বাংলাদেশ ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে জুয়েলের ডাকা যুব সমাবেশ মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বোরহানউদ্দিনে দুই পুলিশ এর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধর, শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ  রানীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন গৌরীপুরে পিপিআর টিকা ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন যখন কুকুরের কামড়েই আহত ২০। সেই সময় ফুলবাড়ীতে ঢিলেঢালা ভাবে পালন হলো বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। রাবেয়া ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম করায় ক্লিনিক মালিককে অর্থদন্ড করেছে র‌্যাব-৬ এর ভ্রাম্যমান আদালত। নওগাঁয় বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি  মাধবপুর প্রবাসির স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ আটক ২ ভালুকায় মসজিদ ও এতিমখানার জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ দোকান নির্মাণ ভালুকার আবুল কালাম আজাদ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নাটোরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানের সময় চড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে মুলাদী-বাবুগঞ্জে ব্যাপক গনসংযোগ করছেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তারিকুল হাসান মিঠু খান রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠ গরম

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কে থানা পুলিশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৬৬৮ বার পড়া হয়েছে

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কে থানা পুলিশ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

রবিউল ইসলাম, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাঘা থানা পুলিশ এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কের স্বীকার হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের পাঁকা রাস্তার সামনে থেকে উজ্জ্বল হোসেন (৩১) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে বাঘা থানা পুলিশ।
এ সময় তার শরীর তল্লাশী করে ১’শ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম ও এসআই রবিউল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় আসামী পক্ষের লোকজন আসামিকে নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। এছাড়াও বাঘা থানা পুলিশ নির্দোষ উজ্জ্বল কে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বাঘা থানার সীমানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের দত্তপাড়ার হারুনুর রশিদের বড় ছেলে ওয়াসিম আলী ও ছোট ছেলে উজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা করে আসছেন । তারা এ ব্যাবসা করতে গিয়ে একাধিক বার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে। তাদের বাড়ি মীরগঞ্জ সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় বেশ নিরাপদে মাদকের রমরমা ব্যবসা করছিলেন তারা।
থানা সুত্রে জানা যায়, আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জল জানায়, উদ্ধারকৃত ১’শ গ্রাম হেরোইন বিক্রির উদ্দেশ্যে তার আপন বড় ভাই ওয়াসিমের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম বাদি হয়ে উজ্জ্বল হোসেন আটক ও ওয়াসিম কে পলাতক দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বাঘা থানার মামলা নম্বর-১৪ তাং-১৫-০২-২০২২ ইং। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের পৃথক পৃথক বাঘা ও চারঘাট থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উজ্জলের নামে বাঘা থানায় ৩টি ও চারঘাট থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। আর ওয়াসিম আলীর নামে বাঘা থানায় ৪টি ও চারঘাট থানায় ১টি মামলা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই শাহ আলম বলেন, গোপন সুত্রে জানতে পেরে সঙ্গীয় এসআই রবিউল ইসলামসহ ফোর্স নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে অভিযান পরিচালনা করি। সেই সুত্র ধরে মোটরসাইকেল যোগে চারঘাট-বাঘা সড়ক দিয়ে আসা উজ্জল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির দেহ তল্লাশি করে ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত হেরোইন উজ্জলের কাছে বিক্রির জন্য ওয়াসিমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এসআই রবিউল ইসলাম বলেন,অভিযানে উজ্জলকে আটকের পর উজ্জলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার লোকজন আমাকে ১ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছে । তাদের কথায় রাজি না হয়ে পরিষ্কার জানিয়েছি মাদকের বিষয়ে কোন আপস হবে না। তারা চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মাদক ব্যবসা ছাড়া, অন্য কোন ব্যবসা
নেই। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, উজ্জ্বল ও ওয়াশিম তারা দুজনেই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের নামে পৃথক ১১টি মামলা রয়েছে তারপরেও কিভাবে তারা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি করার সুযোগ নেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে জুয়েলের ডাকা যুব সমাবেশ

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কে থানা পুলিশ

আপডেট সময় ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
রবিউল ইসলাম, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাঘা থানা পুলিশ এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কের স্বীকার হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের পাঁকা রাস্তার সামনে থেকে উজ্জ্বল হোসেন (৩১) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে বাঘা থানা পুলিশ।
এ সময় তার শরীর তল্লাশী করে ১’শ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম ও এসআই রবিউল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় আসামী পক্ষের লোকজন আসামিকে নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। এছাড়াও বাঘা থানা পুলিশ নির্দোষ উজ্জ্বল কে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বাঘা থানার সীমানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের দত্তপাড়ার হারুনুর রশিদের বড় ছেলে ওয়াসিম আলী ও ছোট ছেলে উজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা করে আসছেন । তারা এ ব্যাবসা করতে গিয়ে একাধিক বার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে। তাদের বাড়ি মীরগঞ্জ সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় বেশ নিরাপদে মাদকের রমরমা ব্যবসা করছিলেন তারা।
থানা সুত্রে জানা যায়, আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জল জানায়, উদ্ধারকৃত ১’শ গ্রাম হেরোইন বিক্রির উদ্দেশ্যে তার আপন বড় ভাই ওয়াসিমের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম বাদি হয়ে উজ্জ্বল হোসেন আটক ও ওয়াসিম কে পলাতক দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বাঘা থানার মামলা নম্বর-১৪ তাং-১৫-০২-২০২২ ইং। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের পৃথক পৃথক বাঘা ও চারঘাট থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উজ্জলের নামে বাঘা থানায় ৩টি ও চারঘাট থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। আর ওয়াসিম আলীর নামে বাঘা থানায় ৪টি ও চারঘাট থানায় ১টি মামলা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই শাহ আলম বলেন, গোপন সুত্রে জানতে পেরে সঙ্গীয় এসআই রবিউল ইসলামসহ ফোর্স নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে অভিযান পরিচালনা করি। সেই সুত্র ধরে মোটরসাইকেল যোগে চারঘাট-বাঘা সড়ক দিয়ে আসা উজ্জল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির দেহ তল্লাশি করে ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত হেরোইন উজ্জলের কাছে বিক্রির জন্য ওয়াসিমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এসআই রবিউল ইসলাম বলেন,অভিযানে উজ্জলকে আটকের পর উজ্জলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার লোকজন আমাকে ১ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছে । তাদের কথায় রাজি না হয়ে পরিষ্কার জানিয়েছি মাদকের বিষয়ে কোন আপস হবে না। তারা চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মাদক ব্যবসা ছাড়া, অন্য কোন ব্যবসা
নেই। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, উজ্জ্বল ও ওয়াশিম তারা দুজনেই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের নামে পৃথক ১১টি মামলা রয়েছে তারপরেও কিভাবে তারা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি করার সুযোগ নেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।