ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী  ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ০৩ আসামীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ রামগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে যুবক কারাগারে  ইন্দুরকানীতে বিদ্যুৎ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রর মৃত্যু শাহাজাদী বেগমের হত্যা মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, প্রশাসন নিরব!  খানসামায় প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি গঠনে নানান অভিযোগ রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় ৬৫ দিনের অবরোধে ২৩৯৩ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ উলিপুরে ফুল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবীবে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মসলা দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রতিকৃতি সরিয়ে মেয়রের রক্ষা!  পাথরঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ। নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গ্রেফতার

অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল- তথ্যমন্ত্রী 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
  • ১৬৬০ বার পড়া হয়েছে

অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল- তথ্যমন্ত্রী 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো। 
যারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পালন করে, সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে রাজনীতি করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যারা দেশে গণ্ডগোল পাকায় এবং যারা এই অসাম্প্রদায়িক দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, অতীতে করেছিল, তাদেরকে আপনারা চেনেন, তাদেরকে বর্জন করুন।
শুক্রবার ১ জুলাই বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত রথযাত্রা উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বাংলাদেশ আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানাবিধ অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। এই রথযাত্রাও তাই। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে এসে অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
চট্টগ্রামে রথযাত্রা উৎসবের গৌরবোজ্জ্বল অতীত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রথযাত্রা চট্টগ্রামে একটি বড় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই রথযাত্রা উৎসব হয়ে আসছে। হাজার হাজার মানুষ রথযাত্রায় অংশ নেন। এই উৎসব নগরীর প্রতিটি মানুষ বুঝতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে এবং এ অপশক্তি মাঝেমধ্যে সাপের মতো ছোবল মারার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সময় সেই অপচেষ্টা হয়েছে। আমাদের সরকার সেগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছে। আমরা যে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেজন্য দুর্গাপূজার সময় যেভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল, ত্বরিৎ গতিতে সেগুলো দমন করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষে দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, এই দেশে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা এবং ভারতবিরোধিতা। যখন নির্বাচন আসে তখন তারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে আসে- বলতে শুরু করে ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে হিন্দুদের দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ভারতের চর’। যদিও এই সমস্ত ট্যাবলেট আগের মতো কাজ করে না।
সবাইকে সতর্ক করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন অতি সন্নিকটে। তারা আবারও একই স্লোগান নিয়ে হাজির হবে। আমাদের সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কাজ করেছে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর পাকিস্তান আমলে আইন করা হয়েছিল- শত্রু সম্পত্তি আইন। দেশের তিন কোটি মানুষকে শত্রু আখ্যা দিয়ে কোনো আইন হতে পারে না। সে কারণে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই আইন পাল্টে দিয়েছেন।
সেই আইনের সুযোগ নিয়ে যে সম্পত্তিগুলো বেহাত হয়েছিল সেগুলো ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরও নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যেমন পূজার সময়ের বরাদ্দ এই সরকারের সময়ে কতটুকু এবং আগের সরকারের সময়ে কতটুকু ছিল, তা দেখলেই বোঝা যায়। এখন চাকুরির ক্ষেত্রেও সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন দেখলে বোঝা যায়, সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হার এখন কতটুকু, আগে কতটুকু ছিল।
এই বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়, আমাদের সরকার সবার অধিকার নিশ্চিতের জন্য কি কাজ করছে। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সনাতন সম্প্রদায়ের পুলিশ কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যেটা আগে কখনো ছিল না। দেশের প্রধান বিচারপতিও সনাতন সম্প্রদায়ের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, যেটি আমাদের সরকার করেছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ স্বীকার করুক আর না করুক ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। হিন্দুদের জন্য একটি রাষ্ট্র আর মুসলিমদের জন্য আরেকটি রাষ্ট্র। কিন্তু বিভাজনের পর আমরা বাঙালিরা অনুধাবন করেছি, এই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমাদের জন্য নয়। কারণ আমাদের প্রথম পরিচয় আমি বাঙালি। দ্বিতীয় পরিচয় আমি হিন্দু না মুসলিম, না বৌদ্ধ নাকি খ্রীস্টান। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পাকিস্তানে সেই সংস্কৃতি এবং পরিচয় যখন হুমকির মুখে পড়লো তখন জাতির পিতার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ রচিত হলো।
যে অসম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে আমাদের পূর্বসুরীরা দেশ রচনা করেছিলেন, লাল-সবুজ পতাকার জন্ম হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই চেতনার মূলে আঘাত হানা হলো’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর রাষ্ট্রের পরিচয় বদলে দেয়া হলো। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা হলো, অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা তার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়েছেন।
গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে দেশ পরিচালনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের যে পরিচয় নষ্ট করা হয়েছিল সেটি আবার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ বাকী। এখন বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে।
ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি কমিশনার মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন ও ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের

অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল- তথ্যমন্ত্রী 

আপডেট সময় ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো। 
যারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পালন করে, সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে রাজনীতি করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যারা দেশে গণ্ডগোল পাকায় এবং যারা এই অসাম্প্রদায়িক দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, অতীতে করেছিল, তাদেরকে আপনারা চেনেন, তাদেরকে বর্জন করুন।
শুক্রবার ১ জুলাই বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত রথযাত্রা উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বাংলাদেশ আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানাবিধ অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। এই রথযাত্রাও তাই। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে এসে অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
চট্টগ্রামে রথযাত্রা উৎসবের গৌরবোজ্জ্বল অতীত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রথযাত্রা চট্টগ্রামে একটি বড় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই রথযাত্রা উৎসব হয়ে আসছে। হাজার হাজার মানুষ রথযাত্রায় অংশ নেন। এই উৎসব নগরীর প্রতিটি মানুষ বুঝতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে এবং এ অপশক্তি মাঝেমধ্যে সাপের মতো ছোবল মারার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সময় সেই অপচেষ্টা হয়েছে। আমাদের সরকার সেগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছে। আমরা যে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেজন্য দুর্গাপূজার সময় যেভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল, ত্বরিৎ গতিতে সেগুলো দমন করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষে দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, এই দেশে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা এবং ভারতবিরোধিতা। যখন নির্বাচন আসে তখন তারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে আসে- বলতে শুরু করে ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে হিন্দুদের দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ভারতের চর’। যদিও এই সমস্ত ট্যাবলেট আগের মতো কাজ করে না।
সবাইকে সতর্ক করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন অতি সন্নিকটে। তারা আবারও একই স্লোগান নিয়ে হাজির হবে। আমাদের সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কাজ করেছে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর পাকিস্তান আমলে আইন করা হয়েছিল- শত্রু সম্পত্তি আইন। দেশের তিন কোটি মানুষকে শত্রু আখ্যা দিয়ে কোনো আইন হতে পারে না। সে কারণে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই আইন পাল্টে দিয়েছেন।
সেই আইনের সুযোগ নিয়ে যে সম্পত্তিগুলো বেহাত হয়েছিল সেগুলো ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরও নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যেমন পূজার সময়ের বরাদ্দ এই সরকারের সময়ে কতটুকু এবং আগের সরকারের সময়ে কতটুকু ছিল, তা দেখলেই বোঝা যায়। এখন চাকুরির ক্ষেত্রেও সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন দেখলে বোঝা যায়, সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হার এখন কতটুকু, আগে কতটুকু ছিল।
এই বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়, আমাদের সরকার সবার অধিকার নিশ্চিতের জন্য কি কাজ করছে। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সনাতন সম্প্রদায়ের পুলিশ কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যেটা আগে কখনো ছিল না। দেশের প্রধান বিচারপতিও সনাতন সম্প্রদায়ের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, যেটি আমাদের সরকার করেছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ স্বীকার করুক আর না করুক ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। হিন্দুদের জন্য একটি রাষ্ট্র আর মুসলিমদের জন্য আরেকটি রাষ্ট্র। কিন্তু বিভাজনের পর আমরা বাঙালিরা অনুধাবন করেছি, এই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমাদের জন্য নয়। কারণ আমাদের প্রথম পরিচয় আমি বাঙালি। দ্বিতীয় পরিচয় আমি হিন্দু না মুসলিম, না বৌদ্ধ নাকি খ্রীস্টান। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পাকিস্তানে সেই সংস্কৃতি এবং পরিচয় যখন হুমকির মুখে পড়লো তখন জাতির পিতার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ রচিত হলো।
যে অসম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে আমাদের পূর্বসুরীরা দেশ রচনা করেছিলেন, লাল-সবুজ পতাকার জন্ম হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই চেতনার মূলে আঘাত হানা হলো’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর রাষ্ট্রের পরিচয় বদলে দেয়া হলো। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা হলো, অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা তার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়েছেন।
গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে দেশ পরিচালনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের যে পরিচয় নষ্ট করা হয়েছিল সেটি আবার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ বাকী। এখন বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে।
ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি কমিশনার মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন ও ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী।