বাংলাদেশ ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই।  সলঙ্গায় জামাল মাস্টারের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত 

জিলহজ্বের মর্যাদাপূর্ণ আ’মল সমূহ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • ১৬৮০ বার পড়া হয়েছে

জিলহজ্বের মর্যাদাপূর্ণ আ'মল সমূহ

জিলহজ্বের মর্যাদাপূর্ণ আ’মল সমূহ
 এক:
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ ওঠার আগেই চুল,মোচ কাঁটা এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পশম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। তেমনি ভাবে হাত পায়ের নখ কাটা। অতঃপর কোরবানির দিন কোরবানি আদায় করার পর তা পরিষ্কার করা। মধ্যবর্তী সময়ে এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। প্রিয় নবী (সাঃ) একটি হাদীসে ইরশাদ করেছেন-
عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : ” مَنْ رَأَى هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ، وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ “.
হযরত উম্মে সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন; যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইরাদা করে, সে যেন যিলহাজ্জের নতুন চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে।
তিরমিযি -১৫২৩; আবু দাউদ -২৭৯১।
দুই:
নফল ইবাদতে অধিক যত্নবান হওয়া;
তা যেকোনো নফল হতে পারে। সালাত, সাওম, তসবি-তাহলীল ইত্যাদি।
একটি হাদিসে প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَمَلِ فِي هَذِهِ ‏”‏‏.‏ قَالُوا وَلاَ الْجِهَادُ قَالَ ‏”‏ وَلاَ الْجِهَادُ، إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَىْءٍ ‏”‏‏.‏
ইবনে ‘আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাঃ) বলেছেন; যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের ‘আমল উত্তম নয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও (উত্তম) নয়? নবী (সাঃ) বললেন; জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (সহিহ বুখারী, হা, ৯৬৯)।
বিশেষ করে এই দশকের প্রতিটি রজনিকে নফল ইবাদাত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করা।কেননা হাদিস শরিফে এ রাত্রিগুলোর প্রতি রাতের ইবাদাত কে লায়লাতুল ক্বদরের ইবাদাতের সমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে-
وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ(رواه الترمذى وابن ماجة)
ইবনে মাজাহ- ১৭২৮, তিরমিজি -৭৫৮
তিন:
জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা; জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকে যে সকল নফল ইবাদতের কথা এসেছে, তন্মধ্যে রোজা অন্যতম। হাদিসে এসেছে-
عَنْ هُنَيْدَةَ بْنِ خَالِدٍ الْخُزَاعِيِّ ، عَنْ حَفْصَةَ ، قَالَتْ : أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَالرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ.
নবী কারীম (সাঃ) আশুরার রোযা,যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা,প্রত্যেক চন্দ্র মাসের তিন(১৩,১৪,১৫ তারিখের) রোযা এবং ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত কখনো ছাড়তেন না। (মুসনাদে আহমদ হা,২৬৪৫৯;)
অন্য হাদিসে এ দিনগুলোর প্রত্যেক দিনের রোজাকে এক এক বছর রোজা রাখার সমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা,) এরশাদ করেছেন-
“يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، (رواه الترمذى)
ইবনে মাজাহ- ১৭২৮, তিরমিজি -৭৫৮
চার:
অধিক পরিমাণে তাসবীহ তাহলীল পড়া।
প্রিয়নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন;
عَنْ مُجَاهِدٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ” مَا مِنْ أَيَّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ، وَلَا أَحَبُّ إِلَيْهِ الْعَمَلُ فِيهِنَّ، مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنَّ مِنَ التَّهْلِيلِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّحْمِيدِ “.
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,নবী কারিম (সা,)এরশাদ করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কোন দিনের নেক আমলই এ দশদিনের নেক আমল চেয়ে অধিক প্রিয় ও গুরুত্ব পূর্ণ নয়। সুতরাং তোমরা বেশি বেশি তাকবীর, তাহমীদ, ও তাহলীল পাঠ কর।
(মুসনাদে আহমদ হাদিস- ৬১৫৪;
মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা – ১৩৯১৭)।
পাঁচ:
৯,ই জিলহজ্ব তথা আরাফার দিন রোজা রাখা; হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدِ اسْتَحَبَّ أَهْلُ الْعِلْمِ صِيَامَ يَوْمِ عَرَفَةَ إِلاَّ بِعَرَفَةَ ‏.‏
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট আরাফাতের দিনের রোযা সম্পর্কে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
 ইবনু মা-জাহ -১৭৩০, মুসলিম- ২৬৩৭, আবু দাউদ – ২৪২৫, তিরমিজি- ৭৪৯, আহমদ- ২২০২৪
নোটঃ
আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবূ কাতাদা (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আরাফাতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ছাড়া অন্যদের জন্য এই দিনে রোযা পালন করাকে বিশেষজ্ঞ আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন।
ছয়:
আরাফার দিন তথা ৯,ই জিলহজ্ব অধিক পরিমাণে দোয়া করা;
নবী করিম (সা,) এরশাদ করেন-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ”الخ
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন; আরাফার দিনের দু’আই সর্বোত্তম দু’আ। তিরমিজি- ৩৫৮৫
সাত:
৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর  তাকবীরে তাশরীক পড়া ।
তাকবীরে তাশরীক-
اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ وَلِله الحَمْد
পুরুষগণ উচ্চস্বরে এবং মহিলাগণ অনুচ্চস্বরে পড়বে।
আট:
১০ তারিখে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ওয়াজিব/ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বিধান “কুরবানী” সম্পাদন করা। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তান কুরবানীর দিন যত নেক আমল করে তম্মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে(পশু কুরবানীর মাধ্যমে) রক্ত প্রবাহিত করা। কুরবানীর পশু, কিয়ামতের দিন তার শিং,খূর এবং পশম সহকারে উঠবে। কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়।
অতঃএব হে আল্লাহর বান্দাগন! তোমরা স্বতঃস্ফূর্ত হৃদয়ে কুরবানি কর। (তিরমিজি’ ইবনে মাজাহ)।
আল্লাহ বলেন- فصل لربك وانحر (সুরা কাউছার)
হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا ‏”‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্তেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে।
সুনানে ইবনে মাজাহ-৩১২৩
আহমাদ ৮০৭৪, তাখরিজুল মুশকিলাতুল ফিকর ১০২, আত-তালীকুর রাগীব ২/১০৩।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল্লাহ বিন আয়্যাশ সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু সাঈদ বিন ইউনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমালী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭২, ১৫/৪১০ নং পৃষ্ঠা)
নয়:
১০ ই জিলহজ্ব, নিম্নে বর্ণিত ঈদুল আযহার সুন্নাত গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা।
(ক,)প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠা। (বায়হাকী হা৬১২৬)।
(খ,)মিসওয়াক করা। (তাবয়ীনুল হাকা;১-৫৩৮)।
(গ,)গোসল করা। (ইবনে মাজাহ, হা:১৩১৫)।
(ঘ,)সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোষাক পরিধান করা। (বুখারী, হা,৯৪৮)।
(ঙ,)সুগন্ধি ব্যবহার করা।(মুস্তাদরাকে হাকেম, হা,৭৫৬০)।
(চ,) কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাজের পর নিজের কুরবানীর গোশত থেকে আহার করা। (বুখারী,হা:৯৫৩)।
(ছ,) আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ,হা:১১৫৭)।
(জ)পায়ে হেটে যাওয়া। (আবু দাউদ,হা:১১৪৩)।
(ঝ,) ঈদগাহে যাবার সময় স্বআওয়াজে তাকবীরে তাশরীক পড়া। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হা:১১০৫)।
(ঞ,) সম্ভব হলে ফিরার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরা। (বুখারী, হা: ৯৮৬)।
দশ:
১০ ই জিলহজ্ব (ঈদুল আজহার দিন) সহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোতে (১১,১২,১৩, তারিখ)কোনো ধরনের রোযা না রাখা।
হাদিসে এসেছে-
أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرٍ لِلَّهِ
“আইয়্যামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন”। সহীহুল জামে হা/২৬৮৯।
রাসূল (সা:) আরও বলেন-
لا تَصُومُوا هَذِهِ الأَيَّامَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
“তোমরা এই দিনগুলোতে রোযা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন। মুসনাদে আহমাদ-১০৬৬৪
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে উক্ত দিনগুলোর গুরুত্বানুধাবন করে, উপর্যুক্ত আমলগুলো পালন করার তৌফিক দান করুন। এবং আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ্ থেকে হেফাজত করুন, আমীন।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জিলহজ্বের মর্যাদাপূর্ণ আ’মল সমূহ

আপডেট সময় ০৬:১৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
জিলহজ্বের মর্যাদাপূর্ণ আ’মল সমূহ
 এক:
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ ওঠার আগেই চুল,মোচ কাঁটা এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পশম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। তেমনি ভাবে হাত পায়ের নখ কাটা। অতঃপর কোরবানির দিন কোরবানি আদায় করার পর তা পরিষ্কার করা। মধ্যবর্তী সময়ে এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। প্রিয় নবী (সাঃ) একটি হাদীসে ইরশাদ করেছেন-
عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : ” مَنْ رَأَى هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ، وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ “.
হযরত উম্মে সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন; যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইরাদা করে, সে যেন যিলহাজ্জের নতুন চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে।
তিরমিযি -১৫২৩; আবু দাউদ -২৭৯১।
দুই:
নফল ইবাদতে অধিক যত্নবান হওয়া;
তা যেকোনো নফল হতে পারে। সালাত, সাওম, তসবি-তাহলীল ইত্যাদি।
একটি হাদিসে প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَمَلِ فِي هَذِهِ ‏”‏‏.‏ قَالُوا وَلاَ الْجِهَادُ قَالَ ‏”‏ وَلاَ الْجِهَادُ، إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَىْءٍ ‏”‏‏.‏
ইবনে ‘আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাঃ) বলেছেন; যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের ‘আমল উত্তম নয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও (উত্তম) নয়? নবী (সাঃ) বললেন; জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (সহিহ বুখারী, হা, ৯৬৯)।
বিশেষ করে এই দশকের প্রতিটি রজনিকে নফল ইবাদাত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করা।কেননা হাদিস শরিফে এ রাত্রিগুলোর প্রতি রাতের ইবাদাত কে লায়লাতুল ক্বদরের ইবাদাতের সমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে-
وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ(رواه الترمذى وابن ماجة)
ইবনে মাজাহ- ১৭২৮, তিরমিজি -৭৫৮
তিন:
জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা; জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকে যে সকল নফল ইবাদতের কথা এসেছে, তন্মধ্যে রোজা অন্যতম। হাদিসে এসেছে-
عَنْ هُنَيْدَةَ بْنِ خَالِدٍ الْخُزَاعِيِّ ، عَنْ حَفْصَةَ ، قَالَتْ : أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَالرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ.
নবী কারীম (সাঃ) আশুরার রোযা,যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা,প্রত্যেক চন্দ্র মাসের তিন(১৩,১৪,১৫ তারিখের) রোযা এবং ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত কখনো ছাড়তেন না। (মুসনাদে আহমদ হা,২৬৪৫৯;)
অন্য হাদিসে এ দিনগুলোর প্রত্যেক দিনের রোজাকে এক এক বছর রোজা রাখার সমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা,) এরশাদ করেছেন-
“يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، (رواه الترمذى)
ইবনে মাজাহ- ১৭২৮, তিরমিজি -৭৫৮
চার:
অধিক পরিমাণে তাসবীহ তাহলীল পড়া।
প্রিয়নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন;
عَنْ مُجَاهِدٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ” مَا مِنْ أَيَّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ، وَلَا أَحَبُّ إِلَيْهِ الْعَمَلُ فِيهِنَّ، مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنَّ مِنَ التَّهْلِيلِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّحْمِيدِ “.
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,নবী কারিম (সা,)এরশাদ করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কোন দিনের নেক আমলই এ দশদিনের নেক আমল চেয়ে অধিক প্রিয় ও গুরুত্ব পূর্ণ নয়। সুতরাং তোমরা বেশি বেশি তাকবীর, তাহমীদ, ও তাহলীল পাঠ কর।
(মুসনাদে আহমদ হাদিস- ৬১৫৪;
মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা – ১৩৯১৭)।
পাঁচ:
৯,ই জিলহজ্ব তথা আরাফার দিন রোজা রাখা; হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدِ اسْتَحَبَّ أَهْلُ الْعِلْمِ صِيَامَ يَوْمِ عَرَفَةَ إِلاَّ بِعَرَفَةَ ‏.‏
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট আরাফাতের দিনের রোযা সম্পর্কে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
 ইবনু মা-জাহ -১৭৩০, মুসলিম- ২৬৩৭, আবু দাউদ – ২৪২৫, তিরমিজি- ৭৪৯, আহমদ- ২২০২৪
নোটঃ
আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবূ কাতাদা (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আরাফাতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ছাড়া অন্যদের জন্য এই দিনে রোযা পালন করাকে বিশেষজ্ঞ আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন।
ছয়:
আরাফার দিন তথা ৯,ই জিলহজ্ব অধিক পরিমাণে দোয়া করা;
নবী করিম (সা,) এরশাদ করেন-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ”الخ
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন; আরাফার দিনের দু’আই সর্বোত্তম দু’আ। তিরমিজি- ৩৫৮৫
সাত:
৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর  তাকবীরে তাশরীক পড়া ।
তাকবীরে তাশরীক-
اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ وَلِله الحَمْد
পুরুষগণ উচ্চস্বরে এবং মহিলাগণ অনুচ্চস্বরে পড়বে।
আট:
১০ তারিখে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ওয়াজিব/ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বিধান “কুরবানী” সম্পাদন করা। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তান কুরবানীর দিন যত নেক আমল করে তম্মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে(পশু কুরবানীর মাধ্যমে) রক্ত প্রবাহিত করা। কুরবানীর পশু, কিয়ামতের দিন তার শিং,খূর এবং পশম সহকারে উঠবে। কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়।
অতঃএব হে আল্লাহর বান্দাগন! তোমরা স্বতঃস্ফূর্ত হৃদয়ে কুরবানি কর। (তিরমিজি’ ইবনে মাজাহ)।
আল্লাহ বলেন- فصل لربك وانحر (সুরা কাউছার)
হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا ‏”‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্তেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে।
সুনানে ইবনে মাজাহ-৩১২৩
আহমাদ ৮০৭৪, তাখরিজুল মুশকিলাতুল ফিকর ১০২, আত-তালীকুর রাগীব ২/১০৩।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল্লাহ বিন আয়্যাশ সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু সাঈদ বিন ইউনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমালী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭২, ১৫/৪১০ নং পৃষ্ঠা)
নয়:
১০ ই জিলহজ্ব, নিম্নে বর্ণিত ঈদুল আযহার সুন্নাত গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা।
(ক,)প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠা। (বায়হাকী হা৬১২৬)।
(খ,)মিসওয়াক করা। (তাবয়ীনুল হাকা;১-৫৩৮)।
(গ,)গোসল করা। (ইবনে মাজাহ, হা:১৩১৫)।
(ঘ,)সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোষাক পরিধান করা। (বুখারী, হা,৯৪৮)।
(ঙ,)সুগন্ধি ব্যবহার করা।(মুস্তাদরাকে হাকেম, হা,৭৫৬০)।
(চ,) কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাজের পর নিজের কুরবানীর গোশত থেকে আহার করা। (বুখারী,হা:৯৫৩)।
(ছ,) আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ,হা:১১৫৭)।
(জ)পায়ে হেটে যাওয়া। (আবু দাউদ,হা:১১৪৩)।
(ঝ,) ঈদগাহে যাবার সময় স্বআওয়াজে তাকবীরে তাশরীক পড়া। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হা:১১০৫)।
(ঞ,) সম্ভব হলে ফিরার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরা। (বুখারী, হা: ৯৮৬)।
দশ:
১০ ই জিলহজ্ব (ঈদুল আজহার দিন) সহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোতে (১১,১২,১৩, তারিখ)কোনো ধরনের রোযা না রাখা।
হাদিসে এসেছে-
أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرٍ لِلَّهِ
“আইয়্যামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন”। সহীহুল জামে হা/২৬৮৯।
রাসূল (সা:) আরও বলেন-
لا تَصُومُوا هَذِهِ الأَيَّامَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
“তোমরা এই দিনগুলোতে রোযা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন। মুসনাদে আহমাদ-১০৬৬৪
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে উক্ত দিনগুলোর গুরুত্বানুধাবন করে, উপর্যুক্ত আমলগুলো পালন করার তৌফিক দান করুন। এবং আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ্ থেকে হেফাজত করুন, আমীন।