১৫ জনের সিএস এবং আর এস ও বি এস খতিয়ান ভূক্ত বাড়িকে নাল বানিয়ে ষড়যন্ত্র করে মাত্র পাঁচ জনে বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতক জমি কাওলা দেয়। এই পাঁচজনের মধ্যে ৪ জনেরই স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জমি দাতার শিক্ষক প্রার্থীকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রচুর অর্থ বানিজ্য করে শিক্ষক নিয়োগ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক বিস্তারে গত ০৪/০৩/১৯৯৭ ইং তারিখের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মতে দাতা অগ্রাধিকার হিসাবে কুলছুল আক্তার এবং রোকসানা আক্তার আবেদন করেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার কাজী সহিদ নির্দিষ্ট সময়ে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে অনিয়মভাবে শিক্ষক নিয়োগ করেছে।
এবিষয়ে গত ২১/১২/১৯৯৭ ইং তারিখে বুড়িচং থানা শিক্ষা অফিসার কাজী সহিদ কে আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। গত ০৫/০৭/২০১০ইং তারিখে জাল দাতা সদস্য মোকবুল হোসেনের আবেদন মতে সরকারি ৩০ হাজার টাকা জাল দাতা সদস্যের রেজুলেশন স্বাক্ষর জাল করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আলেয়া বেগম টাকা উত্তোলন করার মত ঘটনা বুড়িচং উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের তদন্তে প্রমাণিত আছে। গত ১৪/১২/২০১০ ইং তারিখে জমির মালিক নাছির উদ্দীন জাল কাওলা সম্পর্কে বুড়িচং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম খন্দকারকে আবেদন করলে তা আমলে না নিয়ে প্রচুর অর্থ বানিজ্য করে অনিয়মকে আবারোও সহযোগিতা করেছে।
জাল কাওলা সম্পর্কে গত ২০/০৪/২০১১ ইং তারিখে জমির বৈধ মালিক মিজানুর রহমানের উকিল নোটিশ করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও বুড়িচং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পুনরায় আর্থিক বানিজ্য করে অনিয়মকে সহযোগিতা করে পাল্টা উকিল নোটিশ প্রধান করে যা অবৈধ।গত ০৯/০৩/২০১১ ইং তারিখে জমির মালিক বেলায়েত হোসেন পরিচালক কোইকা প্রকল্প বার্ড কুমিল্লাকে জাল দলিল সম্পর্কে আবেদন অবগত করলেও পুনরায় উপযুক্ত অর্থ বানিজ্য নিয়েছে।
অবশেষে গত ০৪/০৩/২০১৭ ইং তারিখে বুড়িচং রেজিঃ ডাক নং ৮৮৮ এর মাধ্যমে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বুড়িচং রেজি ডাক নং ৮৮৯ এর মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমিল্লাকে ও বুড়িচং রেজিঃ ডাক নং ৮৮৭ এর মাধ্যমে দুদক ঢাকাকে জাল দলিল সম্পর্কে অবগত করেন এবং স্থানীয় কুমিল্লার কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেও অনিয়মকে বন্ধ করতে পারে নাই।
জমির মালিকরা গরিব ও অসহায় বলে মামলা করতে সাহস পায় না। বর্তমানে সরকারের প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার দালান ঘর উক্ত জাল দলিলের স্থানে এবং দলিলের বাহিরে অন্য পুকুর দাগে সরকারের টাকা আত্মসাৎ ও অপচয় করার পায়তারা করছে। স্থানীয় কামাল উদ্দিন ওরফে সুন্দর আলী, ডাঃ আবু মূসা ভূইয়া পিতা:- আবদুল খালেক, মো:ইকবাল হোসেন পিতাঃ-আঃছিদ্দিকুর রহমান সাং- দক্ষিণ শ্যামপুর, গং ব্যক্তিরা।
এবিষয়ে গত ০৪/১২/২০২০ ইং তারিখে জমির মালিক সাংবাদিক মোকবুল হোসেন ভূইয়া বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃমোজাম্মেল হক (পিপিএম)কে অভিযোগ জানালে ওসি সাহেব তাৎক্ষণিকভাবে এসআই সুজয় কুমার মজুমদার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। তদন্তে এসআই সুজয় কুমার মজুমদার আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে একই দিন বুড়িচং উপজেলার প্রকৌশলী অনুপ কুমার কে লিখিত অভিযোগটি দেয়া হয় এবং ০৬/০২/২০২০ ইং তারিখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রৌশনারাকে লিখিত অভিযোগটি দেয়া হয় ও ০৮/০২/২০২০ ইং তারিখে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের জাহের চেয়ারম্যানকে অবগতি কপি দেওয়া হয় এবং অবশেষে ০৮/০২/২০২০ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আবেদন কপি দিলে তিনি প্রয়োজনীয় তদন্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রৌশনা আরা কে সুপারিশ করে কপি প্রেরন করে তাতে কোন ফল না পেয়ে অবশেষে নিরুপায় হয়ে এ বিষয়ে বুড়িচং সহকারী জজ কুমিল্লা আদালতে গত ০৬/০২/২০২০ ইং তারিখে মামলা করেন।
মামলার নং ১১/২০২০, উক্ত মামলা মাননীয় সহকারী জজ বুড়িচং আদালত কুমিল্লা মামলায় সমন জারি করেন। গত ০১/০৩/২০২০ ইং তারিখে বুড়িচং রেজিঃ ডাক নং ১০০০ এর মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসারকে পুনরায় আবেদন করি।
এবিষয়ে গত ০২/০৩/২০২০ ইং তারিখে বুড়িচং থানায় ৭৭ নং একটি জিডি করি এবং গত ০৯/০৮/২০২০ ইং তারিখে সিআর ২৬০/২০ নং মামলা করিলে বিবাদি পক্ষ ক্ষিপ্ত হলে গত ০৮/০৯/২০২০ ইং তারিখে ২৮১ নং আরেকটি জিডি করি।
উক্ত জিডির আলোকে বুড়িচং থানার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ২নং আদালতে তদন্তের জন্য অনুমতি নিয়ে এ পর্যন্ত বুড়িচং থানা তদন্ত প্রতিবেদন এ যাবৎ দেন নাই। অপর দিকে আমার জান মালের ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা অবস্থায় গত ০৩/০৯/২০২০ইং তারিখে কুমিল্লা পুলিশ সুপারকে আবেদন করলে পুলিশ সুপার স্মারক নং ৪২১২ এর মাধ্যমে বুড়িচং থানা তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। উল্লেখিত আবেদনের ও যথাযথ কোন ব্যবস্থা এ যাবৎ স্থানীয় থানা প্রশাসন নেননি।