নোয়াখালী প্রতিনিধি
রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মস্থল বসুরহাট মর্ডাণ হাসপাতালে ছিল। পরের দিন সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নানার বাড়ির পাশের একটি ধান খেত থেকে শাহানাজ পারভীন প্রিয়তা (২৬) নামে এক নার্সের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা পার্শ্ববতী কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের নুরনবীর মেয়ে। সে সরকারি মুজিব কলেজ থেকে অনার্স পরীক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি বসুরহাট মর্ডাণ প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিল।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পিছনের একটি ধান খেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহরিয়ার শিপন জানান, স্থানীয় কয়েকজন যুবক সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশের ধান খেতে ক্রিকেট খেলতে খেলে ওই যুবতীর মরদেহ ধান খেতে পড়ে থাকতে দেখে। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
নিহত প্রিয়তার বাবা নুরনবী জানান, প্রিয়তা আমার বড় মেয়ে। পড়া লেখার পাশাপাশি বসুরহাট মর্ডাণ হাসপাতালে নার্সের চাকরি করত। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁর ডিউটি ছিল। গতকাল রাত ৮টার পরে প্রিয়তার মামী তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন তারা ভাবে আজকে হয়তো সে আর আসবেনা। সে হাসপিটালের মেয়েদের সাথেও মাঝে মাঝে একটি বাসায় থাকত। আবার নানার বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রায় সে নানার বাড়িতেও থাকত।
কোম্পানীঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রতন মিয়া ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান নিহত যুবতীর মুখে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার শরীরের আরো আঘাতের চিহৃ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান বলেন মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।