প্রেস বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাব-১৩ কর্তৃক পঞ্চগড় হতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২, নীলফামারীর একটি আভিযানিক দল ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিঃ গভীর রাতে পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর থানাধীন ধৃত আসামী জ্যোতিস চন্দ্র রায় (৩৮), এর নিজ বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানার মামলা নং ৫৮, তারিখ-১৯/০২/২৩ খ্রিঃ, ধারাঃ ৩৪/৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ৫০৬(২) ধারায় রুজুকৃত প্রতারণা মামলার এজাহারভূক্ত মূল আসামী জ্যোতিস চন্দ্র রায় (৩৮), পিতা- দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়, সাং- উত্তর খালপাড়া, থানা ও জেলা- পঞ্চগড়-কে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আটককৃত আসামী স্বীকার করেন যে, পঞ্চগড় জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সহজ-সরল মানুষদের বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় মর্মে জানায়। গোপন তদন্তে আরো জানা যায় যে, সে তার নিজ এলাকা পঞ্চগড়সহ দিনাজপুরের বিভিন্ন থানা এলাকার মানুষকে চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো। এরই ধারাবাহিকতায় বাদী মোঃ মাসুদ আলী(৩৯), পিতা-মোঃ আজিজুল ইসলাম, সাং-সুইহারী, থানা-কোতয়ালী, জেলা দিনাজপুরকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ধাপে ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নিয়ে মননীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর নকল করে বাদীকে একটি ভূয়া নিয়োগপত্র দেয়। পরবর্তীতে বাদী নিয়োগপত্রটি ভূয়া বুঝতে পেরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, কোতয়ালী, দিনাজপুরে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। তৎপ্রেক্ষিতে দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানার পুলিশ উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয়। এরই সূত্রধরে র‌্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারীর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এজাহার নামীয় মূল আসামীকে তার নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মূলকপি স্বাক্ষরিত
মাহমুদ বশির আহমেদ
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
অধিনায়কের পক্ষে।