এস কে মিন্টু, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
“আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষে সমগ্র বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহতী উদ্যোগে সারা দেশে হাসি ফুটিয়েছে লাখো অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষদের মুখে। ভূমিহীন ও স্থায়ী ঠিকানাবিহীন পরিচয় থেকে এসব মানুষের উত্তরণ ঘটেছে দুই শতকের একখন্ড জমি আর সেমিপাকা ঘরের গর্বিত অধিকারী হিসেবে।
মহান স্বাধীনতার মাসে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে মির্জাগঞ্জ উপজেলা। আগামী ২২ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন।
এ উপলক্ষে সোমবার ( ২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলার ঝাটিবুনিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় আনন্দ র্যালী বের হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান (অ.দা.), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাচিনা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আতাহার উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস, দেউলী সুবিদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান, মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক খানসহ উপকারভোগী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের মতো শুধুমাত্র “ক” শ্রেনী অর্থাৎ যাদের জমি এবং ঘর কিছুই নেই সে সমস্ত যাচাই-বাছাইকৃত ব্যক্তিদেরই ঘর প্রদান করা হচ্ছে। সেমিপাকা প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দু’টি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি বাথরুম এবং প্রশস্ত বারান্দা। ঘরের উপর ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের রঙিন টিনের চাল।
মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্প থেকে ১ম পর্যায়ে ৪৭ টি, ২য় পর্যায়ে ২২৫ টি এবং ৩য় পর্যায়ে ৯৮ টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ৩টি ঘরের মালিকানা উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৩৭৩ টি ঘরের মালিকানা উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর ফলে উপজেলার ৩৭৩ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার একখণ্ড জনিসহ একটি নির্জন ঠিকানা পেয়েছে।