ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
দশ মাস পর দূর্ঘটনায় নিহত এক বৃদ্ধার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে
পুলিশ। সোমবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল
(মধ্যপাড়া) গ্রামের ঈদগাহ কবরস্থান থেকে গলিত মরদেহের হাড় উত্তোলন করে।
পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মরদেহটি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল (মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত আবু জাহেরের স্ত্রী আছিয়া বেগমের (৫০)। তিনি গত বছরের ২৪ আগস্ট ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে খালে পরে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন।
নিহতের ছোট ভাই কামাল হোসেনের স্ত্রী জাসমিন আক্তার বাদী হয়ে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল কুমিল্লায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে মরদেহ তোলে পুলিশ। মরদেহ তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল হুদা।
এ ছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, সৌরভ হোসেন, নূর আমজাদ ও দেবিদ্বার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. দুলাল আহাম্মেদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম আহাম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত বছরের ২৪ আগস্ট দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া সদরের কল্পবাস এলাকায় পীরের দরবার শরীফে আসার পথে বড়ধুশিয়া এলাকায় তাদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি উল্টে খালের পানিতে ডুবে যায়।
এ সময় অটোরিকশার যাত্রী দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল (মধ্যপাড়া) গ্রামের আছিয়া বেগম নিহত হন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা নারী ও শিশুসহ আরও পাঁচজন আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, আছিয়া বেগমসহ অন্যরা ঘটনার দিনদুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামের এক পীরের দরবার শরীফে রওনা করেন।
তারা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি পীরের দরবারে যাওয়ার পথে
কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়
গর্তে পড়ে উল্টে গিয়ে পাশের খালের পানিতে ডুবে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে আহতদের উদ্ধার করেন। আছিয়া বেগম অটোরিকশাটির নিচে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। তাকেসহ অন্যদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সে নিয়ে যাওয়া হলে আছিয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে নিহতের ছোট ভাই কামাল হোসেনের স্ত্রী জাসমিন আক্তার বাদী হয়ে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল কুমিল্লায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশ সোমবার দুপুরে আছিয়া বেগমের গলিত মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।