বাংলাদেশ ১২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী’কে শোকজ করল আ.লীগ যশোরে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু  এক পিস ডাবের দাম ১৮০ টাকা! সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে ‘রাজশাহী’ এগিয়ে ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ কটিয়াদীতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন শিক্ষক আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন মুলাদীতে শালিণ্যর উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পাঠকসভা হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত॥ হত্যার মামলায় পলাতক আসামী টুন্ডা আমিন র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিড়িবি) বোদা উপজেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। বুড়িচংয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন  কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাসিন জোমাদ্দার আর নেই।  সলঙ্গায় জামাল মাস্টারের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত 

ঠাকুরগাঁওয়ে হারাতে বসেছে গ্রামীন ঔতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
  • ১৭২০ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে হারাতে বসেছে গ্রামীন ঔতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

 
আব্দুল্লাহ আল সুমন স্টাফ রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত। তারা তৈরী করেন মাটির হাঁড়ি, পুতুল, কলসি, প্রদীপসহ রকমারি জিনিসপত্র। তবে সময়ের পরিবর্তনের কারণে বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বিলুপ্তির পথে এই শিল্প।
হারিয়ে যেতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্প। কালের বিবর্তনে ধাতব, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও চিনামাটির তৈরি সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই শিল্পে ধস নেমেছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের কিছু মানুষ এখনও এই পেশায় যুক্ত থাকলেও অনেকই পেশা বদলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করলে মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
মৃৎশিল্পিরা বলছেন, বর্তমান বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাটির তৈরী জিনিসপত্রের কদর কমে গেছে। ফলে জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঐতিহ্যের টানে এখনও এই শিল্পে জড়িত রয়েছেন বলে জানালেন মৃৎশিল্পীরা।
মৃৎশিল্প কারিগর গপাল পাল জানান, এগুলো আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে করতেছি। যার জন্য এগুলো ছাড়াও যায় না। আবার করলেও হয় না, মহা বিপদ। বাজারে তো কদরই নাই বললেই চলে। বিপদের মুখে পড়েছি আমরা।
 চন্দ্র পাল নামের এক কারিগর জানান, এগুলো আমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পেশা। যে সব জিনিস বানানো হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আমাদের এখান কার মাটিতে হয় না। বগুড়ার ঐ দিক থেকে মাটি কিনে নিয়ে আসতে হয়। এর পরেও করতে হয়।
তবে জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক নূরেল হক বলছেন, আধুনিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করলে এই শিল্প হারাবে না। বরং কদর আরও বাড়বে।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, সরকারি সুযোগসুবিধা পেলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন, এই ইউনিয়নে পাল সম্প্রদায়ভুক্ত প্রায় ৭০০ পরিবার বাস করেন। এক সময় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে ঘিরে ছিল বছরব্যাপী অবিরাম কর্মযজ্ঞ। কালের বিবর্তনে দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি কমতে শুরু করেছে। এখন কমবেশি ২০০ পরিবার এ পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে হারাতে বসেছে গ্রামীন ঔতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প 

আপডেট সময় ০৪:১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
 
আব্দুল্লাহ আল সুমন স্টাফ রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত। তারা তৈরী করেন মাটির হাঁড়ি, পুতুল, কলসি, প্রদীপসহ রকমারি জিনিসপত্র। তবে সময়ের পরিবর্তনের কারণে বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বিলুপ্তির পথে এই শিল্প।
হারিয়ে যেতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের আকঁচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্প। কালের বিবর্তনে ধাতব, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও চিনামাটির তৈরি সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই শিল্পে ধস নেমেছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের কিছু মানুষ এখনও এই পেশায় যুক্ত থাকলেও অনেকই পেশা বদলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করলে মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
মৃৎশিল্পিরা বলছেন, বর্তমান বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাটির তৈরী জিনিসপত্রের কদর কমে গেছে। ফলে জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঐতিহ্যের টানে এখনও এই শিল্পে জড়িত রয়েছেন বলে জানালেন মৃৎশিল্পীরা।
মৃৎশিল্প কারিগর গপাল পাল জানান, এগুলো আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে করতেছি। যার জন্য এগুলো ছাড়াও যায় না। আবার করলেও হয় না, মহা বিপদ। বাজারে তো কদরই নাই বললেই চলে। বিপদের মুখে পড়েছি আমরা।
 চন্দ্র পাল নামের এক কারিগর জানান, এগুলো আমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পেশা। যে সব জিনিস বানানো হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আমাদের এখান কার মাটিতে হয় না। বগুড়ার ঐ দিক থেকে মাটি কিনে নিয়ে আসতে হয়। এর পরেও করতে হয়।
তবে জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক নূরেল হক বলছেন, আধুনিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করলে এই শিল্প হারাবে না। বরং কদর আরও বাড়বে।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, সরকারি সুযোগসুবিধা পেলে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন, এই ইউনিয়নে পাল সম্প্রদায়ভুক্ত প্রায় ৭০০ পরিবার বাস করেন। এক সময় ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে ঘিরে ছিল বছরব্যাপী অবিরাম কর্মযজ্ঞ। কালের বিবর্তনে দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি কমতে শুরু করেছে। এখন কমবেশি ২০০ পরিবার এ পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।