বাংলাদেশ ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শের-ই- বাংলা পাবলিক লাইব্রেরীতে পিরোজপুর সাহিত্য পরিষদের ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই। 

রামগঞ্জে এক পরিবারের জন্য ২৯লাখ টাকার সরকারী ব্রীজ নির্মাণ!!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৬৬৮ বার পড়া হয়েছে

রামগঞ্জে এক পরিবারের জন্য ২৯লাখ টাকার সরকারী ব্রীজ নির্মাণ!!

 

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক পরিবারের জন্য ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কতৃক ২৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা সরকারী অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে এক পরিবারের জন্য ব্রীজ নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকল বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দে ও ওই অফিসের প্রকৌশলী মোঃ জুয়েল রানা প্রবাসী পরিবারের সাথে দফারপার মাধ্যমে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানের বাড়িকে জন চলাচলের গুরুত্বপূর্ন সড়ক দেখিয়ে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের চাহিদাপত্র পাঠালে কতৃপক্ষ ২৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা বরাদ্ধ দেয়।

 

সেই মোতাবেক টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মেসার্স সায়মা এন্টার প্রাইজ গত এক সাপ্তাহ আগে ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ প্রবাসী মিজানের বাড়ির ১০০মিটারের মধ্যে পূর্বে সরকারী অর্থে আরো ২টি ব্রীজ থাকায় প্রবাসী বাড়ির সামনে ব্রীজ নির্মান নিয়ে নানান সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়েছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় ৭মার্চ (সোমবার) স্থানীয় জয়দেবপুর গ্রামের শতাধিক লোকজন সই-স্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সদয় অবগতির জন্য উক্ত অভিযোগের অনুলিপি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জমা দেওয়া হয়।

 

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জয়দেবপুর পূর্ব বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার মাথা নামক স্থানে খালের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শতশত স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী পায়ে হেটে ঝুকি নিয়ে পারাপার করছেন। কিন্তু ব্রীজটি সঠিক স্থানে নির্মাণ না করে এক সম্পদশালী জনৈক প্রবাসী মিজানের পরিবারের লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠুকে ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট মহলকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ২০২১-২২ইং অর্থবছরের ব্রীজ নির্মানের অর্থ পায়।

 

এই ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে আলমগীর হোসেন, কামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, বাবুল মিয়া,আলী হোসেন সহ অনেকেই জানান, এসমস্থ ব্রীজ করার জন্য বহু টাকা দিতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের। তাই প্রবাসী এক পরিবারের স্বার্থ না দেখে জনস্বার্থে ব্রীজটি নির্মানের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

 

১০নং ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামছুল আলম বুলবুল বলেন, আমি চলিত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এই ব্রীজটি অনুমোদন হয়েছে। তবে কিভাবে তারা জনগণের যাতায়াত বিহীন এক পরিবারের জন্য সরকারি ব্রীজ বরাদ্ধ দেয় তাহা আমার বোধগম্য নয়। প্রবাসী মিজানের ভাই ফারুক হোসেন বলেন,আমার ভাই আবেদন দিয়েছে তাই সরকার আমার ভাইকে ব্রীজ দিয়েছে

 

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জুয়েল রানা বলেন, আমরা দেখেশুনেই অনুমোদন দিয়েছি তারপরও আপনি আমার পিআইও স্যারের সাথে কথা বলুন। উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগঞ্জে এক পরিবারের জন্য ২৯লাখ টাকার সরকারী ব্রীজ নির্মাণ!!

আপডেট সময় ০৭:১০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

 

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক পরিবারের জন্য ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কতৃক ২৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা সরকারী অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে এক পরিবারের জন্য ব্রীজ নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকল বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দে ও ওই অফিসের প্রকৌশলী মোঃ জুয়েল রানা প্রবাসী পরিবারের সাথে দফারপার মাধ্যমে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানের বাড়িকে জন চলাচলের গুরুত্বপূর্ন সড়ক দেখিয়ে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের চাহিদাপত্র পাঠালে কতৃপক্ষ ২৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা বরাদ্ধ দেয়।

 

সেই মোতাবেক টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মেসার্স সায়মা এন্টার প্রাইজ গত এক সাপ্তাহ আগে ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ প্রবাসী মিজানের বাড়ির ১০০মিটারের মধ্যে পূর্বে সরকারী অর্থে আরো ২টি ব্রীজ থাকায় প্রবাসী বাড়ির সামনে ব্রীজ নির্মান নিয়ে নানান সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়েছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় ৭মার্চ (সোমবার) স্থানীয় জয়দেবপুর গ্রামের শতাধিক লোকজন সই-স্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সদয় অবগতির জন্য উক্ত অভিযোগের অনুলিপি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জমা দেওয়া হয়।

 

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জয়দেবপুর পূর্ব বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার মাথা নামক স্থানে খালের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শতশত স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী পায়ে হেটে ঝুকি নিয়ে পারাপার করছেন। কিন্তু ব্রীজটি সঠিক স্থানে নির্মাণ না করে এক সম্পদশালী জনৈক প্রবাসী মিজানের পরিবারের লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠুকে ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট মহলকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ২০২১-২২ইং অর্থবছরের ব্রীজ নির্মানের অর্থ পায়।

 

এই ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে আলমগীর হোসেন, কামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, বাবুল মিয়া,আলী হোসেন সহ অনেকেই জানান, এসমস্থ ব্রীজ করার জন্য বহু টাকা দিতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের। তাই প্রবাসী এক পরিবারের স্বার্থ না দেখে জনস্বার্থে ব্রীজটি নির্মানের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

 

১০নং ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামছুল আলম বুলবুল বলেন, আমি চলিত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এই ব্রীজটি অনুমোদন হয়েছে। তবে কিভাবে তারা জনগণের যাতায়াত বিহীন এক পরিবারের জন্য সরকারি ব্রীজ বরাদ্ধ দেয় তাহা আমার বোধগম্য নয়। প্রবাসী মিজানের ভাই ফারুক হোসেন বলেন,আমার ভাই আবেদন দিয়েছে তাই সরকার আমার ভাইকে ব্রীজ দিয়েছে

 

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জুয়েল রানা বলেন, আমরা দেখেশুনেই অনুমোদন দিয়েছি তারপরও আপনি আমার পিআইও স্যারের সাথে কথা বলুন। উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।