ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী  ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ০৩ আসামীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ রামগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে যুবক কারাগারে  ইন্দুরকানীতে বিদ্যুৎ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রর মৃত্যু শাহাজাদী বেগমের হত্যা মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, প্রশাসন নিরব!  খানসামায় প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি গঠনে নানান অভিযোগ রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় ৬৫ দিনের অবরোধে ২৩৯৩ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ উলিপুরে ফুল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবীবে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মসলা দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রতিকৃতি সরিয়ে মেয়রের রক্ষা!  পাথরঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ। নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ে হারাতে বসেছে গ্রামীন ঔতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
  • ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে হারাতে বসেছে গ্রামীন ঔতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 
আব্দুল্লাহ আল সুমন স্টাফ রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত। তারা তৈরী করেন মাটির হাঁড়ি, পুতুল, কলসি, প্রদীপসহ রকমারি জিনিসপত্র। তবে সময়ের পরিবর্তনের কারণে বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বিলুপ্তির পথে এই শিল্প।
হারিয়ে যেতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্প। কালের বিবর্তনে ধাতব, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও চিনামাটির তৈরি সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই শিল্পে ধস নেমেছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের কিছু মানুষ এখনও এই পেশায় যুক্ত থাকলেও অনেকই পেশা বদলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করলে মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
মৃৎশিল্পিরা বলছেন, বর্তমান বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাটির তৈরী জিনিসপত্রের কদর কমে গেছে। ফলে জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঐতিহ্যের টানে এখনও এই শিল্পে জড়িত রয়েছেন বলে জানালেন মৃৎশিল্পীরা।
মৃৎশিল্প কারিগর গপাল পাল জানান, এগুলো আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে করতেছি। যার জন্য এগুলো ছাড়াও যায় না। আবার করলেও হয় না, মহা বিপদ। বাজারে তো কদরই নাই বললেই চলে। বিপদের মুখে পড়েছি আমরা।
 চন্দ্র পাল নামের এক কারিগর জানান, এগুলো আমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পেশা। যে সব জিনিস বানানো হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আমাদের এখান কার মাটিতে হয় না। বগুড়ার ঐ দিক থেকে মাটি কিনে নিয়ে আসতে হয়। এর পরেও করতে হয়।
তবে জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক নূরেল হক বলছেন, আধুনিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করলে এই শিল্প হারাবে না। বরং কদর আরও বাড়বে।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, সরকারি সুযোগসুবিধা পেলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন, এই ইউনিয়নে পাল সম্প্রদায়ভুক্ত প্রায় ৭০০ পরিবার বাস করেন। এক সময় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে ঘিরে ছিল বছরব্যাপী অবিরাম কর্মযজ্ঞ। কালের বিবর্তনে দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি কমতে শুরু করেছে। এখন কমবেশি ২০০ পরিবার এ পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের

ঠাকুরগাঁওয়ে হারাতে বসেছে গ্রামীন ঔতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

আপডেট সময় ০৪:১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
 
আব্দুল্লাহ আল সুমন স্টাফ রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত। তারা তৈরী করেন মাটির হাঁড়ি, পুতুল, কলসি, প্রদীপসহ রকমারি জিনিসপত্র। তবে সময়ের পরিবর্তনের কারণে বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বিলুপ্তির পথে এই শিল্প।
হারিয়ে যেতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্প। কালের বিবর্তনে ধাতব, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও চিনামাটির তৈরি সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই শিল্পে ধস নেমেছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের কিছু মানুষ এখনও এই পেশায় যুক্ত থাকলেও অনেকই পেশা বদলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করলে মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
মৃৎশিল্পিরা বলছেন, বর্তমান বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাটির তৈরী জিনিসপত্রের কদর কমে গেছে। ফলে জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঐতিহ্যের টানে এখনও এই শিল্পে জড়িত রয়েছেন বলে জানালেন মৃৎশিল্পীরা।
মৃৎশিল্প কারিগর গপাল পাল জানান, এগুলো আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে করতেছি। যার জন্য এগুলো ছাড়াও যায় না। আবার করলেও হয় না, মহা বিপদ। বাজারে তো কদরই নাই বললেই চলে। বিপদের মুখে পড়েছি আমরা।
 চন্দ্র পাল নামের এক কারিগর জানান, এগুলো আমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পেশা। যে সব জিনিস বানানো হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আমাদের এখান কার মাটিতে হয় না। বগুড়ার ঐ দিক থেকে মাটি কিনে নিয়ে আসতে হয়। এর পরেও করতে হয়।
তবে জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক নূরেল হক বলছেন, আধুনিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করলে এই শিল্প হারাবে না। বরং কদর আরও বাড়বে।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, সরকারি সুযোগসুবিধা পেলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন, এই ইউনিয়নে পাল সম্প্রদায়ভুক্ত প্রায় ৭০০ পরিবার বাস করেন। এক সময় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে ঘিরে ছিল বছরব্যাপী অবিরাম কর্মযজ্ঞ। কালের বিবর্তনে দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি কমতে শুরু করেছে। এখন কমবেশি ২০০ পরিবার এ পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।