ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী  ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ০৩ আসামীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ রামগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে যুবক কারাগারে  ইন্দুরকানীতে বিদ্যুৎ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রর মৃত্যু শাহাজাদী বেগমের হত্যা মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, প্রশাসন নিরব!  খানসামায় প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি গঠনে নানান অভিযোগ রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় ৬৫ দিনের অবরোধে ২৩৯৩ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ উলিপুরে ফুল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবীবে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মসলা দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রতিকৃতি সরিয়ে মেয়রের রক্ষা!  পাথরঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ। নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গ্রেফতার

স্যালুট তারুণ্য, সামাজিক নেতৃত্ব, হৃদয়ে স্বদেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত খাসিয়া জনগোষ্ঠী 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • ১৭২৪ বার পড়া হয়েছে

স্যালুট তারুণ্য, সামাজিক নেতৃত্ব, হৃদয়ে স্বদেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত খাসিয়া জনগোষ্ঠী 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

সাইফুর রহমান কায়েস
তারুণ্যই ভরসা। আগামীর বাংলাদেশকে বদলে দিতে তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে। আমাদের চীর্ণ বিশ্বাসের জায়গাতে তারা আশার সঞ্চার করেছেন। প্রথাগত নেতৃত্ব এর ফলে নিশ্চিতভাবে বিলুপ্তির পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংগঠনের ব্যর্থতার বিপরীতে ব্যক্তিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বের বিকাশ সমাজে ইতিবাচক, সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
জনগণের আস্থা হারানোর ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সলিল সমাধি ঘটে গেছে। জাতীয় দুর্যোগের  এই  করুণ সময়ে  গন অধিকার পরিষদ ছাড়া আম, জাম, বাম, ডান,  চেতনা ব্যবসায়ী, তুরিন-মানিক কাউকেই আমরা পাশে পাই নি।
আর যে সমস্ত ধর্মীয় নেতাদেরকে ধর্মব্যবসায়ী এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বাইশ শত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন করে অভিযুক্ত করেছিলেন তারা জাতীয় দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণের জন্য দিনরাত নিরলসভাবে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছেন। বাইশ শত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জাতির কি উপকারে এসেছে? এই কাণ্ডে প্রাপ্ত অর্থের যোগান কে দিলো? তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।
কিছু মানুষের চরিত্র হননের মতো ন্যাক্কারজনক কাজের সমাহার ছাড়া, দেশের ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টির নির্লজ্জ অভিলাষ ছাড়া আর কি হতে পারে?। এই মহাযজ্ঞের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি মানিক একজন স্যাডিস্ট হিসাবে কুখ্যাত, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তার বহুগামিতা এনং নিজের মাকে বাড়িছাড়া অভিযোগে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মানিক-তুরিন আজ জাতির ক্রান্তিকালে আত্মগোপনে চলে গেছেন।  আমরা এই সমস্ত সুবিধাবাদী চরিত্রকে প্রত্যাখ্যান করতে চাই।
এর বদলে ইউটিউবার তৌহিদ উদ্দিন আফ্রিদি,  তাশরিফ খান, ফারাজ করিম, সাদেক আব্দুল্লাহ, নায়ক অনন্ত জলিল, নায়ক ডিপজল, মাওলানা আহমদুল্লাহ, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী  এবং আমাদের স্নেহভাজন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জাতির ক্রান্তিকালে পাশে পেয়ে আশার আলো দেখতে শিখি। এর বাইরেও অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ঝাপিয়ে পড়তে দেখে একাত্তুরের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যেনো বা আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের অগ্রভাগে রয়েছেন এরা।
জাতি তাদের হৃত যৌবন ফিরে পেয়েছে এদের মাধ্যমে। নাম না জানা আরো অনেক তরুণ নিরবে দেশের জন্য এই দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক শিশুকিশোর, শ্রমজীবি, পেশাজীবি এবং প্রবাসী ভাইবোনেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়ে মহানুভবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে আছেন। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতির শিখরে থাকা ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা দুর্গতদের জন্য পাচ কোটি ষোল লাখ টাকার ত্রাণ সহায়তার বিষয়টি ভূয়সী প্রশংসার দাবী রাখে।
তাছাড়া খ্যাতিমান কবি ও কথাশিল্পী শামীম আজাদের সহযোগীতার আহবান বেশ সাড়া জাগিয়েছে। খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও লেখক ডক্টর সেলিম জাহানের মর্মস্পর্শী আহবান আমাদের মনে আশার সঞ্চার করেছে। দেশে বিদেশে থাকা সকল বাংলাদেশিরা যে হৃদয়ে স্বদেশকে লালন করেন তাই জাতীয় দুর্যোগে আরেকবার প্রমাণিত হলো। তাদের প্রতিও আমাদের অতল শ্রদ্ধা।
আমাদের সোনার বাংলায় এইসব সোনার মানুষেরাই প্রকৃত বীরের মর্যাদায় আসীন হবার যোগ্য। সরকারের হীনমন্যতার বিপরীতে এদের উদারতা এবং সাহসিকতাকে আমরা স্যালুট জানাই।
ত্রাণ কার্যক্রমের মধ্যে একটি সুপরিকল্পিত সমণ্বয় থাকা চাই। এতে করে সকল দুর্গত মানুষের দ্বারে সহায়তা পৌছুতে না পারলেও বেশিরভাগের কাছে পৌছানো সম্ভব এবং দ্বৈততার অবসান হবে।
বন্যা ও বন্যা পরবর্তী সময়ে উপদ্রুত মানুষ এবং গবাদিপশুর মাঝে নানাধরণের রোগ ছড়াতে পারে। তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতালের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে উপদ্রুত এলাকায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন এবং ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল তরীর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি পানীয়, পোষাক এবং আশ্রয়ণ সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বন্যায় গৃহহীন হয়ে যাওয়া আট লাখ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এখনি পরিকল্পনা করতে হবে যাতে বন্যার পরেই তাদের ঘর তৈরীর কাজ সুচারুভাবে করা যায়। আমরা চাই তাদের বাস্তুচ্যুতি ঠেকাতে। তাই বন্যার পরে এসব মানুষের শহরমুখী হতে নিরুৎসাহিত করতে স্থানীয়ভাবে তাদের প্রথাগত পেশায় যাতে নিয়োজিত থাকতে পারেন সেজন্য তাদেরকে এককালীন নগদ অর্থ ঋণ নয়, অনুদান হিসেবে দিতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করতে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে।
সিলেটের বন্যায় আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির এবং অস্তিত্বের সংকটে পড়ে গেছেন আমাদের পাহাড়্গুলোতে বসবাসরত আদিবাসী খাসিয়া জনগোষ্ঠী। তারা জুমে খাসিয়া পান চাষ করে থাকেন। তাদের এই পান সিলেট অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। এই পানচাষীরা তাদের জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিচালনা করেন উৎপাদিত পান বিক্রিলব্ধ অর্থ থেকে। সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ অঞ্চলে তাদের পানের চাহিদা বেশি।
কিন্তু আকষ্মিকভাবে বন্যা এসে পড়াতে তাদের কপালে উলুসনা লেগেছে। তাদের এখন মাথায় হাত। চোখের সামনে জুমের পান পচে যাচ্ছে। পাইকার আসছেন না। তাদের দৈনিক ক্ষতি বিশ থেকে ত্রিশ  কোটি টাকা। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে নির্ভরশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বিভিন্ন  আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করে থাকেন। তাই বন্যা শুধু যে  হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জের মানুষেরই মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে তাই নয়, এই আদিবাসী খাসিয়া জনগোষ্ঠীরও মাইঞ্জার ভেঙ্গে দিয়ে গেছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের

স্যালুট তারুণ্য, সামাজিক নেতৃত্ব, হৃদয়ে স্বদেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত খাসিয়া জনগোষ্ঠী 

আপডেট সময় ১২:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
সাইফুর রহমান কায়েস
তারুণ্যই ভরসা। আগামীর বাংলাদেশকে বদলে দিতে তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে। আমাদের চীর্ণ বিশ্বাসের জায়গাতে তারা আশার সঞ্চার করেছেন। প্রথাগত নেতৃত্ব এর ফলে নিশ্চিতভাবে বিলুপ্তির পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংগঠনের ব্যর্থতার বিপরীতে ব্যক্তিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বের বিকাশ সমাজে ইতিবাচক, সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
জনগণের আস্থা হারানোর ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সলিল সমাধি ঘটে গেছে। জাতীয় দুর্যোগের  এই  করুণ সময়ে  গন অধিকার পরিষদ ছাড়া আম, জাম, বাম, ডান,  চেতনা ব্যবসায়ী, তুরিন-মানিক কাউকেই আমরা পাশে পাই নি।
আর যে সমস্ত ধর্মীয় নেতাদেরকে ধর্মব্যবসায়ী এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বাইশ শত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন করে অভিযুক্ত করেছিলেন তারা জাতীয় দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণের জন্য দিনরাত নিরলসভাবে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছেন। বাইশ শত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জাতির কি উপকারে এসেছে? এই কাণ্ডে প্রাপ্ত অর্থের যোগান কে দিলো? তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।
কিছু মানুষের চরিত্র হননের মতো ন্যাক্কারজনক কাজের সমাহার ছাড়া, দেশের ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টির নির্লজ্জ অভিলাষ ছাড়া আর কি হতে পারে?। এই মহাযজ্ঞের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি মানিক একজন স্যাডিস্ট হিসাবে কুখ্যাত, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তার বহুগামিতা এনং নিজের মাকে বাড়িছাড়া অভিযোগে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মানিক-তুরিন আজ জাতির ক্রান্তিকালে আত্মগোপনে চলে গেছেন।  আমরা এই সমস্ত সুবিধাবাদী চরিত্রকে প্রত্যাখ্যান করতে চাই।
এর বদলে ইউটিউবার তৌহিদ উদ্দিন আফ্রিদি,  তাশরিফ খান, ফারাজ করিম, সাদেক আব্দুল্লাহ, নায়ক অনন্ত জলিল, নায়ক ডিপজল, মাওলানা আহমদুল্লাহ, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী  এবং আমাদের স্নেহভাজন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জাতির ক্রান্তিকালে পাশে পেয়ে আশার আলো দেখতে শিখি। এর বাইরেও অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ঝাপিয়ে পড়তে দেখে একাত্তুরের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যেনো বা আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের অগ্রভাগে রয়েছেন এরা।
জাতি তাদের হৃত যৌবন ফিরে পেয়েছে এদের মাধ্যমে। নাম না জানা আরো অনেক তরুণ নিরবে দেশের জন্য এই দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক শিশুকিশোর, শ্রমজীবি, পেশাজীবি এবং প্রবাসী ভাইবোনেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়ে মহানুভবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে আছেন। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতির শিখরে থাকা ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা দুর্গতদের জন্য পাচ কোটি ষোল লাখ টাকার ত্রাণ সহায়তার বিষয়টি ভূয়সী প্রশংসার দাবী রাখে।
তাছাড়া খ্যাতিমান কবি ও কথাশিল্পী শামীম আজাদের সহযোগীতার আহবান বেশ সাড়া জাগিয়েছে। খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও লেখক ডক্টর সেলিম জাহানের মর্মস্পর্শী আহবান আমাদের মনে আশার সঞ্চার করেছে। দেশে বিদেশে থাকা সকল বাংলাদেশিরা যে হৃদয়ে স্বদেশকে লালন করেন তাই জাতীয় দুর্যোগে আরেকবার প্রমাণিত হলো। তাদের প্রতিও আমাদের অতল শ্রদ্ধা।
আমাদের সোনার বাংলায় এইসব সোনার মানুষেরাই প্রকৃত বীরের মর্যাদায় আসীন হবার যোগ্য। সরকারের হীনমন্যতার বিপরীতে এদের উদারতা এবং সাহসিকতাকে আমরা স্যালুট জানাই।
ত্রাণ কার্যক্রমের মধ্যে একটি সুপরিকল্পিত সমণ্বয় থাকা চাই। এতে করে সকল দুর্গত মানুষের দ্বারে সহায়তা পৌছুতে না পারলেও বেশিরভাগের কাছে পৌছানো সম্ভব এবং দ্বৈততার অবসান হবে।
বন্যা ও বন্যা পরবর্তী সময়ে উপদ্রুত মানুষ এবং গবাদিপশুর মাঝে নানাধরণের রোগ ছড়াতে পারে। তাই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতালের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে উপদ্রুত এলাকায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন এবং ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল তরীর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি পানীয়, পোষাক এবং আশ্রয়ণ সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বন্যায় গৃহহীন হয়ে যাওয়া আট লাখ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এখনি পরিকল্পনা করতে হবে যাতে বন্যার পরেই তাদের ঘর তৈরীর কাজ সুচারুভাবে করা যায়। আমরা চাই তাদের বাস্তুচ্যুতি ঠেকাতে। তাই বন্যার পরে এসব মানুষের শহরমুখী হতে নিরুৎসাহিত করতে স্থানীয়ভাবে তাদের প্রথাগত পেশায় যাতে নিয়োজিত থাকতে পারেন সেজন্য তাদেরকে এককালীন নগদ অর্থ ঋণ নয়, অনুদান হিসেবে দিতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করতে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে।
সিলেটের বন্যায় আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির এবং অস্তিত্বের সংকটে পড়ে গেছেন আমাদের পাহাড়্গুলোতে বসবাসরত আদিবাসী খাসিয়া জনগোষ্ঠী। তারা জুমে খাসিয়া পান চাষ করে থাকেন। তাদের এই পান সিলেট অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। এই পানচাষীরা তাদের জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিচালনা করেন উৎপাদিত পান বিক্রিলব্ধ অর্থ থেকে। সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ অঞ্চলে তাদের পানের চাহিদা বেশি।
কিন্তু আকষ্মিকভাবে বন্যা এসে পড়াতে তাদের কপালে উলুসনা লেগেছে। তাদের এখন মাথায় হাত। চোখের সামনে জুমের পান পচে যাচ্ছে। পাইকার আসছেন না। তাদের দৈনিক ক্ষতি বিশ থেকে ত্রিশ  কোটি টাকা। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে নির্ভরশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বিভিন্ন  আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করে থাকেন। তাই বন্যা শুধু যে  হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জের মানুষেরই মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে তাই নয়, এই আদিবাসী খাসিয়া জনগোষ্ঠীরও মাইঞ্জার ভেঙ্গে দিয়ে গেছে।