কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের প্রবাসী ওয়াজ উদ্দিন (৩৮) এর স্ত্রী বা সন্তানসহ  অলি-ওয়ারিশের সাথে আর্থিক, বা অনাআর্থিক ও স্থাবর অস্থাবর সম্পদ নিয়ে কোন প্রকার লেনদেন বা চুক্তিপত্র না করার জন্য প্রতিবেশী বা বদরখালীসহ অন্য কোন এলাকার সাধারণ লোকজনের কাছে  আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

প্রবাসী ওয়াজ উদ্দিন একই উপজেলার  বদরখালী ইউনিয়নের ৩ নং ব্লকের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে।

বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে মুঠোফোনে সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে এই আকুতি জানান প্রবাসী ওয়াজ উদ্দিন।

প্রবাসী ওয়াজ উদ্দিন মুঠোফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘ সময়কাল ধরে দেশে আসা যাওয়া মাধ্যমে প্রবাস জীবন পার করে আসছেন।  তিনি অন্ততঃ  দুই বছর অন্তর দেশে আসা যাওয়া করে প্রবাস জীবন কেটে আসছিলেন।

সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অনেক কিছু ঘটে থাকে। এর জের ধরে স্ত্রী রাগান্বিত হয়ে যে কোন ধরণের স্থাবর,অস্থাবর সম্পদ বা আর্থিক লেনদেনের মত ঘটনা সংঘঠিত করতে পারে বিধায় তার এ সতর্কতা অবলম্বন বলে জানান।

দেশের বাড়িতে তার স্ত্রী ছাড়া লেনদেন করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন কেউ নেই। তাই তার অবর্তমানে বা সম্মতি ছাড়া স্ত্রী,সন্তান কিংবা অলি-ওয়ারিশের সাথে আর্থিক, বাড়ি বা জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রকার লেনদেন ও চুক্তিপত্র না করার জন্য তার প্রতিবেশী, বদরখালী ইউনিয়নের বা অন্য কোন এলাকার সাধারণ লোকজনের প্রতি আকুতি জানান। যদি কেউ কোন প্রকার লেনদেন বা চুক্তিপত্র করে থাকেন তা নিজ দায়িত্বে এসব কর্মকাণ্ডের দায়ভার নিতে হবে বলেও দাবী করেন ।

ওয়াজ উদ্দিন প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী ও  সন্তানদের চাহিদামত টাকা ও অন্যান্য দ্রব্য-সামগ্রী পাঠিয়ে আসছেন। তাই প্রতিবেশী ও বদরখালী ইউনিয়নের সাধারণ লোকজনকে আবারো সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।

প্রবাসী ওয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘকাল ধরে প্রবাস জীবন কেঠে আসতেছি।  বিগত নয় বছর পূর্বে আমি সংসার জীবন শুরু করি। আমার সংসারে মহান আল্লাহর দেয়া নেয়ামত স্বরূপ দুই কন্যা সন্তান আমার ও স্ত্রী ঔরশে জন্ম হয়।

দুই কন্যা সন্তানের তিশা মণি (০৮) ও নিহা মণি (০৫) নাম রেখেছি। সংসার জীবনে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয় বা হয়ে আসতেছে আদিকাল থেকে। এ সাংসারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার সহজ সরল স্ত্রী রাগের বশবর্তী হয়ে আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা অন্য কোন উপায়ে হস্তান্তর করার মত ঘটনা সংঘটিত করার মত সমুহ সম্ভাবনা বিরাজমান। তাই আমার অনাগত ক্ষয়-ক্ষতির সমুহ সম্ভাবনা হতে রক্ষা পেতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, এলাকাবাসী, স্থানীয় মেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় সর্বোপরি প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগীতা ও সহানুভূতি কামনা করছি।