সজীব হাসান, আদমদিঘী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের পুশিন্দা গ্রামের হিন্দুপাড়া মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা অনিল বর্মনের ছেলে বিধান বর্মন নামের একজন ব্যবসায়ী ঋণের চাপে পড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ ৩ জুলাই রোজ রবিবার সকাল এগারো ঘটিকার সময় অত্র উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের মুরইল বাজারে মেসার্স তৃপ্তি ট্রেডার্স নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন ঘরের ভেতর তিনি আত্মহত্যা করেণ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের পুশিন্দা গ্রামের হিন্দুপাড়া মহল্লার বাসিন্দা অনিল বর্মনের ছেলে বিধান বর্মন (৫২) তার নিজ এবং স্ত্রীর নামে বিভিন্ন সমিতি ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে চড়া সুদে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ করেণ।
ঋণের বোঝা বইতে না পেরে কিছুদিন আগে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। বেশ কয়েক দিন আগে মুরইল বাজারে মেসার্স তৃপ্তি ট্রেডার্স নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফিরে এসে পুনরায় তিনি ব্যাবসায় মনোনিবেশ করেন। বিষয়টি পাওনাদাররা জানতে পেরে টাকা আদায়ের জন্য বিধানের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
কয়েক দিন আগে বাড়িতে গিয়ে একজন পাওনাদার টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে গরু নিয়ে চলে যায়। বিধান বর্মনের ছেলে মিহির বর্মন জানায়, আজ সকালে পাওনাদাররা মুরইল বাজারে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে টাকার জন্য চাপ দেয়।
এ সময় তার বাবা পাওনাদারদের দোকানে বসিয়ে রেখে পাশের নির্মাণাধীন ঘরে সবার অজান্তে বৈদ্যুতিক পাখার রডের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেণ। ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেরি হওয়ায় স্থানীয়রা ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন, তার বাবা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ আবু রেজা বলেন, খবর পেয়ে বেলা সাড়ে এগারো ঘটিকায় বিধান বর্মনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।