বাংলাদেশ ১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে- নির্বাচন কমিশনার ২৪ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলা কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন চসিক ভ্রাম্যমান আদালত চলতি বছরেই পঁচিশ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরী নিশ্চিত করতে হবে — জেলা প্রশাসক নলছিটিতে শেষ হলো মরহুম আঃ সোবাহান চেয়ারম্যান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। নওগাঁর হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া রুগী  ভান্ডারিয়ায় প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা  ব্রাহ্মণপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্রের মাঝে ঘর উপহার  ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লায় সিএনজি ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে! বাগেরহাটে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি তালতলীতে এবার ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছে দুই শিক্ষিকা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • ১৬৭৯ বার পড়া হয়েছে

স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছে দুই শিক্ষিকা

রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ।
ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষন রওশন আরা বেগম ও কম্পিউটার শিক্ষিক মেরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষক রওশন আরা বেগম ও মেরিনা আক্তার প্রধান শিক্ষকের কাছের মানুষ হওয়ায় ক্লাশ না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছে। চলতি শিক্ষা বছরে সর্বমোট এক মাসও ক্লাশ করেননি অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। মাসে চার দিনের বেশি তারা কখনো বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না বলে একাধিক অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান। এতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীরা জানান, মেরিনা ম্যাম ঠিক মতো ক্লাসে আসে না। এর জন্য তার ক্লাসের পড়ায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। সে যদি ভালো ভাবে স্কুলে আমাদেরকে ক্লাস করাতো তা হলে আমাদের এ সমস্যা হতো না।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রওশনারা বেগম জানান, আমি মানিকগঞ্জে থাকি। মানিকগঞ্জ থেকে ঝিটকা এসে ক্লাস করাতে হয়। কয়েকদিন অসুস্থ ছিলাম তাই এক টানা চারদিন স্কুলে আসতে পারিনি। তবে আমি নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মধ্যে আসতে পারিনা। তার মানে এই নয় যে আমি স্কুল না করেই নিয়মিত বেতন–ভাতা  উত্তোলন করি।
টানা ৪ দিন স্কুলে আসেননি, ছুটি নিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গনমাধ্যমকে জানান, স্যারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌখিক ছুটি নিয়েছি। তবে অভিযুক্ত অপর শিক্ষক মেরিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো.মনোয়ার উদ্দিন অভিযুক্ত শিক্ষিকা রওশন আরার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, আসলে মেরিনা মানিকগঞ্জ থাকেন। স্কুল থেকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের দুরত্ব বেশী হওয়ায় সে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারে না।
অসুস্থতার কারণে ৪ দিন লিখিত আবেদনের মাধ্যমে ছুটি নিয়েছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি জানান, অসুস্থ রওশন থাকায় আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়েছিল তবে লিখিত ভাবে কোন আবেদন করেনি।
ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আল্ মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রওশন আরা এবং মেরিনার স্কুল ফাঁকির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সে যদি নিয়মিত স্কুলে না আসে এটা তার অপরাধ। ম্যানেজিং কমিটি তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিগার সুলতানা চৌধুরী জানান, আপনার মাধ্যমে বিষয় জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে — ভান্ডারিয়ায় মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম

স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছে দুই শিক্ষিকা

আপডেট সময় ০৮:৪১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ।
ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষন রওশন আরা বেগম ও কম্পিউটার শিক্ষিক মেরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষক রওশন আরা বেগম ও মেরিনা আক্তার প্রধান শিক্ষকের কাছের মানুষ হওয়ায় ক্লাশ না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছে। চলতি শিক্ষা বছরে সর্বমোট এক মাসও ক্লাশ করেননি অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। মাসে চার দিনের বেশি তারা কখনো বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না বলে একাধিক অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান। এতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীরা জানান, মেরিনা ম্যাম ঠিক মতো ক্লাসে আসে না। এর জন্য তার ক্লাসের পড়ায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। সে যদি ভালো ভাবে স্কুলে আমাদেরকে ক্লাস করাতো তা হলে আমাদের এ সমস্যা হতো না।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রওশনারা বেগম জানান, আমি মানিকগঞ্জে থাকি। মানিকগঞ্জ থেকে ঝিটকা এসে ক্লাস করাতে হয়। কয়েকদিন অসুস্থ ছিলাম তাই এক টানা চারদিন স্কুলে আসতে পারিনি। তবে আমি নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু মাঝে মধ্যে আসতে পারিনা। তার মানে এই নয় যে আমি স্কুল না করেই নিয়মিত বেতন–ভাতা  উত্তোলন করি।
টানা ৪ দিন স্কুলে আসেননি, ছুটি নিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গনমাধ্যমকে জানান, স্যারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌখিক ছুটি নিয়েছি। তবে অভিযুক্ত অপর শিক্ষক মেরিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো.মনোয়ার উদ্দিন অভিযুক্ত শিক্ষিকা রওশন আরার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, আসলে মেরিনা মানিকগঞ্জ থাকেন। স্কুল থেকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের দুরত্ব বেশী হওয়ায় সে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারে না।
অসুস্থতার কারণে ৪ দিন লিখিত আবেদনের মাধ্যমে ছুটি নিয়েছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি জানান, অসুস্থ রওশন থাকায় আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়েছিল তবে লিখিত ভাবে কোন আবেদন করেনি।
ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আল্ মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রওশন আরা এবং মেরিনার স্কুল ফাঁকির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সে যদি নিয়মিত স্কুলে না আসে এটা তার অপরাধ। ম্যানেজিং কমিটি তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিগার সুলতানা চৌধুরী জানান, আপনার মাধ্যমে বিষয় জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।