প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৭, ২০২৪, ৭:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১১, ২০২২, ১১:২২ এ.এম
কুড়িগ্রামের উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অনিয়ম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ভূয়া ভর্তি দেখিয়ে একজন সংরক্ষিত বিধবা অভিভাবককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করলে অভিভাবক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত "উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়"এর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ মার্চ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বিধিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের বিধবা অভিভাবকদের মাঝ থেকে একজন সংরক্ষিত বিধবা সদস্য নির্বাচিত হবেন।
অভিভাবকদের সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ বছর ধরে সভাপতির পদ আঁকড়ে রাখা সাবেক সভাপতি নুরন্নবী ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশ করে কমিটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এশা নামের একজন শিক্ষার্থীকে উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি দেখিয়ে মোছাঃ রেহেনা বেগমকে বিধবা অভিভাবক সদস্য বানান। এরপর মোছাঃ রেহেনা বেগমের নামে মনোনয়নপত্র ক্রয় করে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করলে অভিভাবক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মোছাঃ রেহেনা বেগমের একমাত্র কন্যা এশা সিদ্দিকা উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী যার রোল নম্বর-৬০। এশা সিদ্দিকাকে উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভূয়া ভর্তি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস কবির ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নুরনবী সরকার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। ভোটার তালিকার ২৩০ নম্বর ক্রমিকে রেহেনা বেগমের নাম রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেহেনা বেগম সাবেক সভাপতি নুরনবী সরকারের সম্পর্কে বেয়াইন হন।
এশা সিদ্দিকা আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রী কিনা তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় জানুয়ারি মাসের হাজিরা খাতায় ১১২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে তার কোন নাম নেই। এদিকে উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে এশা সিদ্দিকা তাদের নিয়মিত ছাত্রী বলে দাবি করা হয়েছে।
অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে,সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের তিনজন অভিভাবক সদস্য চলমান নির্বাচন বন্ধ করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নূরে আলম সিদ্দিক বরাবর দাখিল করেন।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও প্রিজাইডিং অফিসার নূরে আলম সিদ্দিক'র সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস কবির জানান, এশা সিদ্দিকা আমার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, এখনও টিসি দেয়নি, জানুয়ারীর হাজিরা খাতায় তার নাম নেই কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুলে খাতায় নাম উঠেনি, মার্চ মাসের খাতায় নাম রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির পাতানো নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকাটিতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।