প্রেস বিজ্ঞপ্তি

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার আসামি’কে দীর্ঘ ০৮ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-২। 

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়াও দীর্ঘদিনের পালাতক সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ রুবেল(৪০) একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বর্ণিত আসামি ০৫ অক্টোবর ২০১৪ সালে বিপুল পরিমান মাদকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়।

পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় মামলা নং-০৭, তারিখ-০৫/১০/২০১৪খ্রিঃ, ধারা-১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ)/১৯(৪) এ মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ০৪ মাস জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। অন্য দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরবর্তীতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামি মোঃ রুবেল(৪০)’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড অনাদয়ে ১ (এক) মাস কারাদন্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ রুবেল(৪০)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ২৭/০৫/২০২৩খ্রিঃ দিবাগত রাতে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ রুবেল (৪০), পিতাঃ মৃত সুলতান মোহুরী, থানা-পিরগাছা, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করে।

আসামিকে গ্রেফতারপূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উল্লিখিত মাদক মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো রাজমিস্ত্রির সহকারী, রিক্সা চালক এবং ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করত।

উক্ত কাজের আড়ালে মাদক পরিবহণ এবং মাদকসেবীদের কাছে মাদক বিক্রি করত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র‌্যাব-২ এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মোঃ ফজলুল হক সিনিঃ এএসপি সিনিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) পক্ষে অধিনায়ক মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১০২০৩