বাংলাদেশ ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক চকরিয়ায় নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সিডিয়ের জনসমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা  ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় শিশু আহত

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বন্দে বানানো হলো চাঁদাবাজ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ১৭৫১ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বন্দে বানানো হলো চাঁদাবাজ

 

 মোঃ তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি। 
শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ কমানোর অনুরোধ করতে যেয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রোশের মুখে পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ এর বিরুদ্ধে ওঠেছে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের পর সাঈদের বিরুদ্ধে চাঁদাবজির অভিযোগ তোলেন শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাইদ। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে চাঁদাবাজির কোনো সূত্র বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায় পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার মোড়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের হচ্ছেন সাঈদ ও তার রাজনৈতিক সহকর্মী মাসুদ রানা। ভিডিওতে বের হয়ার দৃশ্য ছাড়া কারও সাথে কথা বলার দৃশ্যও দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহবুব বলেন, না তারা চাঁদার জন্য আসে নাই এবং আমাদের সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করেননি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টেস্টের রিপোর্টে যাতে আমরা ছাড় দেই এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
সাঈদের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি। ফলে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যের জন্য আসেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ কমানোর অনুরোধ করতে গিয়েছিলেন ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তার দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং অসুস্থ সেই শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী কোতোয়ালী থানা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসেও মেলেনি কোনো অভিযোগ।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ স্বপন মিয়া বলেন, গত মাসে আমি অসুস্থ হই। ডাক্তার দেখানোর পর আমাকে কিছু টেস্ট দেয়। এসব টেস্ট গুলোর খরচ বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। বিষয়টা আমি সাঈদ ভাইকে জানাই পরে ভাই ও তার বন্ধু মাসুদ টেস্ট গুলো নিয়ে পপুলারে কথা বলতে গিয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, চাঁদাবাজির কোনো প্রমাণ আছে? নাকি আমরা এক টাকাও নিয়েছি, এটা সম্পূর্ণ গুজব। কেউ থানায় বা বিশ্ববিদ্যালয়েও কোনো অভিযোগ করেনি। আমাদের কথার কোনো রেকর্ডও নেই। সিসিটিভি ফুটেজে আমরা রুম থেকে রেব হচ্ছি সেটার ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
এমন হাজার হাজার লোক এভাবে যাওয়া আসা করে। আমরা গিয়েছিলাম জগন্নাথের এক গরীব শিক্ষার্থীর টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে কথা বলতে। কিছু টাকা কমানো যায় কিনা সেটার মানবিক অনুরোধে শুধু। এখানে কোনো চাঁদার বিষয় ভুলেও আসতে পারেনা। আমাদের নামে এসব ভুয়া গুজবের জন্য আমরা প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায়। সোসাইটি, আমরা ডিপার্টমেন্ট ও এলাকার ছাড়াও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সাহায্য করতে বলে। আমার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সাধ্যমত সবার জন্য চেষ্টা করি।
এখন রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ মানুষের প্রয়োজনে কিভাবে দাঁড়াবে। এধরণের নোংরামিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক সহমর্মিতার যে সংস্কৃতি তা নষ্ট হবে।
অপর অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের এক ছোটভাই অসুস্থ। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিছু টেস্ট করিয়েছে। ওইখানে তো অনেক বিল এসেছে আর ওরা অনেক গরিব। পপুলারে গিয়ে একটু কথা বলি যে তারা একটু কম নিবে কিনা। আমরা তখন পপুলারে গেলাম আশা নিয়ে যেহেতু স্টুডেন্টদের জন্য মোটামুটি সব জায়গায়ই ছাড় থাকে তার উপরে আমাদের ওই ছোট ভাইয়ের ফ্যামিলির অবস্থা তো আছেই।
তিনি আরও বলেন, পরে একটা সিসি ফুটেজ ভাইরাল করার পায়তারা করে কিছু লোকজন। কিন্তু যখন দেখেছে এটা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন তখন তারা আর বৃথা শ্রম দেয় নি। হটাৎ করে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ আশার পরে আবার সেই কুচক্রী মহল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই ভিত্তিহীন পূরাতন কথা নিয়ে ভাইরাল করার পায়তারায়।
এবিসয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিককর্মী ও মুক্তমঞ্চের সভাপতি নাঈম রাজ বলেন, জবি ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আর এটার সুযোগ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করছেন কতিপয় সুযোগ সন্ধানী নেতৃবৃন্দ।
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্নী আক্তার বলেন, জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। যেগুলোর কোন প্রমাণ নেই। কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতৃবৃন্দ এসব বানোয়াট তথ্য ছাড়াচ্ছেন। সাঈদের নামে যে চাঁদাবাজির অভিযোগটি তুলেছেন এটা ভিত্তিহীন। তাকে আমরা দীর্ঘদিন যাবত চিনি সে ছাত্রলীগের সক্রিয় মেধাবী কর্মী। সে বিভিন্ন শিক্ষা বান্ধব কাজের সাথে জড়িত। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে যেকোন প্রয়োজনে কাছে পায়।
জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী বাবু বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলুষিত করার জন্য গুটিকয়েক নেতৃবৃন্দ উঠে পড়ে লেগেছেন। সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের মনগড়া মন্তব্য করে যাচ্ছেন তারা। পপুলারের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন যার কোন তথ্য প্রমাণ নেই। কাউকে অযথা জড়ানো এটা অন্যায়। জবি ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কারোর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার আগে ভাবা উচিত।
কোতোয়ালি থানার (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করলেও মেলেনি কোন লিখিত অভিযোগ।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বন্দে বানানো হলো চাঁদাবাজ

আপডেট সময় ১১:৫৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

 

 মোঃ তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি। 
শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ কমানোর অনুরোধ করতে যেয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রোশের মুখে পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ এর বিরুদ্ধে ওঠেছে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের পর সাঈদের বিরুদ্ধে চাঁদাবজির অভিযোগ তোলেন শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাইদ। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে চাঁদাবাজির কোনো সূত্র বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায় পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার মোড়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের হচ্ছেন সাঈদ ও তার রাজনৈতিক সহকর্মী মাসুদ রানা। ভিডিওতে বের হয়ার দৃশ্য ছাড়া কারও সাথে কথা বলার দৃশ্যও দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহবুব বলেন, না তারা চাঁদার জন্য আসে নাই এবং আমাদের সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করেননি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টেস্টের রিপোর্টে যাতে আমরা ছাড় দেই এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
সাঈদের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি। ফলে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যের জন্য আসেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ কমানোর অনুরোধ করতে গিয়েছিলেন ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তার দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং অসুস্থ সেই শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী কোতোয়ালী থানা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসেও মেলেনি কোনো অভিযোগ।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ স্বপন মিয়া বলেন, গত মাসে আমি অসুস্থ হই। ডাক্তার দেখানোর পর আমাকে কিছু টেস্ট দেয়। এসব টেস্ট গুলোর খরচ বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। বিষয়টা আমি সাঈদ ভাইকে জানাই পরে ভাই ও তার বন্ধু মাসুদ টেস্ট গুলো নিয়ে পপুলারে কথা বলতে গিয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, চাঁদাবাজির কোনো প্রমাণ আছে? নাকি আমরা এক টাকাও নিয়েছি, এটা সম্পূর্ণ গুজব। কেউ থানায় বা বিশ্ববিদ্যালয়েও কোনো অভিযোগ করেনি। আমাদের কথার কোনো রেকর্ডও নেই। সিসিটিভি ফুটেজে আমরা রুম থেকে রেব হচ্ছি সেটার ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
এমন হাজার হাজার লোক এভাবে যাওয়া আসা করে। আমরা গিয়েছিলাম জগন্নাথের এক গরীব শিক্ষার্থীর টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে কথা বলতে। কিছু টাকা কমানো যায় কিনা সেটার মানবিক অনুরোধে শুধু। এখানে কোনো চাঁদার বিষয় ভুলেও আসতে পারেনা। আমাদের নামে এসব ভুয়া গুজবের জন্য আমরা প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায়। সোসাইটি, আমরা ডিপার্টমেন্ট ও এলাকার ছাড়াও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সাহায্য করতে বলে। আমার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সাধ্যমত সবার জন্য চেষ্টা করি।
এখন রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ মানুষের প্রয়োজনে কিভাবে দাঁড়াবে। এধরণের নোংরামিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক সহমর্মিতার যে সংস্কৃতি তা নষ্ট হবে।
অপর অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের এক ছোটভাই অসুস্থ। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিছু টেস্ট করিয়েছে। ওইখানে তো অনেক বিল এসেছে আর ওরা অনেক গরিব। পপুলারে গিয়ে একটু কথা বলি যে তারা একটু কম নিবে কিনা। আমরা তখন পপুলারে গেলাম আশা নিয়ে যেহেতু স্টুডেন্টদের জন্য মোটামুটি সব জায়গায়ই ছাড় থাকে তার উপরে আমাদের ওই ছোট ভাইয়ের ফ্যামিলির অবস্থা তো আছেই।
তিনি আরও বলেন, পরে একটা সিসি ফুটেজ ভাইরাল করার পায়তারা করে কিছু লোকজন। কিন্তু যখন দেখেছে এটা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন তখন তারা আর বৃথা শ্রম দেয় নি। হটাৎ করে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ আশার পরে আবার সেই কুচক্রী মহল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই ভিত্তিহীন পূরাতন কথা নিয়ে ভাইরাল করার পায়তারায়।
এবিসয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিককর্মী ও মুক্তমঞ্চের সভাপতি নাঈম রাজ বলেন, জবি ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আর এটার সুযোগ নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করছেন কতিপয় সুযোগ সন্ধানী নেতৃবৃন্দ।
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্নী আক্তার বলেন, জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। যেগুলোর কোন প্রমাণ নেই। কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতৃবৃন্দ এসব বানোয়াট তথ্য ছাড়াচ্ছেন। সাঈদের নামে যে চাঁদাবাজির অভিযোগটি তুলেছেন এটা ভিত্তিহীন। তাকে আমরা দীর্ঘদিন যাবত চিনি সে ছাত্রলীগের সক্রিয় মেধাবী কর্মী। সে বিভিন্ন শিক্ষা বান্ধব কাজের সাথে জড়িত। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে যেকোন প্রয়োজনে কাছে পায়।
জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী বাবু বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলুষিত করার জন্য গুটিকয়েক নেতৃবৃন্দ উঠে পড়ে লেগেছেন। সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের মনগড়া মন্তব্য করে যাচ্ছেন তারা। পপুলারের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন যার কোন তথ্য প্রমাণ নেই। কাউকে অযথা জড়ানো এটা অন্যায়। জবি ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কারোর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার আগে ভাবা উচিত।
কোতোয়ালি থানার (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করলেও মেলেনি কোন লিখিত অভিযোগ।