ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নগরীর বটতলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেলকোনিতে পথচারীদের আতঙ্ক মির্জাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ সিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে আর এমপি’র পুলিশ কমিশনারের শ্রদ্ধা রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যোগ হলো আরো দুটি এসটিএস, উদ্বোধন করলেন মাননীয় সিটি মেয়র গণহত্যা দিবসে রাসিকের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর বাবুর সহায়তায় ওএমএস এর চাউল পেল ৩ শতাদিক পরিবার আমতলীতে গনহত্যা দিবস পালিত জগন্নাথপুরের হাতিরঝিলের আদলে নলজুর সেতু’র কাজ শুরু আমতলীতে সড়ক অবৈধ দখল মুক্ত করতে মোবাইল কোর্ট ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস স্মরণে দীপশিখা প্রজ্বলন ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চালককে হত্যা দশমিনা কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কে থানা পুলিশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কে থানা পুলিশ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

রবিউল ইসলাম, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাঘা থানা পুলিশ এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কের স্বীকার হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের পাঁকা রাস্তার সামনে থেকে উজ্জ্বল হোসেন (৩১) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে বাঘা থানা পুলিশ।
এ সময় তার শরীর তল্লাশী করে ১’শ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম ও এসআই রবিউল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় আসামী পক্ষের লোকজন আসামিকে নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। এছাড়াও বাঘা থানা পুলিশ নির্দোষ উজ্জ্বল কে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বাঘা থানার সীমানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের দত্তপাড়ার হারুনুর রশিদের বড় ছেলে ওয়াসিম আলী ও ছোট ছেলে উজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা করে আসছেন । তারা এ ব্যাবসা করতে গিয়ে একাধিক বার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে। তাদের বাড়ি মীরগঞ্জ সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় বেশ নিরাপদে মাদকের রমরমা ব্যবসা করছিলেন তারা।
থানা সুত্রে জানা যায়, আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জল জানায়, উদ্ধারকৃত ১’শ গ্রাম হেরোইন বিক্রির উদ্দেশ্যে তার আপন বড় ভাই ওয়াসিমের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম বাদি হয়ে উজ্জ্বল হোসেন আটক ও ওয়াসিম কে পলাতক দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বাঘা থানার মামলা নম্বর-১৪ তাং-১৫-০২-২০২২ ইং। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের পৃথক পৃথক বাঘা ও চারঘাট থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উজ্জলের নামে বাঘা থানায় ৩টি ও চারঘাট থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। আর ওয়াসিম আলীর নামে বাঘা থানায় ৪টি ও চারঘাট থানায় ১টি মামলা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই শাহ আলম বলেন, গোপন সুত্রে জানতে পেরে সঙ্গীয় এসআই রবিউল ইসলামসহ ফোর্স নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে অভিযান পরিচালনা করি। সেই সুত্র ধরে মোটরসাইকেল যোগে চারঘাট-বাঘা সড়ক দিয়ে আসা উজ্জল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির দেহ তল্লাশি করে ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত হেরোইন উজ্জলের কাছে বিক্রির জন্য ওয়াসিমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এসআই রবিউল ইসলাম বলেন,অভিযানে উজ্জলকে আটকের পর উজ্জলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার লোকজন আমাকে ১ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছে । তাদের কথায় রাজি না হয়ে পরিষ্কার জানিয়েছি মাদকের বিষয়ে কোন আপস হবে না। তারা চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মাদক ব্যবসা ছাড়া, অন্য কোন ব্যবসা
নেই। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, উজ্জ্বল ও ওয়াশিম তারা দুজনেই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের নামে পৃথক ১১টি মামলা রয়েছে তারপরেও কিভাবে তারা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি করার সুযোগ নেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কে থানা পুলিশ

আপডেট সময় ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
রবিউল ইসলাম, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাঘা থানা পুলিশ এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীকে আটকের পর বিতর্কের স্বীকার হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের পাঁকা রাস্তার সামনে থেকে উজ্জ্বল হোসেন (৩১) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে বাঘা থানা পুলিশ।
এ সময় তার শরীর তল্লাশী করে ১’শ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম ও এসআই রবিউল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় আসামী পক্ষের লোকজন আসামিকে নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। এছাড়াও বাঘা থানা পুলিশ নির্দোষ উজ্জ্বল কে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বাঘা থানার সীমানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের দত্তপাড়ার হারুনুর রশিদের বড় ছেলে ওয়াসিম আলী ও ছোট ছেলে উজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা করে আসছেন । তারা এ ব্যাবসা করতে গিয়ে একাধিক বার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে। তাদের বাড়ি মীরগঞ্জ সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় বেশ নিরাপদে মাদকের রমরমা ব্যবসা করছিলেন তারা।
থানা সুত্রে জানা যায়, আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জল জানায়, উদ্ধারকৃত ১’শ গ্রাম হেরোইন বিক্রির উদ্দেশ্যে তার আপন বড় ভাই ওয়াসিমের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার এসআই শাহ আলম বাদি হয়ে উজ্জ্বল হোসেন আটক ও ওয়াসিম কে পলাতক দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বাঘা থানার মামলা নম্বর-১৪ তাং-১৫-০২-২০২২ ইং। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের পৃথক পৃথক বাঘা ও চারঘাট থানায় ১১ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উজ্জলের নামে বাঘা থানায় ৩টি ও চারঘাট থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। আর ওয়াসিম আলীর নামে বাঘা থানায় ৪টি ও চারঘাট থানায় ১টি মামলা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই শাহ আলম বলেন, গোপন সুত্রে জানতে পেরে সঙ্গীয় এসআই রবিউল ইসলামসহ ফোর্স নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে অভিযান পরিচালনা করি। সেই সুত্র ধরে মোটরসাইকেল যোগে চারঘাট-বাঘা সড়ক দিয়ে আসা উজ্জল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির দেহ তল্লাশি করে ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত হেরোইন উজ্জলের কাছে বিক্রির জন্য ওয়াসিমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এসআই রবিউল ইসলাম বলেন,অভিযানে উজ্জলকে আটকের পর উজ্জলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার লোকজন আমাকে ১ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছে । তাদের কথায় রাজি না হয়ে পরিষ্কার জানিয়েছি মাদকের বিষয়ে কোন আপস হবে না। তারা চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মাদক ব্যবসা ছাড়া, অন্য কোন ব্যবসা
নেই। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, উজ্জ্বল ও ওয়াশিম তারা দুজনেই চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের নামে পৃথক ১১টি মামলা রয়েছে তারপরেও কিভাবে তারা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি করার সুযোগ নেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।