বাংলাদেশ ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কুবি শিক্ষক সমিতির সাত দাবি বাস্তবায়নে ছয় সদস্যের কমিটি ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ কর্তৃক মাসিক অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভুয়া আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উধর্বতন কর্মকতা পরিচয় দানকারী প্রতারক ০১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ব্রাহ্মণপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে এক ড্রেজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় ছেলে কর্তৃক মা খুন ঐক্য-বন্ধনের উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কাউখালীতে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা।  হাজার হাজার মোটরসাইকেল শো-ডাউন দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নার প্রচারনা শুরু রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ১ কাপ চায়ের দাম ৫শত টাকা- লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল পলাশবাড়ী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ কটিয়াদীতে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন গ্রেপ্তার। কটিয়াদীতে গণহত্যা দিবস, অযত্নে স্মৃতিস্তম্ভ বিপুল পরিমান ফেনসিডিলসহ ০২ জন পেশাদার বড় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ও মাদক পরিবহনকারী গাড়ী জব্দ। ফুলবাড়ী উপজেলার সমশের নগরে বালু তোলায় বাঁধা দেওয়ায় কৃষককে মারপিট সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার রেহানা ভিডিও কলে বাঁচানোর আকুতি আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বৃষ্টির পানিতে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৪৮ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বৃষ্টির পানিতে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ

 

 

 

 

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি 
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তরমুজ খেতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে পানি লেগে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের কয়েকশ কৃষক।
রংছাতি গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন, আজিজ মৌল্লা ও জহিরুল ইসলাম অনেক ধারদেনা করে এ বছর প্রায় আট একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। প্রতিটি গাছেই প্রায় তরমুজ ফলেছে। আর সপ্তাহ দেড়েক পরই তরমুজগুলো বিক্রির উপযোগী হতো।
কিন্তু গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। তাই তরমুজের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। তাদের দাবি এই তরমুজ খেতে তারা প্রায় আট লাখ টাকা খরচ করেছেন। এর মধ্যে সোয়া লাখ টাকা তাদের, বাকি টাকা ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।
এ অবস্থায় কী করে ঋণ শোধ করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হেলাল, আজিজ ও জহিরুল। বৃষ্টির পানিতে তরমুজ নষ্ট ও চারাগুলো না মরলে তারা অন্তত ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারতেন বলে জানান। শুধু তারাই নন, সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে উপজেলার কয়েক শত কৃষকের খেতের তরমুজ নষ্ট হতে চলেছে। রংছাতি, সন্ন্যাসীপাড়া, ব্যাস্তপুর, গৌরীপুর, হাট গোবিন্দপুর, খারনৈ, রানীগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তরমুজ খেতে পানি জমে আছে। এতে খেতের তরমুজ নষ্ট ও গাছগুলো মরে যেতে শুরু করেছে। কোনো কোনো কৃষক বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য খেতের মাঝখানে ছোট ছোট নালা তৈরি করে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৫০একর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করা হয়। তার মধ্যে রংছাতি ইউনিয়নেই প্রায় ৩০ একর।
কৃষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে এসে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিন একর জমিতে তরমুজের বীজ রোপণ করেন।
তার স্বপ্ন ছিল এই তরমুজ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধসহ গ্রামে একটি বাড়ি করবেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তরমুজ খেতে পানি জমে গাছগুলো মরে যায়। এতে বাড়ি তো দূরের কথা কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন এ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে উপজেলায় তরমুজসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ জানতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। উপজেলার মধ্যে রংছাতি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

কুবি শিক্ষক সমিতির সাত দাবি বাস্তবায়নে ছয় সদস্যের কমিটি

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বৃষ্টির পানিতে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ

আপডেট সময় ০৯:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

 

 

 

 

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি 
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তরমুজ খেতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে পানি লেগে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের কয়েকশ কৃষক।
রংছাতি গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন, আজিজ মৌল্লা ও জহিরুল ইসলাম অনেক ধারদেনা করে এ বছর প্রায় আট একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। প্রতিটি গাছেই প্রায় তরমুজ ফলেছে। আর সপ্তাহ দেড়েক পরই তরমুজগুলো বিক্রির উপযোগী হতো।
কিন্তু গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। তাই তরমুজের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। তাদের দাবি এই তরমুজ খেতে তারা প্রায় আট লাখ টাকা খরচ করেছেন। এর মধ্যে সোয়া লাখ টাকা তাদের, বাকি টাকা ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।
এ অবস্থায় কী করে ঋণ শোধ করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হেলাল, আজিজ ও জহিরুল। বৃষ্টির পানিতে তরমুজ নষ্ট ও চারাগুলো না মরলে তারা অন্তত ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারতেন বলে জানান। শুধু তারাই নন, সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে উপজেলার কয়েক শত কৃষকের খেতের তরমুজ নষ্ট হতে চলেছে। রংছাতি, সন্ন্যাসীপাড়া, ব্যাস্তপুর, গৌরীপুর, হাট গোবিন্দপুর, খারনৈ, রানীগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তরমুজ খেতে পানি জমে আছে। এতে খেতের তরমুজ নষ্ট ও গাছগুলো মরে যেতে শুরু করেছে। কোনো কোনো কৃষক বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য খেতের মাঝখানে ছোট ছোট নালা তৈরি করে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৫০একর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করা হয়। তার মধ্যে রংছাতি ইউনিয়নেই প্রায় ৩০ একর।
কৃষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে এসে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিন একর জমিতে তরমুজের বীজ রোপণ করেন।
তার স্বপ্ন ছিল এই তরমুজ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধসহ গ্রামে একটি বাড়ি করবেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তরমুজ খেতে পানি জমে গাছগুলো মরে যায়। এতে বাড়ি তো দূরের কথা কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন এ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে উপজেলায় তরমুজসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ জানতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। উপজেলার মধ্যে রংছাতি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।