বাংলাদেশ ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পটুয়াখালীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তানোরের সরনজাই স্কুল এখন দু হিরক রাজার কব্জায় ফরিদপুর সালথা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা দুই প্রার্থী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় জবি প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে বিদেশী পিস্তলসহ ০১ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গেফতার করেছে র‌্যাব। গাঁজা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার সহ ১০৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১: মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ০২ জন বড় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র!  জাতীয়করণ, আবেগ ও বাস্তবতা! নাটোরের বড়াই গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডা. আয়নুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। চোরাই মোবাইল চক্রের মূল হোতাসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার। সিলোটি ভাষা র কিছু ইতিকথা ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট পাওয়া যাবে। ঈদে ফিতর উপলক্ষে। গৌরীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেল কৃষকের চার গরু পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান নয়ন’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ফেক ফেসবুক আইডির শেষ কোথায় ???

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • ১৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

ফেক ফেসবুক আইডির শেষ কোথায় ???

 

 

মো. আজিজার রহমান: দিনাজপুর প্রতিনিধি;
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বলতেই আমরা এখন প্রায় সবাই ফেসবুককেই বুঝি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তবে একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর অপব্যবহারও। বাড়ছে ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও। ফলে বিপদে পড়ছেন অনেকেই।
ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক আইডি খোলার নিয়মে কিছুটা বাড়তি বাধ্যবাধকতা এনেছে ফেসবুক। তারপরও মানছে না কেউ। এ নিয়মে পরিচয় গোপন করে অ্যাকাউন্ট খোলার যে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেত সেটি এখন থেকে ফেসবুকে আর করা যাবে না। ফেসবুকের ফেক আইডির বিড়ম্বনা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
সারা দেশে বিভিন্ন বেনামে ফেসবুক ফেক আইডি রয়েছে অসংখ্য, এর ব্যতিক্রম নয় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা। বেনামে ফেক আইডিগুলি নানা রকম উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে প্রতি নিয়ত। রীতিমতো এসব আইডিগুলি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তথ্য ছড়িয়ে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করছে। এই সমস্ত ফেক আইডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বহুবার। তারপরও আইনের তোয়াক্কা না করেই, নির্ধিয়ায় চালাচ্ছে এসব বেনামি আইডিগুলি। উপজেলায় সম্প্রীতি কিছু আইডি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সাংবাদিক পর্যন্ত সকলের নামে বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে দিন রাত সমান তালে। যে কোন নির্বাচন আসলেই এসব ফেক আইডির জন্ম হয় অনেক বেশি।
বর্তমানে সবাই ফেসবুকমুখী, একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়লে সেটি অতি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়, হোক সে ভাল অথবা মন্দ। তবে মন্দের দিকে আকর্ষণ বেশি নেটিজেনদের।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা এই বিড়ম্বনার শেষ দেখতে চাই। যদিও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিন্তু তা ধীরগতি। আইনের ধীরগতিতে ফেক আইডির মালিকগণ নির্ধিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সোশ্যাল পাড়ায়। তারা মনে করছে আমাদের তো কিছুই হচ্ছে না, যার ফলে তাদের সাহস আকাশচুম্বী।
অনেকেই মনে করেন, এদের দুই একজন কে ধরলে, শাস্তির আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অন্য কেউ এসব ফেক একাউন্ট চালানোর সাহস পাবে না।
নাম বলতে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমার কাছে এক ফেক আইডি মেসেঞ্জারে দুই লক্ষ টাকা চায়, আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার নামে ওই আইডি থেকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দেয় এতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। আমি আইনের আশ্রয় নিলেও কোন সুফল মেলেনি।
সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বলছেন, অতি দ্রুত এসব নকল আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ফেসবুকের প্রতি অনীহা চলে আসবে। সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে। ফেসবুক এখন সংবাদ পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। যদিও ভুল সংবাদের সংখ্যা বেশি কিন্তু কিছু সাংবাদিকদের আইডিতে সত্যিকারের সংবাদ পাওয়া যায় বলেই ব্যবহার করছি।
যদিও ডিজিটাল নিরাপত্তা কঠোর আইন করা হয়েছে এইসব ফেক আইডির বিরুদ্ধে। তাতেও কোন সুবাতাসের হাওয়া বইছে না ভুক্তভোগীদের।
এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমরা অনেকে ফেসবুক ফেক একাউন্টের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি। অতি শীঘ্রই এসব ফেক আইডির মালিকদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নতুন আইডি খুলতে গেলে ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে একটা প্রোফাইল ছবি ও আইডির জন্য বিশেষ কিছু তথ্য যোগ না করলে এখন থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা আর পাওয়া যাবে না ফেসবুকে। এমনটাই বলছে ফেসবুক কতৃপক্ষ।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট তৈরি বন্ধ করতে এবং বেনামে হয়রানির আশঙ্কা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাদের একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, তাদের জন্য ফেসবুকে প্রোফাইলের বাড়তি তথ্য দেয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকে লগইন করতে গেলে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এসব অ্যাকাউন্ট ইউজারকে।
যদি এসব অ্যাকাউন্টে মোবাইল নম্বর দেয়া না থাকে, তবে ফেসবুক মোবাইল নম্বর ও অন্তত একটি প্রোফাইল পিকচার চাইবে। আর একই মোবাইল নম্বর দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলার সুযোগও দিচ্ছে না ফেসবুক।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিনষ্টের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে অনেকেই ফেসবুক থেকে তাদের প্রকৃত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। ওই ব্যবহারকারীরা আরেকটি ডামি বা ‘নকল’ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেসবুকে লগইন করছেন।
ওই এসব অ্যাকাউন্টে প্রায় সময় ছবি বা মোবাইল নম্বর দেন না ব্যবহারকারীরা। এমনকি ফ্রেন্ড লিস্টে কাউকে গ্রহণ করেন না। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ দেখতে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে অন্যান্য অ্যাপে লগইন করতে ব্যবহার করা হয় এসব ডামি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মোবাইল নম্বর ও প্রোফাইলের ছবি দিতেও বাধ্য করবে ফেসবুক।
ইতিমধ্যে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং নানা কেলেঙ্কারিতে চাপে রয়েছে ফেসবুক। ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।
জরিমানার পাশাপাশি ফেসবুককে একটি প্রাইভেসি কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছিল। ওই কমিটির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গের।
প্রাথমিকভাবে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় অবৈধভাবে ৮.৭ কোটি গ্রাহকের তথ্য দেয়ার জন্য দায়ী করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটিকে। পরে এতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মতো অন্যান্য ঘটনা যোগ করে এফটিসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইস্টাগ্রাম, লিংকডইনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের প্রতি মাসের হিসাব দিয়ে থাকে পোল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেপোলিয়নক্যাট।
তাদের হিসেবে, গত বছরের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার। এই সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। ব্যবহারকারীর মধ্যে ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং পুরুষ ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ। ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি। তাঁদের সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ।
জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী

ফেক ফেসবুক আইডির শেষ কোথায় ???

আপডেট সময় ০৩:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

 

 

মো. আজিজার রহমান: দিনাজপুর প্রতিনিধি;
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বলতেই আমরা এখন প্রায় সবাই ফেসবুককেই বুঝি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তবে একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর অপব্যবহারও। বাড়ছে ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও। ফলে বিপদে পড়ছেন অনেকেই।
ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক আইডি খোলার নিয়মে কিছুটা বাড়তি বাধ্যবাধকতা এনেছে ফেসবুক। তারপরও মানছে না কেউ। এ নিয়মে পরিচয় গোপন করে অ্যাকাউন্ট খোলার যে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেত সেটি এখন থেকে ফেসবুকে আর করা যাবে না। ফেসবুকের ফেক আইডির বিড়ম্বনা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
সারা দেশে বিভিন্ন বেনামে ফেসবুক ফেক আইডি রয়েছে অসংখ্য, এর ব্যতিক্রম নয় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা। বেনামে ফেক আইডিগুলি নানা রকম উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে প্রতি নিয়ত। রীতিমতো এসব আইডিগুলি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তথ্য ছড়িয়ে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করছে। এই সমস্ত ফেক আইডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বহুবার। তারপরও আইনের তোয়াক্কা না করেই, নির্ধিয়ায় চালাচ্ছে এসব বেনামি আইডিগুলি। উপজেলায় সম্প্রীতি কিছু আইডি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সাংবাদিক পর্যন্ত সকলের নামে বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে দিন রাত সমান তালে। যে কোন নির্বাচন আসলেই এসব ফেক আইডির জন্ম হয় অনেক বেশি।
বর্তমানে সবাই ফেসবুকমুখী, একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়লে সেটি অতি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়, হোক সে ভাল অথবা মন্দ। তবে মন্দের দিকে আকর্ষণ বেশি নেটিজেনদের।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা এই বিড়ম্বনার শেষ দেখতে চাই। যদিও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিন্তু তা ধীরগতি। আইনের ধীরগতিতে ফেক আইডির মালিকগণ নির্ধিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সোশ্যাল পাড়ায়। তারা মনে করছে আমাদের তো কিছুই হচ্ছে না, যার ফলে তাদের সাহস আকাশচুম্বী।
অনেকেই মনে করেন, এদের দুই একজন কে ধরলে, শাস্তির আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অন্য কেউ এসব ফেক একাউন্ট চালানোর সাহস পাবে না।
নাম বলতে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমার কাছে এক ফেক আইডি মেসেঞ্জারে দুই লক্ষ টাকা চায়, আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার নামে ওই আইডি থেকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দেয় এতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। আমি আইনের আশ্রয় নিলেও কোন সুফল মেলেনি।
সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বলছেন, অতি দ্রুত এসব নকল আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ফেসবুকের প্রতি অনীহা চলে আসবে। সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে। ফেসবুক এখন সংবাদ পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। যদিও ভুল সংবাদের সংখ্যা বেশি কিন্তু কিছু সাংবাদিকদের আইডিতে সত্যিকারের সংবাদ পাওয়া যায় বলেই ব্যবহার করছি।
যদিও ডিজিটাল নিরাপত্তা কঠোর আইন করা হয়েছে এইসব ফেক আইডির বিরুদ্ধে। তাতেও কোন সুবাতাসের হাওয়া বইছে না ভুক্তভোগীদের।
এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমরা অনেকে ফেসবুক ফেক একাউন্টের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি। অতি শীঘ্রই এসব ফেক আইডির মালিকদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নতুন আইডি খুলতে গেলে ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে একটা প্রোফাইল ছবি ও আইডির জন্য বিশেষ কিছু তথ্য যোগ না করলে এখন থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা আর পাওয়া যাবে না ফেসবুকে। এমনটাই বলছে ফেসবুক কতৃপক্ষ।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট তৈরি বন্ধ করতে এবং বেনামে হয়রানির আশঙ্কা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাদের একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, তাদের জন্য ফেসবুকে প্রোফাইলের বাড়তি তথ্য দেয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকে লগইন করতে গেলে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এসব অ্যাকাউন্ট ইউজারকে।
যদি এসব অ্যাকাউন্টে মোবাইল নম্বর দেয়া না থাকে, তবে ফেসবুক মোবাইল নম্বর ও অন্তত একটি প্রোফাইল পিকচার চাইবে। আর একই মোবাইল নম্বর দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলার সুযোগও দিচ্ছে না ফেসবুক।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিনষ্টের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে অনেকেই ফেসবুক থেকে তাদের প্রকৃত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। ওই ব্যবহারকারীরা আরেকটি ডামি বা ‘নকল’ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেসবুকে লগইন করছেন।
ওই এসব অ্যাকাউন্টে প্রায় সময় ছবি বা মোবাইল নম্বর দেন না ব্যবহারকারীরা। এমনকি ফ্রেন্ড লিস্টে কাউকে গ্রহণ করেন না। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ দেখতে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে অন্যান্য অ্যাপে লগইন করতে ব্যবহার করা হয় এসব ডামি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মোবাইল নম্বর ও প্রোফাইলের ছবি দিতেও বাধ্য করবে ফেসবুক।
ইতিমধ্যে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা এবং নানা কেলেঙ্কারিতে চাপে রয়েছে ফেসবুক। ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।
জরিমানার পাশাপাশি ফেসবুককে একটি প্রাইভেসি কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছিল। ওই কমিটির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গের।
প্রাথমিকভাবে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় অবৈধভাবে ৮.৭ কোটি গ্রাহকের তথ্য দেয়ার জন্য দায়ী করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটিকে। পরে এতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মতো অন্যান্য ঘটনা যোগ করে এফটিসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইস্টাগ্রাম, লিংকডইনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের প্রতি মাসের হিসাব দিয়ে থাকে পোল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেপোলিয়নক্যাট।
তাদের হিসেবে, গত বছরের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার। এই সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। ব্যবহারকারীর মধ্যে ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং পুরুষ ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ। ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি। তাঁদের সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ।