রুহুল আমিন, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধীর ভৌমিক মধু বাবুর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী বন্যার কারণে পারিবারিকভাবে একান্তে নির্ভৃত্বে পালিত হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার (২৬ জুন) বেলা ১১টায় পারিবারিকভাবে উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের শামুকজানি গ্রামে নিজ বাড়িতেই ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রবীন রাজনীতিবিদ মধু বাবুর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী।
স্বর্গীয় গয়া নাথ ভৌমিক এবং স্বর্গীয় সুরবালা ভৌমিক দম্পতির ছেলে অধীর ভৌমিক মধু ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম দিকে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে কাজ করলে কমরেড উপাধি পান মধু বাবু। তারপর উপজেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতির হাল ধরেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি এডভোকেট ভুপেন্ড্র ভৌমিক দুলন বলেন, তাড়াইলের রাজনীতিতে মধু বাবুর অবদান অনস্বীকার্য। মধু বাবুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের রাজনীতির অঙ্গনে বিচরন করে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, তাড়াইল উপজেলা থেকে শুরু করে রাজনীতির প্রতিটি পর্যায়েই মধু বাবুর উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসনের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে সদালোপী মধুবাবু সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন। তিনি আরো বলেন, এই সদালাপী ব্যাক্তিটিকে হারিয়ে আমরা অভিভাবক শূন্য হয়ে গেলাম। মধু বাবু আমাদের মাঝে আজীবন মধু দা হিসেবেই বেঁচে থাকবেন। মধু বাবুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, সোনার বাংলা বাস্তবায়নে মধু বাবুর মতো রাজনীতিবিদদের খুব প্রয়োজন।
মধু বাবুর তৃতীয় ছেলে সুজন ভৌমিক জানান, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি এডভোকেট ভুপেন্ড্র ভৌমিক দোলন মুঠোফোনে খোঁজ খবর নিয়েছেন। প্রয়াত মধুবাবুর স্মরণে শোকসভা করার ইচ্ছে থাকলেও বন্যার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
তিনি আরও জানান, বাবা সারাটা জীবন মানুষের কল্যানে রাজনীতি করেছেন। বিনিময়ে নিজে কিছুই চাননি। তার একটা জলন্ত উদাহরণ নিজ বাড়ীর ৩০শতাংশ জমি বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে তৎকালীন সময়ে তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজের জন্য ৬শতাংশ জমি ক্রয় করে দান করেন।
উল্লেখ্য, অধীর ভৌমিক মধু ১৯৪১সনের ৩১জানুয়ারি জন্মগ্রহন করে প্রায় ৮০ বছর বয়সে ২০২০ সালের ২৬ জুন বার্ধক্যজনিত কারনে নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন।