শেখ সোহেল, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
পদ্মাসেতু শুধু একটি সেতু নয়। এটি বাঙ্গালী জাতির স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে যেমন গতি আসবে, জীবনযাত্রার মানেরও পরিবর্তণ হবে অনেক মানুষের।
তবে এই সেতুর শতভাগ সুফল পেতে কৃষি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন। কৃষি ও পরিবেশ বান্ধব সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোন ভাইবে পদ্মাসেতুর পূর্নাঙ্গ সুফল মিলবে না।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “বাজেট পর্যালোচনা, পদ্মাসেতুর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বক্তারা একথা বলেন।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন বাগেরহাট জেলা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার, সিপিবি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফররুখ হাসান জুয়েল, ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আহসানুল করিম, বাগেরহাট পিসি কলেজের সাবেক ভিপি আজমল হোসেন, সাংবাদিক ইয়ামিন আলী, বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মোল্লা, নারীনেত্রী এ্যাড. লুনা সিদ্দিকী, রূপান্তরের আলমগীর হোসেন মিরু, দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট’র মো. হাফিজুর রহমান, বাজেটকর্মী-নদীকর্মী হাছিব সরদার, ইয়ুথ লিডার সাইদ খান প্রমূখ।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের ঝুকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলার মধ্যে বাগেরহাট অন্যতম। জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশগত উন্নয়নের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
উপকূলীয় জনগণের সু-রক্ষায় দূর্যোগ সহনশীল পরিবেশ বান্ধব-জনবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে। উপকূলের ছিন্নমূল মানুষের জন্য সূপেয় খাবার পানি সরবরাহ, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মান, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনশীল গৃহ প্রদান করতে হবে।
বনজীবি-মৎস্যজীবি, জেলে-বাওয়ালী -মৌয়ালীদের জীবিকা রক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা দিতে হবে। পদ্মা সেতুর সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিপণ্য সরবরাহ ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে এর সুফল খোদ কৃষকের কাছে পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এর পাশাপাশি উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন এবং জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।