ইউসুফ মুন্সী, ফেনী প্রতিনিধিঃ
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চলছে তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজীর লাঠিয়াল বাহিনীর শাসন। শতভাগ সেবামূলক একটি সরকারি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া, মেডিকেল ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের অভাব থাকলেও এমন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগের উদ্যোগ না নিয়ে রোগি ও রোগির স্বজনদের দমানোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ১৩ সদস্যের লাঠিয়াল বাহিনী।
বুধবার (২১ জুন) হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক রোগির স্বজনদেরকে টাকার জন্য আটকে রেখে পিটিয়ে জখম করেছে তত্ত্বাবধায়কের লাঠিয়াল বাহিনী। এতে হাসপাতালে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের বেডে ভর্তিকৃত এক রোগীকে দেখতে আসেন সুজা মিয়া ও তোফাজ্জল।
এসময় তাদেরকে টাকা ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে বাঁধা দেয় লাঠিয়াল বাহিনী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে লাঠিয়ালরা।
আহত সুজা মিয়া জানান, হাসপাতালে রোগী দেখতে কার্ড লাগে অথবা টাকা দিতে হয় এটি জানা ছিলনা। তিনি আরো বলেন, সেবার পরিবর্তে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রোগি ও স্বজনদের পিটানোর নজির দেশের কোন হাসপাতালে নেই।cএ বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবী করে তিনি। ফেনীর সংসদ নিজাম উদ্দীন হাজারী এমপি ও স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে তাদের মারধরের ছবি উঠানোয় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক যতন মজুমদারের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় লাঠিয়ালরা। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, একসঙ্গে ২-৩ জন প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, টাকা দাবির বিষয়টি সঠিক নয়। স্বজনদের পেটানোর ঘটনা তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।