বাংলাদেশ ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে- নির্বাচন কমিশনার ২৪ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলা কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন চসিক ভ্রাম্যমান আদালত চলতি বছরেই পঁচিশ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরী নিশ্চিত করতে হবে — জেলা প্রশাসক নলছিটিতে শেষ হলো মরহুম আঃ সোবাহান চেয়ারম্যান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। নওগাঁর হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া রুগী  ভান্ডারিয়ায় প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা  ব্রাহ্মণপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্রের মাঝে ঘর উপহার  ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লায় সিএনজি ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে! বাগেরহাটে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি তালতলীতে এবার ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

নতুন কৌশলে জমি জালিয়াতি চক্র সক্রিয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
  • ১৮১৮ বার পড়া হয়েছে

নতুন কৌশলে জমি জালিয়াতি চক্র সক্রিয়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাগজ পত্র যাচাই করে জানা যায় যে, ১১৫৩ এস.এ খতিয়ানে মোট চারটি দায়ে ২৪০,২৩৪,১৭৩,১৬৯ দাগে মোট জমি ১.২০ একর মালিকানা ১. বিবি আন্জুমান নেছা স্বামীঃ মৃত আহমাদ আলী খান ২. আরজু খাতুন, স্বামীঃ আফছের আলী খান ৩. লতিফ চাপরাশি ৪. জয়নাল চাপরাশিগণ উভয়েই  ১.২০ একর জমির সমান মালিক। অর্থাৎ বিবি আন্জুমান নেছা তাহার ৩০ শতাংশ জমির সাব কবলা দেন ২৮/০৩/১৯৬০ইং সনে ১. জয়নাল আবেদীন ২. লতিফ চাপরাশি, উভয়ের পিতাঃ মৃত আঃ হামিদ মৃধা, সাং চড়আইচা থানাঃ কোতয়ালী বরিশাল। দিয়ে তিনি বিবি আন্জুমান নেছা নিঃশর্তবান হন (দলিল নং ২৯৫৭)।

 

 

বরিশালের কর্ণকাঠী এলাকায় ভূমি জালিয়াতি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই জালিয়াতি চক্রটি জীবিত লোককে মৃত ও বিদ্যমান থাকা ওয়ারিশদের বঞ্চিতকরে ভূয়া বায়না চুক্তিপত্র জাল তৈরী করে সাধারণ লোকদের হয়রানী করছেন। হয়রানীর শিকার সাধারন লোক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম খান বাদি হয়ে গত ২৩ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বরিশাল অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কে নির্দেশ দেন। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।

 

 

মামলার আসামীরা

 

 

মামলার আসামীরা হলো:- 

১. মোঃ হুমায়ুন সিকদার (৩৮), পিতাঃ মুত তোফায়েল সিকদার সাং-কর্ণকাঠী, থানাঃ বন্দর, জেলাঃ বরিশাল ২. মারুফা খানম (৪৫) পিতাঃ মৃত আবদুল মান্নান খান সাকিন-রাশিদা মঞ্জিল, খালেদাবাদ কলোনি, আলেকান্দা, ওয়ার্ড নং-১৪, বি.সি.সি, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ বরিশাল ৩. মোঃ জুলফিকার আলী (৫৮) পিতাঃ মৃত মোঃ আজাহার উদ্দিন জমাদ্দার সাকিন – সালেহা মঞ্জিল, ব্রাউন কম্পাউন্ড, ১৬ নং ওয়ার্ড, বি.সি.সি থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ বরিশাল ৪. মোঃ সেলিম (৫৮) পিতাঃ মৃত সিকান্দার আলী মুন্সী সাকিন-কর্ণকাঠী, ডাকঘর -কর্নকাঠী থানাঃ বন্দর, জেলাঃ বরিশাল, হাল সাকিন- হোল্ডিং নং- ৫২৬, পশ্চিম শেওরাপাড়া, মিরপুর-১২১৬, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থানাঃ কাফরুল জেলাঃ ঢাকা। ৫. শরীফ মোঃ হেমায়েত উদ্দীন পিতাঃ আলহাজ্ব নুর আলী শরীফ সাকিন- শরীফ ভিলা, কলেজ এভিনিউ, ২০ নং ওয়ার্ড বি.সি.সি, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ বরিশাল। ৬. সামসুন্নাহার বেগম (৫৫) স্বামী: মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান সাকিন-খানবাড়ী, সাহেবগঞ্জ থানাঃ বাকেরগঞ্জ, জেলাঃ বরিশাল।

 

 

 

আদালতে দায়ের করা এজাহারে জানা যায়, পৈত্রিক-মাতৃক ওয়ারিশ সূত্রে ও পাওয়ার অব এ্যাটনী বলে মোট ২৩ শতাংশ সম্পত্তির মালিক বিদ্যমান থেকে শফিকুল ইসলাম খান (বাদি) স্থানীয় রাজস্ব অফিসে ২০১৭-২০১৮ সালের ১৮৯০ কেটি নং নামজারী মোকদ্দমার অনুবলে সৃজিত ৫৩৫২ খতিয়ানে নিজ নামে নামপত্তন করে সম্পত্তিতে ভোগ দখলে বিদ্যমান থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে চারদিকে প্রচীর নির্মানসহ বসতী ঘর নির্মাণের লক্ষে স্থাপনা তৈরীর কার্য্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

 

 

 

এদিকে আসামিরা অসৎ ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ১১৫৩ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক রাশিদা খানম জীবিত থাকা স্বত্বেও তাকে লোকান্তর (মৃত) দেখিয়ে তৎত্যাজ্য বিত্তে ওয়ারিশ সূত্রে আসামী মারুফা খানম, একমাত্র ওয়ারিশ দেখিয়ে আসামী সেলিমের মাতা গোলেনুর বেগম মৃত (ওয়ারিশ না হওয়া সত্তেও) এর ওয়ারিশ দাবী করে পরস্পর যোগসাজশে দাতা-গ্রহীতা হয়ে একখানা অরেজিষ্টিকৃত জাল ও মিথ্যে বায়না চুক্তিপত্র করে এবং এ জাল ও বায়না চুক্তির অনুবলে শফিকুল ইসলাম খানের ভোগদখলীয় সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টার লিপ্ত থাকে। এমতাবস্থায় গত ৫মে ২০১৯ ইং সনে শফিকুল ইসলাম খানের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেন হুমায়ুন সিকদার, শরীফ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন ও জুলফিকার আলী।

 

 

 

 

এ ঘটনা থেকে নিজেদের রক্ষার্থে উল্টো শফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ঐ বছরের ৭ মে সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে তারা। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারার্থে দ্রুত বিচার আদালতে বদলী হলে গত ১২ জানুয়ারি ২০২০ ইং সনে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শফিকুল খানকে মোকদ্দমার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানসহ আদালত আর আদেশে উল্লেখ করে ও আসামি পক্ষের দাখিলী কাগজপত্রাদি পর্যালোচনায় নালিশী দাগের জমিতে আসামি উত্তারাধিকার সূত্রে-স্বত্ব দখলকার আছেন মর্মে আপাতত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়।

 

 

 

তাই উক্ত জমির ভোগদখলের ক্ষেত্রে আসামি নালিশকারীর নিকট চাঁদা দাবি করবেন এবং চাঁদার দাবিতে মারধর ও হুমকি প্রদান করবেন তা মোটেও বিশ্বোসযোগ্য নহে। বরং নালিশী উক্ত জমি বেআইনী চুক্তিপত্রের বাহানায় নালিশকারি অবৈধভাবে ভোগ দখলের পায়তারায় লিপ্ত আছেন মর্মে আপাততঃ দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়।

 

 

 

মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম খান দাবী বলেন, মামলা তুলে নিতে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে জমির জালিয়াতি চক্রের হোতা হুমায়ুন সিকদার, শরীফ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, সেলিম, জুলফিকার আলী গ্যাংরা। এই ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

 

 

উক্ত এস এ ১১৫৩ খতিয়ানে মোট জমি ১.২০ একর শতাংশের হইতে দোয়ানী অংশের ২২/০৫/১৯৭৫ ইং সনের বরিশাল জয়েন সাব-রেজিষ্টার অফিসের ৮৭৯২ নং সাব কবলা দলিল মূলে মালিক রাশিদা খানম স্বামীঃ মৃত আঃ মান্নান খান দলিল থেকে জানা যায় ২৭/১১/১৯৯৪ ইং সনে রাশিদা খানম স্বামী মৃত আব্দুল মান্নান খান সাব কবলা দেন যাহার দলিল নং ৬১০৮ যাহার এস এ ১১৫৩ এস.এখতিয়ানে ১৬৯, ১৭৩, ২৩৪, ২৪০ নং দাগ হইতে ১৫ শতাংশ জমি অত্র দলিলে বিক্রত সত্বে তিন জনের কাছে বিক্রি করেন ১. আলি আশরাফ হাং ২. দলিল উদ্দীন হাং ৩. আব্দুছ সোবাহান হাং উভয়ের পিতা মৃত মোঃ ওয়াজেদ আলী হাং সাং কর্নকাঠী থানা কোতয়ালী জেলা বরিশাল নি:শর্তবান হন। আদালতের রায়কে অমান্য করে পনরায় ওয়ারিশ পরিবর্তন করে নতুন ভাবে বাযনা চুক্তি ওযারিশ পরিবর্তন করে নতুন ভাবে বায়না চুক্তি রেজিস্ট্র করে যাহার তারিখ ১৪/১০/২০২০।

 

 

 

 

 

 

ওয়ারিশ পরিবর্তন আদালত থেকে মিথ্যা প্রমাণিত বায়না চুক্তি ওয়ারিশ মারুফা খানমের পরিবর্তে বড় বোন মাহাবুবা খানম পুনরায় একই খতিয়ানের পূর্বের বিক্রিত জমি নতুন ভাবে রেজিস্ট্রি কৃত বায়না চুক্তি পত্র দলিলের পরিচিতিহন।

 

 

 

কাগজ পত্রে প্রমান পাওয়া যা যে, উক্ত মারুফা খানম ও মাহাবুবা খানম উভয়ের মাতা রাশিদা খানম ১৯৯৪ ইং সনে সাব কবলা মূলে ৬১০৮ দলিল দিয়ে নি:শর্তবান হন এবং মারুফা খানম ও মাহবুবা খানম ওয়ারিশ সূত্রে যে খতিয়ানে জমি দাবি করে সেই খতিয়ানে কোন জমি অবশিষ্ট নাই এতএব উক্ত জালিয়াতি চক্রে জিমি না থাকয় তাহার শফিকুল ইসলাম রিপনের জমি জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে দখল করার চেষ্টা করতেছে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রাণ নাশক হুমকি দিতেছে। উপর উক্ত কারণে শফিকুল ইসলাম খান প্রশাসনের কাছে তার নিরাপত্তার সাহায্য আর্জি করছেন।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম

নতুন কৌশলে জমি জালিয়াতি চক্র সক্রিয়

আপডেট সময় ১১:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাগজ পত্র যাচাই করে জানা যায় যে, ১১৫৩ এস.এ খতিয়ানে মোট চারটি দায়ে ২৪০,২৩৪,১৭৩,১৬৯ দাগে মোট জমি ১.২০ একর মালিকানা ১. বিবি আন্জুমান নেছা স্বামীঃ মৃত আহমাদ আলী খান ২. আরজু খাতুন, স্বামীঃ আফছের আলী খান ৩. লতিফ চাপরাশি ৪. জয়নাল চাপরাশিগণ উভয়েই  ১.২০ একর জমির সমান মালিক। অর্থাৎ বিবি আন্জুমান নেছা তাহার ৩০ শতাংশ জমির সাব কবলা দেন ২৮/০৩/১৯৬০ইং সনে ১. জয়নাল আবেদীন ২. লতিফ চাপরাশি, উভয়ের পিতাঃ মৃত আঃ হামিদ মৃধা, সাং চড়আইচা থানাঃ কোতয়ালী বরিশাল। দিয়ে তিনি বিবি আন্জুমান নেছা নিঃশর্তবান হন (দলিল নং ২৯৫৭)।

 

 

বরিশালের কর্ণকাঠী এলাকায় ভূমি জালিয়াতি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই জালিয়াতি চক্রটি জীবিত লোককে মৃত ও বিদ্যমান থাকা ওয়ারিশদের বঞ্চিতকরে ভূয়া বায়না চুক্তিপত্র জাল তৈরী করে সাধারণ লোকদের হয়রানী করছেন। হয়রানীর শিকার সাধারন লোক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম খান বাদি হয়ে গত ২৩ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বরিশাল অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কে নির্দেশ দেন। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।

 

 

মামলার আসামীরা

 

 

মামলার আসামীরা হলো:- 

১. মোঃ হুমায়ুন সিকদার (৩৮), পিতাঃ মুত তোফায়েল সিকদার সাং-কর্ণকাঠী, থানাঃ বন্দর, জেলাঃ বরিশাল ২. মারুফা খানম (৪৫) পিতাঃ মৃত আবদুল মান্নান খান সাকিন-রাশিদা মঞ্জিল, খালেদাবাদ কলোনি, আলেকান্দা, ওয়ার্ড নং-১৪, বি.সি.সি, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ বরিশাল ৩. মোঃ জুলফিকার আলী (৫৮) পিতাঃ মৃত মোঃ আজাহার উদ্দিন জমাদ্দার সাকিন – সালেহা মঞ্জিল, ব্রাউন কম্পাউন্ড, ১৬ নং ওয়ার্ড, বি.সি.সি থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ বরিশাল ৪. মোঃ সেলিম (৫৮) পিতাঃ মৃত সিকান্দার আলী মুন্সী সাকিন-কর্ণকাঠী, ডাকঘর -কর্নকাঠী থানাঃ বন্দর, জেলাঃ বরিশাল, হাল সাকিন- হোল্ডিং নং- ৫২৬, পশ্চিম শেওরাপাড়া, মিরপুর-১২১৬, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থানাঃ কাফরুল জেলাঃ ঢাকা। ৫. শরীফ মোঃ হেমায়েত উদ্দীন পিতাঃ আলহাজ্ব নুর আলী শরীফ সাকিন- শরীফ ভিলা, কলেজ এভিনিউ, ২০ নং ওয়ার্ড বি.সি.সি, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ বরিশাল। ৬. সামসুন্নাহার বেগম (৫৫) স্বামী: মুহাম্মদ ইব্রাহিম খান সাকিন-খানবাড়ী, সাহেবগঞ্জ থানাঃ বাকেরগঞ্জ, জেলাঃ বরিশাল।

 

 

 

আদালতে দায়ের করা এজাহারে জানা যায়, পৈত্রিক-মাতৃক ওয়ারিশ সূত্রে ও পাওয়ার অব এ্যাটনী বলে মোট ২৩ শতাংশ সম্পত্তির মালিক বিদ্যমান থেকে শফিকুল ইসলাম খান (বাদি) স্থানীয় রাজস্ব অফিসে ২০১৭-২০১৮ সালের ১৮৯০ কেটি নং নামজারী মোকদ্দমার অনুবলে সৃজিত ৫৩৫২ খতিয়ানে নিজ নামে নামপত্তন করে সম্পত্তিতে ভোগ দখলে বিদ্যমান থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে চারদিকে প্রচীর নির্মানসহ বসতী ঘর নির্মাণের লক্ষে স্থাপনা তৈরীর কার্য্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

 

 

 

এদিকে আসামিরা অসৎ ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ১১৫৩ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক রাশিদা খানম জীবিত থাকা স্বত্বেও তাকে লোকান্তর (মৃত) দেখিয়ে তৎত্যাজ্য বিত্তে ওয়ারিশ সূত্রে আসামী মারুফা খানম, একমাত্র ওয়ারিশ দেখিয়ে আসামী সেলিমের মাতা গোলেনুর বেগম মৃত (ওয়ারিশ না হওয়া সত্তেও) এর ওয়ারিশ দাবী করে পরস্পর যোগসাজশে দাতা-গ্রহীতা হয়ে একখানা অরেজিষ্টিকৃত জাল ও মিথ্যে বায়না চুক্তিপত্র করে এবং এ জাল ও বায়না চুক্তির অনুবলে শফিকুল ইসলাম খানের ভোগদখলীয় সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টার লিপ্ত থাকে। এমতাবস্থায় গত ৫মে ২০১৯ ইং সনে শফিকুল ইসলাম খানের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেন হুমায়ুন সিকদার, শরীফ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন ও জুলফিকার আলী।

 

 

 

 

এ ঘটনা থেকে নিজেদের রক্ষার্থে উল্টো শফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ঐ বছরের ৭ মে সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে তারা। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারার্থে দ্রুত বিচার আদালতে বদলী হলে গত ১২ জানুয়ারি ২০২০ ইং সনে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শফিকুল খানকে মোকদ্দমার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানসহ আদালত আর আদেশে উল্লেখ করে ও আসামি পক্ষের দাখিলী কাগজপত্রাদি পর্যালোচনায় নালিশী দাগের জমিতে আসামি উত্তারাধিকার সূত্রে-স্বত্ব দখলকার আছেন মর্মে আপাতত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়।

 

 

 

তাই উক্ত জমির ভোগদখলের ক্ষেত্রে আসামি নালিশকারীর নিকট চাঁদা দাবি করবেন এবং চাঁদার দাবিতে মারধর ও হুমকি প্রদান করবেন তা মোটেও বিশ্বোসযোগ্য নহে। বরং নালিশী উক্ত জমি বেআইনী চুক্তিপত্রের বাহানায় নালিশকারি অবৈধভাবে ভোগ দখলের পায়তারায় লিপ্ত আছেন মর্মে আপাততঃ দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়।

 

 

 

মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম খান দাবী বলেন, মামলা তুলে নিতে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে জমির জালিয়াতি চক্রের হোতা হুমায়ুন সিকদার, শরীফ মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, সেলিম, জুলফিকার আলী গ্যাংরা। এই ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

 

 

উক্ত এস এ ১১৫৩ খতিয়ানে মোট জমি ১.২০ একর শতাংশের হইতে দোয়ানী অংশের ২২/০৫/১৯৭৫ ইং সনের বরিশাল জয়েন সাব-রেজিষ্টার অফিসের ৮৭৯২ নং সাব কবলা দলিল মূলে মালিক রাশিদা খানম স্বামীঃ মৃত আঃ মান্নান খান দলিল থেকে জানা যায় ২৭/১১/১৯৯৪ ইং সনে রাশিদা খানম স্বামী মৃত আব্দুল মান্নান খান সাব কবলা দেন যাহার দলিল নং ৬১০৮ যাহার এস এ ১১৫৩ এস.এখতিয়ানে ১৬৯, ১৭৩, ২৩৪, ২৪০ নং দাগ হইতে ১৫ শতাংশ জমি অত্র দলিলে বিক্রত সত্বে তিন জনের কাছে বিক্রি করেন ১. আলি আশরাফ হাং ২. দলিল উদ্দীন হাং ৩. আব্দুছ সোবাহান হাং উভয়ের পিতা মৃত মোঃ ওয়াজেদ আলী হাং সাং কর্নকাঠী থানা কোতয়ালী জেলা বরিশাল নি:শর্তবান হন। আদালতের রায়কে অমান্য করে পনরায় ওয়ারিশ পরিবর্তন করে নতুন ভাবে বাযনা চুক্তি ওযারিশ পরিবর্তন করে নতুন ভাবে বায়না চুক্তি রেজিস্ট্র করে যাহার তারিখ ১৪/১০/২০২০।

 

 

 

 

 

 

ওয়ারিশ পরিবর্তন আদালত থেকে মিথ্যা প্রমাণিত বায়না চুক্তি ওয়ারিশ মারুফা খানমের পরিবর্তে বড় বোন মাহাবুবা খানম পুনরায় একই খতিয়ানের পূর্বের বিক্রিত জমি নতুন ভাবে রেজিস্ট্রি কৃত বায়না চুক্তি পত্র দলিলের পরিচিতিহন।

 

 

 

কাগজ পত্রে প্রমান পাওয়া যা যে, উক্ত মারুফা খানম ও মাহাবুবা খানম উভয়ের মাতা রাশিদা খানম ১৯৯৪ ইং সনে সাব কবলা মূলে ৬১০৮ দলিল দিয়ে নি:শর্তবান হন এবং মারুফা খানম ও মাহবুবা খানম ওয়ারিশ সূত্রে যে খতিয়ানে জমি দাবি করে সেই খতিয়ানে কোন জমি অবশিষ্ট নাই এতএব উক্ত জালিয়াতি চক্রে জিমি না থাকয় তাহার শফিকুল ইসলাম রিপনের জমি জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে দখল করার চেষ্টা করতেছে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রাণ নাশক হুমকি দিতেছে। উপর উক্ত কারণে শফিকুল ইসলাম খান প্রশাসনের কাছে তার নিরাপত্তার সাহায্য আর্জি করছেন।