্ত তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ঐ জমিতে মরিচ উৎপাদন হচ্ছে কমপক্ষে ১০ মণ। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
একই এলাকার কৃষক ফজলে আলম বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের ফলন আশানুরুপ হয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। এ রেল গেইট এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, এতে ১ লাখ টাকা খরচ হলেও লাভ থাকবে প্রায় ৩ লাখ টাকা। রবি নামে এক কৃষক বলেন, পৌষ মাসে মরিচের চারা রোপণ করার পর থেকে মরিচ উৎপাদন পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস সময়ের প্রয়োজন হয়। বিন্দু, সেকা, মাশকারা, মল্লিকা সহ বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ হয় এই এলাকায়।
পাশের এলাকার স্বামীর সঙ্গে মরিচ শুকাতে আসা বেগম বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, মরিচের চারা রোপণ, সার-বিষ, রোদে শুকানো সহ সব কাজ নিজেরাই করি, গতবারের তুলনায় এবার অনেক ভালো মরিচ হয়েছে, এবারে মরিচ নষ্ট হয়নি, মরিচের দামও বেশ ভালো, আমরা সবাই এবার খুশি। এদিকে, খেতে মরিচ সংগ্রহ কাজে শিশু-কিশোর পাশাপাশি পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও এতে যোগ দেন। প্রতিটি মরিচের ঝুড়ি ভর্তি হলে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হিসেবে দিনে আয় করছেন কমপক্ষে ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ১শ ৬৩ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদিত হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

নৌকার বিরোধিতা করেও ছাত্রলীগের সভাপতি হতে চায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব মৃধা

ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন, দাম ভালো পাওয়া স্বস্তিতে কৃষক

আপডেট সময় ০৭:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

 

 

 

 

সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার হাট বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা ও পাকা মরিচ। মরিচের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া রেলস্টেশন সহ প্রতিটি রেললাইন এখন লাল মরিচের সমারোহ। মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তাই লাইনে শুকনো মাটির উপর পাটির উপরে শুকোতে দেয়া হচ্ছে লাল মরিচ।
এ রেলগেইট এলাকাতেই প্রতিদিন কয়েকটি এলাকার চাষিরা মরিচ শুকাতে আসেন। এখান থেকে মরিচ পাইকারী দরে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ স্টেশন এলাকা থেকে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুকনা মরিচ কেনাবেচা হয়।
আলী হোসেন নামে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে মরিচ বিন্দু ও বাঁশগাড়া জাতের মরিচ আবাদ করেন। তিনি বলেন, নিড়ানী, সেচ ও পরিচর্যা পর্যন্ত তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ঐ জমিতে মরিচ উৎপাদন হচ্ছে কমপক্ষে ১০ মণ। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
একই এলাকার কৃষক ফজলে আলম বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের ফলন আশানুরুপ হয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। এ রেল গেইট এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, এতে ১ লাখ টাকা খরচ হলেও লাভ থাকবে প্রায় ৩ লাখ টাকা। রবি নামে এক কৃষক বলেন, পৌষ মাসে মরিচের চারা রোপণ করার পর থেকে মরিচ উৎপাদন পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস সময়ের প্রয়োজন হয়। বিন্দু, সেকা, মাশকারা, মল্লিকা সহ বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ হয় এই এলাকায়।
পাশের এলাকার স্বামীর সঙ্গে মরিচ শুকাতে আসা বেগম বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, মরিচের চারা রোপণ, সার-বিষ, রোদে শুকানো সহ সব কাজ নিজেরাই করি, গতবারের তুলনায় এবার অনেক ভালো মরিচ হয়েছে, এবারে মরিচ নষ্ট হয়নি, মরিচের দামও বেশ ভালো, আমরা সবাই এবার খুশি। এদিকে, খেতে মরিচ সংগ্রহ কাজে শিশু-কিশোর পাশাপাশি পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও এতে যোগ দেন। প্রতিটি মরিচের ঝুড়ি ভর্তি হলে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হিসেবে দিনে আয় করছেন কমপক্ষে ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ১শ ৬৩ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদিত হবে।