বাংলাদেশ ০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পটুয়াখালীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তানোরের সরনজাই স্কুল এখন দু হিরক রাজার কব্জায় ফরিদপুর সালথা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা দুই প্রার্থী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় জবি প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে বিদেশী পিস্তলসহ ০১ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গেফতার করেছে র‌্যাব। গাঁজা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার সহ ১০৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১: মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ০২ জন বড় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র!  জাতীয়করণ, আবেগ ও বাস্তবতা! নাটোরের বড়াই গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডা. আয়নুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। চোরাই মোবাইল চক্রের মূল হোতাসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার। সিলোটি ভাষা র কিছু ইতিকথা ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট পাওয়া যাবে। ঈদে ফিতর উপলক্ষে। গৌরীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেল কৃষকের চার গরু পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান নয়ন’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা রিকশা চালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৩৫ বার পড়া হয়েছে

মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা রিকশা চালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র

 

 

মোঃ ইসরাফিল হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ 
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ সহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এর মাধ্যমে আরেকটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মেয়র মহোদয়।
রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে সে। এ নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়ের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র মহোদয় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী চান মিঞার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। মেয়রের নির্দেশে চান মিঞার বাড়িতে যান ও রাসিক মেয়র মহোদয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান। এরপরই হাসি ফোটে মেধাবী চান মিঞা ও তার রিকশা চালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ চান মিঞার পরিবার।
চান মিঞার পিতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুসাঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরো এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতোগুলো টাকা জোগার করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা মেয়র মহোদয়ের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
চান মিঞার মাতা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র মহোদয় যদি আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করি।
এ ব্যাপারে মেধাবী চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আমার বিশ্বাস ছিল, যদি সংবাদটি মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান স্যার দেখেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আমার জন্য কিছু করবেন। মেয়র স্যার আমার ভর্তি সহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী

মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা রিকশা চালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র

আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

 

 

মোঃ ইসরাফিল হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ 
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ সহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এর মাধ্যমে আরেকটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মেয়র মহোদয়।
রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে সে। এ নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়ের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র মহোদয় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী চান মিঞার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। মেয়রের নির্দেশে চান মিঞার বাড়িতে যান ও রাসিক মেয়র মহোদয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান। এরপরই হাসি ফোটে মেধাবী চান মিঞা ও তার রিকশা চালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ চান মিঞার পরিবার।
চান মিঞার পিতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুসাঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরো এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতোগুলো টাকা জোগার করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা মেয়র মহোদয়ের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
চান মিঞার মাতা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র মহোদয় যদি আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করি।
এ ব্যাপারে মেধাবী চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আমার বিশ্বাস ছিল, যদি সংবাদটি মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান স্যার দেখেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আমার জন্য কিছু করবেন। মেয়র স্যার আমার ভর্তি সহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।