রংপুরের মিঠাপুকুরে ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলে সমাজের বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষজনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর পোস্ট করায় বিপাকে পড়েছে ঈমাম, মুয়াজ্জিন, ব্যবসায়ি, চিকিৎসক, সরকারি, বে-সরকারি চাকরিজীবি,সাংবাদিক এবং গৃহকর্মী নারীরা। ভুক্তভোগীদের নিজ নামীয় ফেসবুক আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে সেখানে সুদখোর লেখা স্টিকার দিয়ে নানান অপবাদ দিয়ে মানহানিকর বক্তব্য পোস্ট করেছে ঐ ভূয়া আইডি।

ভূক্তভোগীরা জানান, বেশ কয়েকদিন থেকে উপজেলার রানীপুকুর, পায়রাবন্দ এবং লতিবপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বাজার সমুহের প্রায় ৫ শতাধিক লোকের নামে একটি ভূয়া ফেসবুক আইডি"সুদ বিরোধী যুব সমাজ " যাহার ফেসবুক লিংক= https://www.Facebook.com/profile. Php?id=100089933603588 থেকে অব্যাহতভাবে ছবিসহ ছবিতে সুদখোর লিখে বিভিন্ন অনৈতিক মন্তব্যসহ বক্তব্য লিখে একের পর এক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে মানহানি ঘটায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ আইডির বিভিন্ন পোস্টের জেরে অনেকে লজ্জাকর এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। এবং একে অপরকে সন্দেহ পোষণ করতে গিয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা এবং বিবাদের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় ঐ আইডি কার! তা সনাক্তে ভুক্তভোগীর বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে এবং কিছু লোককে কৌশলে ঐ ভূয়া আইডির মালিক ম্যাসেন্জারে তার পরিচয় নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে।

ঐ ভূয়া আইডি নিজেকে সাংবাদিক দাবি করায় এবং কে-বা-কাহারা সাংবাদিক রুবেল হোসাইন সংগ্রামের নাম কৌশলে গুজব রটালে তিনি বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েন এবং ভুক্তভোগীরা অনেকে দলবদ্ধভাবে তার বাড়িতে ছুটে যান। এতে তিনি নিরাপত্তাসহ তিরস্কারের স্বীকার হন।

উপায়ন্তর না পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৬-ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগীরাসহ সাংবাদিক রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম) বাদী হয়ে প্রথমে মিঠাপুকুর থানায় একটি জিডি এবং পরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার আবেদন করেন। সেসময় মানহানিকর বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট জমা দেয়া হয়। ভুক্তভোগী কয়েকজনের নাম এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, কয়েকজন ব্যক্তি এমন একটি বিষয় নিয়ে থানায় এসেছিলো। পরে সাংবাদিক রুবেলের অভিযোগটি জিডি মূলে গ্রহন করা হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি। বাদীকেও রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল কোর্টে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক রুবেল হোসাইন সংগ্রাম বলেন, যেহেতু আমার নামে গুজব রটছে এবং আমি নিজেও ভুক্তভোগী তাই বাধ্য হয়ে আইনি ব্যবস্হা গ্রহন করেছি। যদি আইনগত পদক্ষেপ না নিতাম,তাহলে যত লোকের মানহানি ঘটিয়েছে তারা আমাকে দোষারোপ করে এতক্ষণে মেরে ফেলতো।