সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকনের জন্মদিন আজ। ১৯৮৫ সালের ১ মার্চ বরগুনার পাথরঘাটায় সম্ভ্রান্তু মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। সৃজনশীল লেখার অধিকারী শফিকুল ইসলাম খোকনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাথরঘাটায়। খোকনের সাংবাদিকতার হাতেখড়ি মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র পত্রিকা দৈনিক দেশবাংলা থেকে।

এরপর থেকে এক সময়ে প্রভাবশালী দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ডেসটিনি, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক বর্তমান, দৈনিক অর্থনীতি প্রতিদিন ছাড়াও একাধিক জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পোর্টাল, ইংরেজি দৈনিক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উসম্পাদকীয় লিখছেন। লিখছেন প্রবন্ধ, রচনা, ছড়া।

স্বাস্থ্য সাংবাদিকতা মিডিয়া ফেলোশিপ, শিশু অধিকার মিডিয়া ফেলোশিপ ও আধিবাসি ভূমি অধিকার মিডিয়া ফেলোশিপ অর্জন করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ ও স্থানীয় সরকার বিষয়, নারী, পর্যটনসহ সমসাময়িক বিষয়ে ৩ হাজারের বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

প্রান্তিক জনপদে থেকেও লেখালেখির পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমে অবদান রাখছেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরণ ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধকে জানি’, ‘আস্থা’ নামে একটি সে¦চ্ছাসেবী সংগঠন এবং নাগরিকদের অধিকার আদায়ের জন্য একটি প্লাটফর্ম ‘পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরাম’।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত ১০ খন্ডের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ লিখেছেন, লিখেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০০ বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প নিয়ে লেখা বইয়ে। তার লেখার মাধ্যমে অন্যতম পরিবর্তন এসেছে দীর্ঘ ২৭ বছরের ডাকসু নির্বাচন না হওয়া নিয়ে ‘ডাকসু নির্বাচন হয়না কেন?’এ শিরোনামে জাতীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর উচ্চাদালতের নজরে আসলে মহামান্য হাইকোর্ট ৬ মাসের রুল দেন। পরে উচ্চাদালতের বেধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ শেষ মেষ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সাংবাদিকতা একটি গবেষণা ও স্টাডি করার ভালো  পেশা হিসেবে বেছে নিতছ নতুনদের প্রতি পরামর্শ তার।