বাংলাদেশ ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর আজহারুল কে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ফুলবাড়ীতে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির স্মরণসভা শের-ই- বাংলা পাবলিক লাইব্রেরীতে পিরোজপুর সাহিত্য পরিষদের ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৫২ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার  নবী হোছাইনের থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছে।

সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে সেই পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।

বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার  নবী হোছাইনের থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছে।

সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে সেই পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।

বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।