স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশী-বিদেশী কুটনৈতিক ষড়যন্ত্র, বিরোধী রাজনৈতিক দলের তাচ্ছিল্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ একটি বিশেষ মহলের দ্বিচারিতা উপেক্ষা করে তৈরি হয়েছে কয়েক দশকের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
তৈরীকৃত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনীর দিন ধার্যকরা হয় আজ (২৫ জুন) শনিবার সকাল এগারোটা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এই মহেন্দ্রক্ষণে সারাদেশের ন্যায় সাক্ষী হলেন যশোরের সর্বস্তরের মানুষ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টাউন হল ময়দানে বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার আয়োজন করা হয়।এখানে নেতৃত্বদান করেন জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান।উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার নারী-পুরুষরা অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টাউন হল ময়দানে আসতে শুরু করে তারা। দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধারণ করে তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে আগতরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তারা গর্বিত ও আবেগাপ্লুত। নয় মাস যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন যতটা আনন্দদায়ক ছিল আজকের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সেই আনন্দ বইয়ে দিয়েছে সকলের মাঝে। সেইসাথে এ সেতু যশোর অঞ্চলের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, যোগাযোগ, কৃষি, শিল্প, কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়ে জীবনযাত্রার মানের বিপ্লব ঘটবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানে আগতরা।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বেলা ৩টায় পুলিশের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। উক্ত শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কারেক্টরেট ভবনে স্ট্রাক্চারাল লাইটিং উদ্বোধনীও আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।