প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানা এলাকা হতে ০৪ বছরের চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব- ১৩  

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে অভিযুক্ত আসামী মোঃ মমিনুল ইসলাম (২৩) তার ভাতিজি ভিকটিমকে খাবার দেওয়ার কথা বলে নিজ শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। ভিকটিম সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি হওয়ায় আসামী ও আসামীর স্ত্রী তাকে মাঝে মাঝেই তাদের ঘরে নিয়ে যেত। ঐদিন আসামীর স্ত্রী ঘরে না থাকার সুযোগে ভিকটিমকে ঘরে এনে সে হীন কাজটি সম্পন্ন করে। ভিকটিম কান্না করতে থাকলে আসামী ভিকটিমকে ছেড়ে দেয় এবং নিজে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরে ভিকটিমকে দিনাজপুর জেলার এমএম আব্দুর রহিম সরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে ভিকটিমে বাবা বাদী হয়ে ২৬/০১/২০২৩ ইং তারিখে এজাহার দায়ের করে, যার মামলা নং-২০, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের সংশোধনী ২০০৩; ৯(১)। ঘটনাটি স্থানীয় জাতীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর ধর্ষক গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে র‌্যাব-১৩, রংপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর এবং এবং র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, সিরাজগঞ্জ যৌথভাবে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মোঃ মমিনুল ইসলাম (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল হোসেন, সাং-দক্ষিণ রঘুনাথপুর, থানা-বীরগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর’কে গ্রেফতার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোঃ মমিনুল ইসলাম (২৩) উপরোক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মূলকপি স্বাক্ষরিত

মাহমুদ বশির আহমেদ

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট

সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)

অধিনায়কের পক্ষে