ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুতা পায়েই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাবুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। বিষয়টি জানাজানির পর ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগ তুলেছেন।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে সোমবার (৭ মার্চ) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অবস্থিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে এ কাণ্ড ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার ফুল দেওয়ার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন, বালিয়াডাংগী উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনান্য নেতাকর্মীরা জুতা পায়েই প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন সম্পন্ন করেন।
এরই মধ্যে জুতা পায়ে প্রতিকৃতিতে ফুলে শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি জানার পর শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে বলেন, যে কোনও জায়গায় শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় জুতা পায়ে রাখাটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শ্রদ্ধা বিষয়টি কোনও জোরপূর্বক অনুভূতি না। এটি মন থেকে করতে হয়। যারা এই কাজটি করেছে তারা হয় অজ্ঞতা বশত করেছে। নয়তো তাদের মনে পূর্ণ শ্রদ্ধাবোধ ছিল না।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাবুর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন- প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় জুতা খুলে ফুল দিতে হবে এমন কিছু কোথাও লেখা নেই। আমরা ভুল কিছু করিনি।
প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় পৃর্থক ছবিতে জুতা পরে থাকার ঘটনা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় এ ঘটনাকে জাতির জনককে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সবাই মিলে জুতা পায়ে ফুল দিতে গেলো আর কেউ দেখলো না? বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো। এটা নিয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বদিউদৌজা বদর বলেন, ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। সরকারি কর্মকর্তা ও ক্ষমতাশীন দলের অভিভাবকদের কাছ থেকে এ রকম ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অভিভাবকরা যদি এমন করেন তাহলে জাতি কি শিখবে তাদের কাছে।