ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক বিষখালী-বলেশ্বরে গোপজালের নামে রয়েছে মরন জাল উলিপুরে এক যুবকের বিরুদ্ধে শিশু শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ ভালুকায় তাঁতীলীগের ২০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নাজিরপুরকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা উপলক্ষে উপজেলা প্রসাশনের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী সিংড়ায় ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত হওয়ায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোন অঙ্গরাজ্য নয় : মোমিন মেহেদী বরগুনার বেতাগীতে ব্যক্তিগত সফরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজশাহীতে দৈনিক সকালের সময় জাতীয় পত্রিকার বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কতৃক হরিপুর উপজেলাকে ভুমিহীন ও গৃহ হীন মুক্ত করনে প্রশাসনের উদ্যেগে সংবাদ সম্মেলন মোবাইলে লুডু জুয়া: ৭ জুয়াডি গ্রেফতার নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রী লামিয়া হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন নাটোরের সিংড়ায় মাছ চাষী নিখোঁজ নোয়াখালীতে লাখ টাকাসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তাফা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার  নবী হোছাইনের থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছে।

সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে সেই পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।

বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার  নবী হোছাইনের থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছে।

সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে সেই পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।

বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।