মোঃরনি মল্লিক বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে ৭২২ দিন বন্ধ থাকার পর সারা দেশের মতো পূর্ব কচু-কচুপাত্রা দাখিল মাদ্রাসা ও আগের মত পাঠদান চলছে, বাচ্চারা বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধূলায় মেতে উঠেছে। করোনার সংক্রমণ, কমায় বিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় খুশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতো দিন মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় তাদের ঘরবন্দি অবস্থায় ভালো লাগছিলো না, এখন বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় তাদের খুব আনন্দ হচ্ছে। অনলাইনে ক্লাস করলেও মফস্বল এলাকার শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই ক্লাস করা সম্ভব হয়নি সকলের, গুটি কয়েক শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করলেও শ্রেণি কক্ষকে মিস করেছেন তারা। তেমনি ভাবে শিক্ষক রাও বলছেন, আমরাও মিস করেছি শিক্ষার্থীদের।
পূর্ব-কচুপাত্রা ছালেহিয়ার দাখিল মাদ্রাসা ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাঃ মাকছুদা বলেন, সহপাঠীদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা আর মনখুলে কথা বলতে পারিনি। শিক্ষকদের কাছে পাইনি। অনলাইনে ক্লাস করলেও সরাসরি ক্লাস করার আনন্দটাই অন্য রকম। শিক্ষকদের খুব মিস করেছি। কিন্তু এখন আমরা সবাই খুব আনন্দিত।
পূর্ব-কচুপাত্রা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার অভিভাবক মোঃ নাশির উদ্দিন মল্লিক, তিনি বলেন, বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় আমরা আনন্দিত। বাচ্চারা এতোদিন বাসায় তেমন পড়াশুনা করেনি, তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করালে সেই ক্ষতি পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি।
বাংলা শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম (টুটুল) স্যার বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ভাবে খুলে দেয়াতে আমরা আনন্দিত। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ স্কুল খুললেও শ্রেণিভিত্তিক সপ্তাহে দু’দিন করে ক্লাস হতো কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের জানুয়ারী মাসে আবার বন্ধ হয়ে যায়। এখন আগের মতো পুরোপুরি ক্লাস হচ্ছে। প্রায় ২ বছর পর শ্রেণি কক্ষে আসতে পারিনি তাই মনটা খারাপ ছিলো।কিন্তু আমি এখন খুব আনন্দিত।
পূর্ব কচুপাত্রা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সকল শিক্ষকরা একই কথা জানান এবং তারা আরো জানান যে সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করাচ্ছে। তবে শত ভাগ উপস্থিতি এখনো নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ে স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যাবো হার করে পাঠ-দান করানো হচ্ছে।
পূর্ব কচুপাত্রা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি মোঃ কাজী – জালাল আহমেদ জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান শুরু হওয়াতে আমরাও উচ্ছ্বসিত।