প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ৯:২৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১, ২০২২, ৫:৫৯ পি.এম
স্টাফ রিপোর্টার (ছাতক) সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের ছাতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতি। অদ্য মঙ্গলবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছে দলিল লিখক সমিতি।
১ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি ছাতক উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দরা সংবাদকমীদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
জানা যায়, সাব -রেজিস্ট্রার ফখরুল ইসলাম ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুর রহিমের সাথে কার্যালয়ে ছাতক পৌর সভার মেয়রের বড় ভাই কামাল চৌধুরীর অশালীন আচরণ, হুমকি ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনসহ একাধিক দলিল লেখককে গালি-গালাজ, অপমান ও লাঞ্চিত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে দলিল লেখক সমিতির উদ্দ্যোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দলিল লেখকরা (ডিড রাইটার) অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষনা দেন। এর আগে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি ছাতক শাখার উদ্দ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সর্বসম্মতিতে কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কামাল চৌধুরী প্রথমে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসে সাব রেজিস্ট্রার ও অফিস সহকারীকে লাঞ্চিত করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরে তিনি জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে ছাতক অফিসে বিভিন্ন দুর্নীতি হচ্ছে মৌখিকভাবে এমন অভিযোগ দেন। তার মৌখিক এ অভিযোগের কারণে গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা রেজিস্ট্রার মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ছাতক অফিসে এসে তদন্ত করলে ও এসব দুনীতির কোনো সত্যতার পায়নি তদন্ত কমিটি।
সোমবার বিকালে আবারও অফিসে আসেন কামাল চৌধুরী। তিনি সাব-রেজিস্ট্রারের খাস কামরায় বসেই দলিল লিখকদেরকে অশালীন ভাষায় গালা-গালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২/৩ জন দলিল লেখককে লাঞ্চিত ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সোমবার সোমবার রাতে দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন তালুকদার,সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার দাস, সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজুল ইসলাম, দলিল লিখক সমিতির সদস্য রঞ্জিত কুমার দাস, খুরশিদ মিয়া,শফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার,মুহিবুল হক,নুরুল ইসলাম, ফয়ছল আহমেদ, বাকি বিল্লাহ, মুরাদ মিয়া, ওয়াছির আলী, আব্দুল মমিন, আব্দুস সালাম নোমান, আব্দুল কাইয়ুম, নজমুল হোসেন, লিকছন দাস,সুমন মিয়া,কদর আলী, হিফজুল বারী শিমুল, দেলোয়ার হোসেন নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জান মালের নিরাপত্তার নিশ্চিত না হওয়া পযন্ত তারা এ কমসুচি পালন করবে বলে হুসিয়ারি দেন।
এব্যাপারে কামাল চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জায়গার দলিল করতে সাবরেজিষ্টার অফিসে পৌছা মাত্র দলিল লিখকরা তাকে লাঞ্চিত ও তার উপর হামলার চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে রেজিষ্টার ফখরুল ইসলাম জানান, কামাল চৌধুরী তার কাছে এসেছেন। তিনি এসে তার খাস কামরায় বসার পর দলিল লেখকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি এ বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রার, জেলা দলিল লেখক সমিতিকে অবহিত করছেন।