ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী  ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ০৩ আসামীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ রামগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে যুবক কারাগারে  ইন্দুরকানীতে বিদ্যুৎ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রর মৃত্যু শাহাজাদী বেগমের হত্যা মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, প্রশাসন নিরব!  খানসামায় প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি গঠনে নানান অভিযোগ রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় ৬৫ দিনের অবরোধে ২৩৯৩ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ উলিপুরে ফুল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবীবে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মসলা দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রতিকৃতি সরিয়ে মেয়রের রক্ষা!  পাথরঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ। নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গ্রেফতার

মোবাইলের লাইটের আলোয় চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে

মোবাইলের লাইটের আলোয় চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

মোঃ জাকারিয়া, তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি 
রুগীর অপেক্ষায় মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকেন ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। রুগী আসা মাত্রই দুর্ঘটনা, আগুনে পোড়া, সেলাইসহ সব ধরনের জরুরী সেবা দেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দির্ঘদিন ধরে এভাবেই সেবা দিয়ে আসছে ডাক্তার নার্সেরা। আছে বিদ্যৎ নেই পর্যাপ্ত লাইট। যেটুকো আছে তাও জ্বলছে মিটি মিটি করে। তবে বেশির ভাগ সময়ে থাকেনা বিদ্যুৎ। আর বিদ্যুৎ না থাকলে নেই বিকল্প কোন আলোর ব্যবস্থা। তাই বসে থাকতে হয় মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
জানা গেছে, পশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত ছিলো তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি, এরপরে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করে সরকার। সম্প্রতি ২০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যায় উন্নতি করন করছে সরকার। এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৪জন ডাক্তার, ৮জন নার্স, ১৩ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন সিএইচ সিপি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ নেই তাই মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বসে আছেন নাইট ডিউটি রত ডাক্তার ও নার্স। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ঔষধ দিচ্ছেন ভর্তি রোগীদের। ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, দুর্ঘটনাসহ ভর্তি আছেন ১৪জন রুগী। অনেক রুগীর স্বজনেরা মোমবাতি জ্বালিয়েছেন।
ভর্তি রুগীর স্বজন মো. জাহিদ বলেন, মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়েছে আমার ছোট ভাই। তাকে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছি রাতে। কিন্তু হাসপাতালের বিদ্যুৎ থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কয়েকটা বাতি আছে মিটমিট করে জলে। তাই হাসপাতালে নার্সরা তাদের মোবাইলে লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মোমবাতি কিনে জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত বাতি নেই। যা আছে তা মিট মিট করে জ্বলে। এজন্য রাতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে অসসলে আলো সংকটে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালিয়ে রোগিদের সেবা দিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষেই লাইট নেই এতে হাসপাতালে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের

মোবাইলের লাইটের আলোয় চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

আপডেট সময় ১০:০০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

 

 

 

 

মোঃ জাকারিয়া, তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি 
রুগীর অপেক্ষায় মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকেন ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। রুগী আসা মাত্রই দুর্ঘটনা, আগুনে পোড়া, সেলাইসহ সব ধরনের জরুরী সেবা দেন মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দির্ঘদিন ধরে এভাবেই সেবা দিয়ে আসছে ডাক্তার নার্সেরা। আছে বিদ্যৎ নেই পর্যাপ্ত লাইট। যেটুকো আছে তাও জ্বলছে মিটি মিটি করে। তবে বেশির ভাগ সময়ে থাকেনা বিদ্যুৎ। আর বিদ্যুৎ না থাকলে নেই বিকল্প কোন আলোর ব্যবস্থা। তাই বসে থাকতে হয় মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে।
জানা গেছে, পশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর সাব সেন্টার নামে পরিচিত ছিলো তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি, এরপরে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করে সরকার। সম্প্রতি ২০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যায় উন্নতি করন করছে সরকার। এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৪জন ডাক্তার, ৮জন নার্স, ১৩ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ১০ জন সিএইচ সিপি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ নেই তাই মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বসে আছেন নাইট ডিউটি রত ডাক্তার ও নার্স। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ঔষধ দিচ্ছেন ভর্তি রোগীদের। ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, দুর্ঘটনাসহ ভর্তি আছেন ১৪জন রুগী। অনেক রুগীর স্বজনেরা মোমবাতি জ্বালিয়েছেন।
ভর্তি রুগীর স্বজন মো. জাহিদ বলেন, মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়েছে আমার ছোট ভাই। তাকে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছি রাতে। কিন্তু হাসপাতালের বিদ্যুৎ থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কয়েকটা বাতি আছে মিটমিট করে জলে। তাই হাসপাতালে নার্সরা তাদের মোবাইলে লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মোমবাতি কিনে জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত বাতি নেই। যা আছে তা মিট মিট করে জ্বলে। এজন্য রাতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে অসসলে আলো সংকটে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জালিয়ে রোগিদের সেবা দিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষেই লাইট নেই এতে হাসপাতালে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।