বাংলাদেশ ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের। নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ জামালপুরে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন দুইদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ঘোড়াঘাটে ক্যাপিটেশন ভুক্ত মাদ্রাসা গুলোতে চলছে লাখ লাখ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই

ছাতকে ফের বন্যা : পানি বন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • ১৭২৭ বার পড়া হয়েছে

ছাতকে ফের বন্যা : পানি বন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ 

সুদীপ দাশ, স্টাফ রিপোর্টার, ছাতক:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ৪র্থ দফায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপধারণ করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ১৩টি ইউপি ও ১টি পৌরসভায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ।

বুধবার দুপুর থেকে ছাতক উপজেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ গেছে। ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ অবস্থান নিয়েছেন বলে ইউএনও জানিয়েছেন।

 

 

বুধবার দুপুর পর্যন্ত ছাতকে সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এখানে ব্যাপক আকার ধারণ করছেন। ইতোমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে ৩ শতাধিক গ্রাম, উপজেলার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বীজতলা ও শত শত একর জমির বোরো ফসল। অনেক হাটবাজার, পাড়া-মহল্লা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পৌর শহরের নৌকা চলছে, থানা, উপজেলা পরিষদ এলাকার পানি ঢুকে পড়েছে। উজানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ ও ছাতক ৩ কিলোমিটার সড়ক এলাকায় তিন ফুট ও চার ফুট পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক।

 

উপজেলার সদরের সঙ্গে ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়, উত্তরখুরমা, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও, ছৈলা আফজলাবাদ, কালারুকা, নোয়ারাই, জাউয়াবাজার, দোলারবাজারসহ ১৩টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শতাধিক স্টোন ক্রাসার মিল, পোল্ট্রি ফার্ম ও মৎস্য খামারে বন্যার পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শাক-সবজির বাগানেও পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

 

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা-মেঘনা স্টেশনে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য শহরের ৪টি বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যেই এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ছাতকে ফের বন্যা : পানি বন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ 

আপডেট সময় ১০:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
সুদীপ দাশ, স্টাফ রিপোর্টার, ছাতক:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ৪র্থ দফায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপধারণ করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ১৩টি ইউপি ও ১টি পৌরসভায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ।

বুধবার দুপুর থেকে ছাতক উপজেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ গেছে। ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ অবস্থান নিয়েছেন বলে ইউএনও জানিয়েছেন।

 

 

বুধবার দুপুর পর্যন্ত ছাতকে সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এখানে ব্যাপক আকার ধারণ করছেন। ইতোমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে ৩ শতাধিক গ্রাম, উপজেলার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বীজতলা ও শত শত একর জমির বোরো ফসল। অনেক হাটবাজার, পাড়া-মহল্লা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পৌর শহরের নৌকা চলছে, থানা, উপজেলা পরিষদ এলাকার পানি ঢুকে পড়েছে। উজানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ ও ছাতক ৩ কিলোমিটার সড়ক এলাকায় তিন ফুট ও চার ফুট পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক।

 

উপজেলার সদরের সঙ্গে ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়, উত্তরখুরমা, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও, ছৈলা আফজলাবাদ, কালারুকা, নোয়ারাই, জাউয়াবাজার, দোলারবাজারসহ ১৩টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শতাধিক স্টোন ক্রাসার মিল, পোল্ট্রি ফার্ম ও মৎস্য খামারে বন্যার পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শাক-সবজির বাগানেও পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

 

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা-মেঘনা স্টেশনে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য শহরের ৪টি বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যেই এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।