প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-৪ কর্তৃক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক খন্দকার ইকবাল- দম্পতি গ্রেফতার: অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধার।
সাম্প্রতিককালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর পেশাদার প্রতারক চক্র। অতি সম্প্রতি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম), ই-কমার্স, সমবায় সমিতি, এনজিও, অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করার বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছে র্যাব।
এই সকল প্রতারকদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে “ফাল্গুনী ডটকম”, “শিবপুর ক্ষুদ্র ঋণদান কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড” “চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড” চাকরির দেয়ার নামে জাল সনদ-সিল ব্যবহার করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক আব্দুল মালেক, দেড় হাজার তিতাস গ্রাহকের গ্যাস বিলের ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ জালিয়াতির মূলহোতা ফারুক, শীর্ষ প্রতারক শাহীরুল ইসলাম সিকদার, ও “কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ” এর মতো বেশকিছু সফল অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-৪।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, বিভিন্ন অনিয়ম/দুর্নীতি অতঃপর চাকুরীচ্যুৎ এবং প্রতারনার মাধ্যমে একাধিক প্রাইভেট কোম্পানী ও একাধিক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর মাধ্যমে গড়ে তোলা সম্পদের পাহাড় গড়েছে একটি চক্র।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১৩/০৬/২০২২ ইং তারিখ সকাল ১১.৫৫ ঘটিকায় রাজধানীর সিদ্বেশ্বরী ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি পিস্তুল, ০১ রাউন্ড গুলি, জাল নোট-৯,৫০,০০০/-টাকা, প্রাইজবন্ড-১,৩০,০০০/-টাকা, বিভিন্ন জমির দলিল ও বিভিন্ন নথিপত্রসহ নিম্নোক্ত কুখ্যাত প্রতারকচক্রের মূলহোতাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ (ক) খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল (৪২), জেলা- ফেনী। (খ) মোসাঃ হালিমা আক্তার (৪০), জেলা- ফেনী। কুখ্যাত প্রতারক ইকবালের উত্থান ও প্রতারণার কৌশলঃ খন্দকার ইকবাল (৪২) এর নিজ গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম থানা এলাকায়।
সে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিগত ২০০৫ সালে শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেটে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী “সহকারী হিসাব রক্ষক” পদে চাকুরী নিযুক্ত হবার পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পের ৩৮ কোটি টাকা ৭১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক কর্তৃক অভিযুক্ত হয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে ইকবাল সিন্ডিকেটের নানা অনিয়ম/দুর্নীতি, অতঃপর চাকুরীচচ্যুৎ এবং প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক প্রাইভেট কোম্পানী ও একাধিক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর মাধ্যমে গড়ে তোলে অবৈধ কথিত ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সরকারী সম্পদ আত্মসাৎ করে গ্রেফতারকৃত খন্দকার ইকবাল ও তার নিজ স্ত্রী হালিমা আক্তারসহ অন্যান্য আত্মীয়- স্বজনদের নামে বিভিন্ন নাম সর্বস্ব কোম্পানী রয়েছে।
এছাড়াও দেশের বাহিরে কানাডা ও আমেরিকায় আতœীয় স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করে এবং রাজস্ব ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দিয়েছে। যা তার স্ত্রী হালিমা আক্তার নামে মালিকাধীন বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট থেকে পরিশোধ করা হয়েছে। ৬। গ্রেফতারকৃত আসামী কৃত অপকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। (মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী) সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক