রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার একটি সরকারি গাছ কর্তন করেছে বলদিপুকুর ক্যাথলিথ মিশনের ফাদার। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয়দের শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে নির্দেশ দিয়ে ফাদার গাছটি কর্তন করেছেন বলে জানান স্হানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর বাজার সংলগ্ন বলদিপুকুর ক্যাথলিথ মিশনের সিমানা প্রাচীরের ১০/১৫ হাত দুরত্বে তেপাতি সংলগ্ন একটি সাইতন গাছ কেটে ফাদার চিলাস কুজুরের নেতৃত্বে গাছটির ডালপালা কেটে ট্রলিতে তুলছে মিশনের আবাসিক ছাত্র এবং ট্রলি শ্রমিকরা। গাছটির গোলাই বিভিন্নভাবে কেটে সেকশন দেয়া হয়েছে।

সংবাদকর্মী দেখে স্হানীয়রা এগিয়ে এসে অভিযোগ করে বলেন, এই গাছটি এই রাস্তার রোদ,ঝড়,বৃষ্টিতে পথিকদের একমাত্র অবলম্বন ছিলো। গাছটি বিশাল এলাকা জুড়ে প্রাকৃতিক শোভা আর ছায়াবর্ধন করে আসছিলো। গাছটির ফুল আর সুভাসে এলাকায় ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তো। গাছটি রক্ষার জন্য তারা শত চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ফাদার তাদের বাধা বিপত্তি কর্নপাত করেনি।

গাছটি কাটার কারন জানতে চাইলে পরিস্থিতি বিরুপ দেখে গাছটি রেখে ফাদার তার ছাত্রসহ শ্রমিকদের নিয়ে সটকে পড়েন। ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ফরহাদ পুটুকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, আমি বাহিরে আছি। গাছের ওখানে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছি। পরে ০৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম (বাবু) উপস্থিত হয়ে গাছের ডালপালাসহ গাছটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।

স্হানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া,আশেক আলী জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অপরাধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। গ্রাম পুলিশ সদস্য, মোক্তার আলী জানান, এই ইউনিয়নে একের পর এক গাছ কাটা হয়েছে। অপরাধীরা ছাড় পাওয়ায় গাছ কর্তনে কেউ বিধি নিষেধ মানছেনা। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা নেওয়া জরুরি। ক্যাথলিথ মিশনের ফাদার চিলাস জানান, গাছটি ভুলক্রমে কাটা হয়েছে। যদি আমাদের দেয় দিবে, নাহলে পরিষদ কিংবা থানায় পাঠে দেবে, তাতে অসুবিধার কি আছে!

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ-দাঃ) রুহুল আমিন জানান, গাছটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্হানীয়সহ এলাকাবাসীর দাবি, গাছটি যারা কর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক।