বাংলাদেশ ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই।  সলঙ্গায় জামাল মাস্টারের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত 

০১ মাসে প্রতারণা মূলক ভাবে কোটি টাকার অধিক সরকারী অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা কম্পিউটার প্রকৌশলী শাহরিয়ার ও তার অন্যতম সহযোগী আজিমসহ জড়িত ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে

০১ মাসে প্রতারণা মূলক ভাবে কোটি টাকার অধিক সরকারী অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা কম্পিউটার প্রকৌশলী শাহরিয়ার ও তার অন্যতম সহযোগী আজিমসহ জড়িত ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

বিআরটিএ এর প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক করে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, লাইসেন্স নবায়নসহ বিভিন্ন কাজে গ্রাহকদের নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করে গত ০১ মাসে প্রতারণা মূলক ভাবে কোটি টাকার অধিক সরকারী অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা কম্পিউটার প্রকৌশলী শাহরিয়ার ও তার অন্যতম সহযোগী আজিমসহ জড়িত ০৬ জনকে রাজধানীর কাফরুল, মিরপুর ও গাজীপুর সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

 

 

 

 

 

সাম্প্রতিক কালে অনলাইন ভিত্তিক প্রতারণার নতুন-নতুন কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানী এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। সাম্প্রতিক এসব ডিজিটাল ভিত্তিক অর্থ আত্মসাৎকারী ডিজিটাল প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর।

 

 

 

 

গত ১০ মে ২০২৩ তারিখে সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ অভিযোগ প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, উক্ত কোম্পানীর মাসিক লেনদেনের বিবরণীর সাথে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের লেনদেন বিবরণী যাচাই-বাচাই শেষে বিআরটিএ এর মোট ৩৮৯টি ট্রানজেকশনের প্রায় ১,২০,০০০,০০/-(এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকার গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে উক্ত ট্রানজেকশনের পেমেন্ট স্ট্যাটাস পেইড দেখালেও মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি।

 

 

 

এ প্রেক্ষিতে ‘‘সিএনএস লিমিটেড’’ র‌্যাব-৪ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘‘সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ’’ এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল ও গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে “সিএনএস লিঃ বাংলাদেশ” এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম (২৬), কুমিল্লা এবং তার ০৫ সহযোগী ২। মোঃ আজীম হোসেন (২৭), ঝিনাইদহ ৩। মোঃ শিমুল ভূঁইয়া (৩২), নারায়ণগঞ্জ ৪। রুবেল মাহমুদ (৩৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫। ফয়সাল আহাম্মদ (২৩), চাঁদপুর ও ৬। আনিচুর রহমান (২৩), চাঁদপুর’দেরকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

 

উদ্ধার করা হয় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিপিইউ, মোবাইল ফোন, সীমকার্ড, পেনড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ নগদ ১,৮৯,৬৫৯ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রতারণামূলকভাবে বিআরটিএ এর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস মিরপুরস্থ একটি সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি যারা বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে।

 

 

 

উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) এর সাথে বিগত ১০-১১ বছর যাবৎ চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বিভিন্ন ব্যাংক এবং অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে বিআরটিএতে হস্তান্তরের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেনের কার্যাবলী সম্পাদন করত।

 

 

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার বিভিন্ন আন-ইথিক্যাল হ্যাকিং ম্যাথড এপ্লাই করে অভিনব কায়দায় “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” ওয়েবসাইট এর পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করার মাধ্যমে মানি রিসিপ্ট প্রস্তুত করত। এভাবে তারা সাধারণ জনগণ হতে বিভিন্ন গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিসহ বিভিন্ন কাজে অর্থ সংগ্রহ করত এবং তাদেরকে অর্থ পরিশোধের মানি রিসিপ্ট প্রদান করত যদিও কোন টাকা সরকারী ফান্ডে জমা হত না। এভাবে তারা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হতে বঞ্চিত করে।

 

 

 

গ্রেফতারকৃতরা গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ হতে ১০ মে ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সফটওয়্যার কর্তৃক নকল কোড ব্যবহার করে তৈরিকৃত সর্বমোট ৩৮৯টি মানি রিসিপ্ট প্রস্তুতের মাধ্যমে সরকারী প্রায় ১,২০,০০০,০০.০০ (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করেছে বলে জানায়।

 

 

 

 

এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, ইতোপূর্বে গত ২০২২ সালের শেষের দিকে তারা ডেসকো কোম্পানীর ওয়েবসাইট হ্যাক করে ট্রানজেকশন আইডি তৈরী করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ডেসকো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের ওয়েবসাইটের কিছু পরিবর্তন আনলে উক্ত পেমেন্ট স্লিপে আনপেইড উল্লেখ থাকায় গ্রাহকগণ পুনরায় বিল পেমেন্ট করে।

 

 

 

 

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে জানায় যে, তারা মাঠ পর্যায়ের গ্রাহকদের নিকট হতে বিভিন্ন গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিসহ বিভিন্ন কাজের জন নির্ধারিত ফি এবং গাড়ীর কাগজপত্র রাজধানীর মিরপুরে ‘মায়ের দোয়া বিজনেস সেন্টার’ ও ‘চাঁদপুর বিজনেস সেন্টার’ কর্তৃক গ্রহণ করত।

 

 

 

 

পরবর্তীতে গাড়ীর সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে হ্যাকিং এর কাজে প্রস্তুতকৃত সফটওয়্যার কর্তৃক নকল কোড ব্যবহার করে তৈরিকৃত মানি রিসিপ্ট এর পিডিএফ কপি ফয়সাল ও আনিচুরের নিকট চ্যানেল মোতাবেক পাঠিয়ে দিত। ফয়সাল ও আনিচুর ঐ মানি রিসিপ্ট হাতে পাওয়ার পর সেটা গ্রাহককে বুঝিয়ে দিয়ে ক্যাশ টাকা গ্রহণ করত। এরপর গ্রাহক ঐ মানি রিসিপ্ট দিয়ে বিআরটিএ এর সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদন করত।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার এই প্রতারণা চক্রের মূল হোতা। সে একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে সফ্ধসঢ়;টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়ে পড়াশোন শেষ না করে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সময় সে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং এর পেমেন্ট রেসপন্স কোড সম্পর্কে ধারণা পায়।

 

 

 

 

একপর্যায়ে সে নিজেই প্রতারণার উদ্দেশ্যে একটি সফ্ধসঢ়;টওয়্যার তৈরী করে যার মাধ্যমে অভিনব কায়দায় “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” ওয়েবসাইট এর পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করে মানি রিসিপ্ট প্রস্তুত করত। উক্ত প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রেফতারকৃত আজিমের সাথে যোগাযোগ করে এবং আজিমকে সফটওয়্যার সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করে। সে আজিমকে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক হতে অর্থ সংগ্রহ ও উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় সফ্ধসঢ়;টওয়্যারের মাধ্যমে ভুয়া মানি রিসিপ্ট প্রস্তুত করার সার্বিক দায়িত্ব প্রদান করে।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আজিম প্রতারণা চক্রের মূলহোতা শাহরিয়ার এর অন্যতম সহযোগী এবং পুরো প্রতারণা প্রক্রিয়ার অপারেশন প্রধান ছিল। সে মূলত প্রস্তুতকৃত সফ্ধসঢ়;টওয়্যার কর্তৃক নকল কোড ব্যবহার করে মানি রিসিপ্ট তৈরি করত এবং উক্ত মানি রিসিপ্টের পিডিএফ কপি শিমুলকে প্রদান করত। সে ২০১৬-২০১৭ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্নের নিমিত্তে ঢাকার একটি কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়ণরত ছিল।

 

 

 

পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। বর্তমানে সে একটি সফটওয়ার কোম্পানীতে কর্মরত। সে চক্রের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার এর মাধ্যমে বিআরটিএ ও অনলাইন ব্যাংকিং প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়। গ্রেফতারকৃত শিমুল ২০১৯ সালে ঢাকার একটি কলেজ হতে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে। সে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসি ছিল।

 

 

 

 

 

গত মার্চ মাসে সে ছুটিতে দেশে এসে গ্রেফতারকৃত আজিমের মাধ্যমে উক্ত প্রতারক চক্রের সাথে যুক্ত হয়। সে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক হতে সংগৃহিত অর্থ ও সফ্ধসঢ়;টওয়্যারের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভুয়া মানি রিসিপ্ট আজিমের নিকট থেকে সংগ্রহ করে ফয়সালের নিকট প্রেরণের মাধ্যমে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করত।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত রুবেল ২০১৪ সালে হোমনার একটি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেনি। সে গাড়ী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। সে গ্রেফতারকৃত শিমুল এর মাধ্যমে উক্ত প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়। সে গ্রেফতারকৃত ফয়সালের নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করে শিমুলের নিকট প্রদান করত।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত ফয়সাল ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। সে রাজধানীর মিরপুরে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা করত। সে গ্রেফতারকৃত রুবেল এর মাধ্যমে উক্ত প্রতারণার সাথে যুক্ত হয় এবং মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ করত। গ্রেফতারকৃত আনিচুর ২০১৮ সালে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ভর্তি হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি সে রাজধানীর মিরপুরে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা করত। সে তার ফুফাতো ভাই গ্রেফতারকৃত ফয়সাল এর মাধ্যমে উক্ত প্রতারণার সাথে যুক্ত হয় মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ করত।

 

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

০১ মাসে প্রতারণা মূলক ভাবে কোটি টাকার অধিক সরকারী অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা কম্পিউটার প্রকৌশলী শাহরিয়ার ও তার অন্যতম সহযোগী আজিমসহ জড়িত ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আপডেট সময় ১১:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

বিআরটিএ এর প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সার্ভার হ্যাক করে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, লাইসেন্স নবায়নসহ বিভিন্ন কাজে গ্রাহকদের নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করে গত ০১ মাসে প্রতারণা মূলক ভাবে কোটি টাকার অধিক সরকারী অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা কম্পিউটার প্রকৌশলী শাহরিয়ার ও তার অন্যতম সহযোগী আজিমসহ জড়িত ০৬ জনকে রাজধানীর কাফরুল, মিরপুর ও গাজীপুর সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

 

 

 

 

 

সাম্প্রতিক কালে অনলাইন ভিত্তিক প্রতারণার নতুন-নতুন কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানী এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। সাম্প্রতিক এসব ডিজিটাল ভিত্তিক অর্থ আত্মসাৎকারী ডিজিটাল প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর।

 

 

 

 

গত ১০ মে ২০২৩ তারিখে সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ অভিযোগ প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, উক্ত কোম্পানীর মাসিক লেনদেনের বিবরণীর সাথে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের লেনদেন বিবরণী যাচাই-বাচাই শেষে বিআরটিএ এর মোট ৩৮৯টি ট্রানজেকশনের প্রায় ১,২০,০০০,০০/-(এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকার গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে উক্ত ট্রানজেকশনের পেমেন্ট স্ট্যাটাস পেইড দেখালেও মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি।

 

 

 

এ প্রেক্ষিতে ‘‘সিএনএস লিমিটেড’’ র‌্যাব-৪ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘‘সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ’’ এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল ও গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে “সিএনএস লিঃ বাংলাদেশ” এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম (২৬), কুমিল্লা এবং তার ০৫ সহযোগী ২। মোঃ আজীম হোসেন (২৭), ঝিনাইদহ ৩। মোঃ শিমুল ভূঁইয়া (৩২), নারায়ণগঞ্জ ৪। রুবেল মাহমুদ (৩৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫। ফয়সাল আহাম্মদ (২৩), চাঁদপুর ও ৬। আনিচুর রহমান (২৩), চাঁদপুর’দেরকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

 

উদ্ধার করা হয় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিপিইউ, মোবাইল ফোন, সীমকার্ড, পেনড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ নগদ ১,৮৯,৬৫৯ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” এর ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রতারণামূলকভাবে বিআরটিএ এর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস মিরপুরস্থ একটি সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি যারা বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে।

 

 

 

উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) এর সাথে বিগত ১০-১১ বছর যাবৎ চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বিভিন্ন ব্যাংক এবং অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে বিআরটিএতে হস্তান্তরের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেনের কার্যাবলী সম্পাদন করত।

 

 

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার বিভিন্ন আন-ইথিক্যাল হ্যাকিং ম্যাথড এপ্লাই করে অভিনব কায়দায় “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” ওয়েবসাইট এর পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করার মাধ্যমে মানি রিসিপ্ট প্রস্তুত করত। এভাবে তারা সাধারণ জনগণ হতে বিভিন্ন গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিসহ বিভিন্ন কাজে অর্থ সংগ্রহ করত এবং তাদেরকে অর্থ পরিশোধের মানি রিসিপ্ট প্রদান করত যদিও কোন টাকা সরকারী ফান্ডে জমা হত না। এভাবে তারা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হতে বঞ্চিত করে।

 

 

 

গ্রেফতারকৃতরা গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ হতে ১০ মে ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সফটওয়্যার কর্তৃক নকল কোড ব্যবহার করে তৈরিকৃত সর্বমোট ৩৮৯টি মানি রিসিপ্ট প্রস্তুতের মাধ্যমে সরকারী প্রায় ১,২০,০০০,০০.০০ (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করেছে বলে জানায়।

 

 

 

 

এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, ইতোপূর্বে গত ২০২২ সালের শেষের দিকে তারা ডেসকো কোম্পানীর ওয়েবসাইট হ্যাক করে ট্রানজেকশন আইডি তৈরী করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ডেসকো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের ওয়েবসাইটের কিছু পরিবর্তন আনলে উক্ত পেমেন্ট স্লিপে আনপেইড উল্লেখ থাকায় গ্রাহকগণ পুনরায় বিল পেমেন্ট করে।

 

 

 

 

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে জানায় যে, তারা মাঠ পর্যায়ের গ্রাহকদের নিকট হতে বিভিন্ন গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিসহ বিভিন্ন কাজের জন নির্ধারিত ফি এবং গাড়ীর কাগজপত্র রাজধানীর মিরপুরে ‘মায়ের দোয়া বিজনেস সেন্টার’ ও ‘চাঁদপুর বিজনেস সেন্টার’ কর্তৃক গ্রহণ করত।

 

 

 

 

পরবর্তীতে গাড়ীর সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে হ্যাকিং এর কাজে প্রস্তুতকৃত সফটওয়্যার কর্তৃক নকল কোড ব্যবহার করে তৈরিকৃত মানি রিসিপ্ট এর পিডিএফ কপি ফয়সাল ও আনিচুরের নিকট চ্যানেল মোতাবেক পাঠিয়ে দিত। ফয়সাল ও আনিচুর ঐ মানি রিসিপ্ট হাতে পাওয়ার পর সেটা গ্রাহককে বুঝিয়ে দিয়ে ক্যাশ টাকা গ্রহণ করত। এরপর গ্রাহক ঐ মানি রিসিপ্ট দিয়ে বিআরটিএ এর সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদন করত।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার এই প্রতারণা চক্রের মূল হোতা। সে একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে সফ্ধসঢ়;টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়ে পড়াশোন শেষ না করে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সময় সে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং এর পেমেন্ট রেসপন্স কোড সম্পর্কে ধারণা পায়।

 

 

 

 

একপর্যায়ে সে নিজেই প্রতারণার উদ্দেশ্যে একটি সফ্ধসঢ়;টওয়্যার তৈরী করে যার মাধ্যমে অভিনব কায়দায় “সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ” ওয়েবসাইট এর পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করে মানি রিসিপ্ট প্রস্তুত করত। উক্ত প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রেফতারকৃত আজিমের সাথে যোগাযোগ করে এবং আজিমকে সফটওয়্যার সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করে। সে আজিমকে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক হতে অর্থ সংগ্রহ ও উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় সফ্ধসঢ়;টওয়্যারের মাধ্যমে ভুয়া মানি রিসিপ্ট প্রস্তুত করার সার্বিক দায়িত্ব প্রদান করে।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আজিম প্রতারণা চক্রের মূলহোতা শাহরিয়ার এর অন্যতম সহযোগী এবং পুরো প্রতারণা প্রক্রিয়ার অপারেশন প্রধান ছিল। সে মূলত প্রস্তুতকৃত সফ্ধসঢ়;টওয়্যার কর্তৃক নকল কোড ব্যবহার করে মানি রিসিপ্ট তৈরি করত এবং উক্ত মানি রিসিপ্টের পিডিএফ কপি শিমুলকে প্রদান করত। সে ২০১৬-২০১৭ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্নের নিমিত্তে ঢাকার একটি কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়ণরত ছিল।

 

 

 

পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। বর্তমানে সে একটি সফটওয়ার কোম্পানীতে কর্মরত। সে চক্রের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার এর মাধ্যমে বিআরটিএ ও অনলাইন ব্যাংকিং প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়। গ্রেফতারকৃত শিমুল ২০১৯ সালে ঢাকার একটি কলেজ হতে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে। সে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসি ছিল।

 

 

 

 

 

গত মার্চ মাসে সে ছুটিতে দেশে এসে গ্রেফতারকৃত আজিমের মাধ্যমে উক্ত প্রতারক চক্রের সাথে যুক্ত হয়। সে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক হতে সংগৃহিত অর্থ ও সফ্ধসঢ়;টওয়্যারের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভুয়া মানি রিসিপ্ট আজিমের নিকট থেকে সংগ্রহ করে ফয়সালের নিকট প্রেরণের মাধ্যমে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করত।

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত রুবেল ২০১৪ সালে হোমনার একটি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেনি। সে গাড়ী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। সে গ্রেফতারকৃত শিমুল এর মাধ্যমে উক্ত প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়। সে গ্রেফতারকৃত ফয়সালের নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করে শিমুলের নিকট প্রদান করত।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত ফয়সাল ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। সে রাজধানীর মিরপুরে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা করত। সে গ্রেফতারকৃত রুবেল এর মাধ্যমে উক্ত প্রতারণার সাথে যুক্ত হয় এবং মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ করত। গ্রেফতারকৃত আনিচুর ২০১৮ সালে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ভর্তি হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি সে রাজধানীর মিরপুরে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা করত। সে তার ফুফাতো ভাই গ্রেফতারকৃত ফয়সাল এর মাধ্যমে উক্ত প্রতারণার সাথে যুক্ত হয় মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক সংগ্রহের কাজ করত।

 

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক